গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলায় ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবারের হামলায় ৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার স্থানেই এ ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে মুওয়াসির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের বাইরে একটি গ্যাস স্টেশনের কাছে সবচেয়ে বড় এ হামলাটি চালায় ইসরায়েল। এটি একটি উপকূলীয় অঞ্চল যা মানবিক ‘নিরাপদ অঞ্চলের’ অংশ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্দেশে সেখানে হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের হাসপাতালে ১৭টি লাশ এসেছে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য আসেনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের হামলা: খান ইউনিসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০
নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই এই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৯ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় তারা।
স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সফল করতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মতো আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ ও হামাসের হাতে জিম্মি ১২০ ইসরায়েলির মুক্তির শর্তে আলোচনা চালাচ্ছে তারা।
এদিকে, মধ্য গাজার নুসেইরাত ও জাওয়াইদা শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ নারী ও চার শিশুসহ অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, নুসেইরাতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলের হামলায় আরও অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে।
অপরদিকে, খান ইউনিস ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় সোমবার রাত ও মঙ্গলবার সকালের মধ্যে চালানো হামলায় আরও অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কে এই হামাস নেতা মোহাম্মদ দাইফ, তার মৃত্যুতে কীভাবে বদলাবে যুদ্ধের সমীকরণ
এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের সামরিক কাঠামো ও বিস্ফোরকভর্তি ভবন মিলিয়ে গাজায় মোট ৪০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। সে সময় ২৫০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩৮ হাজার ৬০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।