মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার মিশর ও কাতারের নেতার চিঠি লিখে ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তির জন্য হামাসকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা যায়।
গাজায় ৬ মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার জন্য বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান করার একদিন পর বিষয়টি সামনে আসল।
ব্যক্তিগত চিঠি নিয়ে আলোচনা করতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সোমবার আনুমানিক ১০০ জিম্মির কয়েকজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন, যারা এখনও গাজায় রয়েছেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে লেখা চিঠিগুলো এমন সময় এলো যখন বাইডেন সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নসকে জিম্মি সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য কায়রোতে মোতায়েন করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ দেওয়ার সময় এসেছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা এতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনায় হামাস পক্ষটি পরোক্ষ। কারণ, গাজার তলদেশে সুড়ঙ্গে আশ্রয় নেওয়া হামাস নেতাদের কাছে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো পাঠানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের জন্য গাজায় জিম্মি বিনিময়ের সুবিধার্থে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে বিরতি দেওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার এবং ওই অঞ্চলে খারাপ মানবিক ত্রাণের প্রবাহ বাড়ানোর একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন: গাজায় রমজানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট
ওই কর্মকর্তা জানান, নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথোপকথনে বাইডেন ‘স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে আমেরিকান নাগরিকসহ জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে সবকিছু করতে হবে’ এবং ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েলি মধ্যস্থতাকারীদের পুরোপুরি ক্ষমতায়নের গুরুত্ব’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রস্তাবিত চুক্তির প্রথম ধাপে নারী ও বয়স্ক, অসুস্থ ও আহত জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা হবে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি শুক্রবার বলেন, বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৃহস্পতিবারের কথোপকথনের সময় একটি জিম্মি চুক্তি সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। যেখানে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের ৭ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজা-ইউক্রেন বিষয়ে 'দ্বৈত নীতি' পরিহার করতে ইইউর প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান