সরকারি বাহিনী (এসএএফ) ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘর্ষে সুদানে বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। গত তিন দিনে মধ্য সুদানের সিন্নার রাজ্যে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণ এবং গেজিরা রাজ্যে আরএসএফের দুটি পৃথক হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী এ খবর জানিয়েছে।
সিন্নার রাজ্যের আল-সুকি শহরের স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী আল-সুকি ইমার্জেন্সি রুম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেবেল মোয়া এলাকায় একটি পিকআপ ট্রাকে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে আল-সুকি এলাকার ১৩ জন নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, হতাহতরা আল-সুকি থেকে জেবেল মোয়া পর্যন্ত চুরি হওয়া গাড়ি ও সরঞ্জামের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন।
এছাড়া, গেজিরা রাজ্যের কয়েকটি গ্রামে আরএসএফের হামলায় বুধ ও বৃহস্পতিবারের হামলায় ২৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীগুলো।
আরও পড়ুন: সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ৪৫ জন নিহত
মধ্য সুদানে মানবাধিকার লঙ্ঘন পর্যবেক্ষণকারী স্থানীয় বেসরকারি গোষ্ঠী গেজিরা কনফারেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, আরএসএফ মিলিশিয়ারা বৃহস্পতিবার গেজিরা রাজ্যের দক্ষিণে আল-হাউস এলাকার ওয়াদ হুসেইন আল-হালাউইন গ্রামে হামলা চালায়। মিলিশিয়াদের বোমা হামলায় পাঁচ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে।
গেজিরা সম্মেলন ও আরেকটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নিদা আল-ওয়াসাত প্ল্যাটফর্ম উভয়ই জানিয়েছে, সশস্ত্র আরএসএফ বাহিনী মোটরসাইকেল ও যুদ্ধযানে চড়ে বুধবার গেজিরার আল-মানাগিল এলাকার আল-হুদা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায়। এতে ২৪ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়।
২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশেরে এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। গত ১০ মে থেকে এই সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, সুদানের ভেতরে বা বাইরে প্রাণঘাতী এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭ শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু এবং ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।