সংবাদ সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন যে এটি মানুষের তৈরি একটি ‘ফাঁদ’র কাছে আবিষ্কার করা হয়েছে। গত বছর ওই ফাঁদে এক ডজনেরও বেশি ম্যামথের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
এ আবিষ্কারের ফলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে আগে যেমন মনে করা হয়েছিল মানুষ তার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান এবং ম্যামথগুলো আরও অবিচক্ষণ ছিল।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রির প্রত্নতাত্ত্বিক পেড্রো সানচেজ নাভা বলেন, ‘এখানে আরও শত শত প্রাণী রয়েছে।’
গত অক্টোবরে, পুরানো সামরিক বিমানবন্দরকে বেসামরিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের কাজ শুরু করলে ইনস্টিটিউটটি সেখানে তিনটি বড় অগভীর জায়গায় খনন শুরু করে। ছয় মাস ধরে খনন করে সেখানে ৬০টি ম্যামথের হাড় উদ্ধার করা হয়। প্রতি মাসে পাওয়া যায় ১০টি করে প্রাণীর হাড়। উদ্ধারের এ কাজ চলতে থাকবে বলে জানান পেড্রো সানচেজ।
বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এক সময় জালটোকান নামে পরিচিত প্রাচীন হ্রদের তীরে এ খনন কাজ করা হচ্ছে। এ অগভীর হ্রদে প্রচুর পরিমাণে ঘাস এবং নলখাগড়া উৎপাদন হতো এবং তা খাওয়ার জন্য বিশালাকার ম্যামথগুলো ভিড় করত। যেগুলো প্রতিদিন প্রায় ১৫০ কেজির মতো খাবার খেত।
‘এ হ্রদ প্রণীদের জন্য স্বর্গের মতো ছিল,’ বলেন পেড্রো সানচেজ।
উল্লেখ, পৃথিবীর বুক থেকে ১০ হাজার বছর আগে ম্যামথ বিলুপ্ত হয়ে যায়।