ইসরায়েলকে অবশ্যই মিশরের সঙ্গে গাজার সীমান্তে উন্মুক্ত নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার এই মন্তব্যের কারণে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ফের একবার হুমকির মুখে পড়েছে।
গাজায় দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা নিরসনে এবং প্রায় ১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসানের আশায় যুক্তরাষ্ট্র যখন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির জন্য নতুন প্রস্তাব তৈরি করছে, তার মধ্যেই বুধবার এ মন্তব্য করলেন নেতানিয়াহু।
মিশরের সঙ্গে গাজার সীমান্তের একটি সংকীর্ণ অংশ ফিলাডেলফি করিডোর। গত মে মাসে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী করিডোরটি দখল করার পর যুদ্ধবিরতি আলোচনায় তা নতুন করে বাধার সৃষ্টি করেছে।
বিষয়টি কোনোভাবেই মানবে না বলে জানিয়েছে হামাস। বহু দফায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি আলোচনায় গাজা থেকে ইসরায়েলকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ফিলাডেলফি করিডোর ত্যাগের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের পাশাপাশি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী অপর দেশ মিশরও একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দাবি করেছে। ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিতে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতও ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরায়েলের অবস্থানের সমালোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের হামলায় হামাসের জেনিন প্রধান নিহত
বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এদিন নিজের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় অস্ত্র চোরাচালান করে হামাসকে পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে ইসরায়েলকে অবশ্যই সীমান্তে ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হবে।
‘হামাস যাতে ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলার পুনরাবৃত্তি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।’
ইসরায়েলি সেনারা ওই করিডোরের নিচ দিয়ে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘গাজাকে অবশ্যই অসামরিকীকরণ করতে হবে এবং এটি কেবল তখনই ঘটতে পারে যখন ফিলাডেলফি করিডোর ইসরায়েলের দৃঢ় নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
নেতানিয়াহু বলেন, ‘যদি সেখানে পাহারা দেওয়ার জন্য বিকল্প কোনো বাহিনী নিয়োগ করা হয়, ইসরায়েল কেবল তখনই করিডোর থেকে সরে আসার বিষয়টি বিবেচনা করবে।’
‘আমাকে এমন কাউকে দেখান, যিনি (করিডোর দিয়ে) চোরাচালান রোধ করার সামর্থ্য রাখেন। আপাতত আমি সেরকম কাউকে দেখছি না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তেমন কাউকে না পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ আমরা সেখানে থাকব।’