দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে নতুন করে প্রশাসন সাজাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তী প্রশাসনে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিটকে।
অ্যাসোসিয়েট প্রেসের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে নিজের প্রচার শিবিরের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিটের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে হোয়াইট হাউজের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হতে চলেছেন লেভিট।
এতদিন পর্যন্ত এই রেকর্ডটি ছিল রোনাল্ড জিগলারের দখলে। ১৯৬৯ সালে ২৯ বছর বয়সে রিচার্ড নিক্সনের প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিগলার।
ক্যারোলিনকে প্রেস সেক্রেটারি নিয়োগের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার ঐতিহাসিক প্রচারণায় জাতীয় প্রেস সচিব হিসেবে সে অসাধারণ কাজ করেছে। ফলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে আনন্দের সঙ্গে আমি তার নাম ঘোষণা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ক্যারোলিন স্মার্ট, কঠোর পরিশ্রমী এবং তার যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত সাবলীল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নিজের কাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে সে আমেরিকার জনগণের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।’
আস্থা রাখায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্সে লেভিট লিখেছেন, ‘আমি বিনীত ও সম্মানিত বোধ করছি। চলুন আমেরিকাকে আবার মহান রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলি।’
নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিটকে কট্টর ও সবসময় প্রস্তুত এক রাজনৈতিক মুখপাত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সরাসরি ও টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন সময় রিপাবলিকানদের নিয়ে আক্রমণাত্মক প্রশ্নে তাকে সবসময় দ্রুত ও উপযুক্ত জবাব দিতে দেখা যায়।
নিউ হ্যাম্পশায়ারের ক্যাথলিক কলেজ সেন্ট অ্যানসেলম কলেজে যোগাযোগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন লেভিট।
পড়াশোনা চলাকালেই তিনি ফক্স নিউজে এবং ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউস প্রেস অফিসে ইন্টার্ন করেন। এরপর ২০১৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করার পরপরই হোয়াইট হাউজের প্রেস অফিসে কাজ নেন তিনি। হোয়াইট হাউজে প্রথমে তিনি ‘প্রেসিডেনশিয়াল রাইটার’ এবং পরে সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেন।
হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর লেভিট রিপাবলিকান দলের জ্যেষ্ঠ কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিকের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর এ বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন তিনি।