অগ্নিঝুঁকির মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ও অননুমোদিত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযানে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করেছেন কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার(৫ মার্চ) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে একটি দোকান ভাঙছেন, আরেকজন গিয়ে থামতে বলে। অগ্নিনিরাপত্তা অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে একটি সমন্বিত, ধীরগতির এবং স্থির দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।’
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে বিভিন্ন বিভাগ দ্রুত কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ১০ হাজার ১০৬টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর মধ্যে আটটি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবনের মালিক ও নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যেকোনো সময় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য তারানা হালিম বলেন, পুরান ঢাকায় এমন অগ্নিকাণ্ডের পর রাসায়নিক কারখানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও স্থানীয় লোকজন তাতে সহযোগিতা করেনি।
সব সরকারি দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ এটিকে সমর্থন করবে। এটা তাদের জীবন বাঁচাবে।’