আটক অন্য দুজন হলেন- জামায়াতকর্মী জারজিস হোসেন মোড়ল ও শেখ আলী আকবার।
তাদের আটক করার পর ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা বাজারে ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর রাত সোয়া ৯টার দিকে একই উপজেলার দামোদরের ৪নং গাড়াখোলা ইউনিয়ন কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
জামায়াত নেতাদের পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর পৃথক এই দুটি ঘটনা ঘটলেও জামায়াতের ওই তিন নেতাকর্মীকে মামলার আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ৪নং গাড়াখোলা ইউনিয়ন কার্যালয়ে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুল জলিল বাদী হয়ে দু’টি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া বেজেরডাঙ্গা বাজারে ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আলী আযম বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে।
‘ওই দুটি ঘটনায় পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা এমরান হোসাইনসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে’, বলেন ওসি।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- দামোদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ জমাদ্দার, জামিরা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মোল্লা, ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান রনি, মিজানুর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. সোহেল রানা ও রিপন।
এদিকে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা জানান, মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা ঘটিয়ে মামলা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ। এর সূত্র ধরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি ও অভিযান চালাচ্ছে। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর খুলনা-৫ আসনের ধানের শীষের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।