গাজার একটি জনাকীর্ণ হাসপাতাল পরিদর্শন করে ত্রাণ সংস্থার দলগুলো এক 'অকল্পনীয়' পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছে। হাসপাতালটিতে আহতদের বড় বড় ক্ষতগুলো চিকিৎসা না করেই উন্মুক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।
তিনটি ত্রাণ সংস্থার সমন্বয়ে একটি জরুরি মেডিকেল টিম দুই সপ্তাহ ধরে খান ইউনিসের নিকটবর্তী ইউরোপীয় গাজা হাসপাতালে অস্ত্রোপচারসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে।
সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই মেডিকেল টিম জানায়, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তারা হাসপাতালে যেতে পারছেন না।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে গজ এবং ভাঙা হাড় জোড়া লাগাতে ব্যবহৃত প্লেট ও স্ক্রুর মতো প্রয়োজনীয় জিনিসসহ চিকিৎসা সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
পরিদর্শনকারী চিকিৎসকরা প্রতিবেদনে আরও জানান, খাবারের অভাব রোগীর চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। এ কারণে রোগীদের বড় সংক্রামিত খোলা ক্ষত পরীক্ষার আগে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ত্রাণ কর্মকর্তারা বলছেন, গাজা উপত্যকার পুরো জনগোষ্ঠী (২৩ লাখ মানুষ) খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ আসন্ন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, অঞ্চলটিতে ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৭৪ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়। হামাস এখনও প্রায় ১০০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে বলে মনে করা হয়, পাশাপাশি আরও ৩০ জনের দেহাবশেষও রয়েছে।