চতুর্থ ক্যাটাগরির অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। এ বছর সমুদ্রের পানি উষ্ণায়নের ফলে আটলান্টিকে তৈরি হওয়া এই ক্যাটাগরির প্রথম ঘূর্ণিঝড় এটি।
স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) বার্বাডোস, গ্রেনাডা, টোবাগো, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনে হারিকেন সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জানমালের নিরাপত্তায় এরই মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে হাজার হাজার মানুষ।
ঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনের প্রধানমন্ত্রী রাল্ফ গনসালভেস বলেন, ‘এটি ভয়ানক হতে চলেছে।’
ওই এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঝড়টি চলে যাওয়া পর্যন্ত সবাই নিরাপদে থেকে অপেক্ষা করুন।’
সোমবার দিনের শুরুতে গ্রেনাডা থেকে ১২৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল ‘বেরিল’। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার। ৩১ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারত দলকে দেশে ফিরতে দিচ্ছে না ঘূর্ণিঝড় বেরিল
অত্যন্ত শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র থেকে ৫৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের পরিমাণ বেশি রয়েছে।
ঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই বার্বাডোস দ্বীপজুড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং বৈদ্যুতিক পোস্টগুলো ভেঙে পড়তে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপের আপৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেরি হিন্ডস।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বার্বাডোস এবং আশপাশের দ্বীপগুলোতে ৭.৬ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কিছু জায়গায় ২৫.৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া, ‘বেরিল’ যেসব জায়গায় আঘাত হানবে বিশেষ করে গ্রেনাডা ও গ্রেনাডাইনে ৯ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে।
এরপর ক্যারিবীয় সাগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় ঝড়টি দুর্বল হয়ে জ্যামাইকার দক্ষিণে ও মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের কাছে ক্যাটাগরি ১ ঝড়ে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এর আগে, দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানা সর্বশেষ শক্তিশালী হারিকেন ছিল ‘ইভান’। প্রায় ২০ বছর আগে গ্রেনাডায় এই হারিকেনের আঘাতে বেশকিছু প্রাণহানি হয়।