বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী শাসক এইচ এম এরশাদকে যেভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল, সেভাবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘কোনো স্বৈরাচারী শাসন স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ে না। আমরা বিশ্বাস করি না যে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে...এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই শাসক ক্ষমতাচ্যুত হবে, যেভাবে স্বৈরাচারী এরশাদকে পতন করা হয়েছিল।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে বলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে জনগণ গণঅভ্যুত্থান ঘটাবে।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আ.লীগ সরকারের পতনের বিকল্প নেই: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, সরকারের বিভিন্ন বাধা, হয়রানি ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করে তাদের দল ১০টি বিভাগে সমাবেশ করেছে। ‘আমাদের প্রতিটি সমাবেশ সফল হয়েছে কারণ শুধু আমাদের নেতা-কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ৭ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশের আগে সরকার তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভয়ঙ্কর ও বর্বরোচিত হামলা চালায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা মহাসমাবেশ প্রমাণ করেছে যে কীভাবে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ‘শাসক দলের নেতারা যাই বলুক না কেন, এই শাসন আর মানুষকে দমন করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দুঃশাসন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মোশাররফ অভিযোগ করেন, সরকার লুটপাট ও দুর্নীতি করে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, তাদের দল ইতোমধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ২৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে।
দেশের উন্নয়নে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান এবং দেশের অর্থনীতির পরিবর্তনে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ।
আরও পড়ুন: সরকারের গণতন্ত্র হচ্ছে চুরি, লুট, টাকা পাচার ও মানুষ হত্যা করার গণতন্ত্র: ফখরুল