রাজধানীর এভারকেয়ার হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য শনিবার ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল প্রতিবেদন ও স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনা করতে বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, তারা মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার পরবর্তী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০২১ সালে ২৮ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এখন একই মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারকি করবে।
আরও পড়ুন: ফের হাসপাতালে খালেদা জিয়া
সকালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না কারণ যে কোনো সময় তার অবস্থা যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে। উনাকে সিসিইউতে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, লিভার ও কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে হবে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেয়া হলে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে শুক্রবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ম্যাডাম (খালেদা) তার গুলশানের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, আমরা তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি,।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে রাত ৩টা ২০ মিনিটে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা থেকে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার গুলশানের বাসায় ছুটে যান এবং পরে তিনি হাসপাতালে যান।
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ফখরুল বলেন, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তার সমস্যা কতটা জটিল তা বিভিন্ন পরীক্ষা, বিশেষ করে একটি এনজিওগ্রাম করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
এর আগে গত বছর ১৩ নভেম্বর সর্বশেষ তাকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে।