ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসা 'ফিরোজা'য় যান।
ফিরোজা ছাড়ার পর খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, 'এই পবিত্র ঈদের দিন আমরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম। আপনারা জানেন যে প্রতি বছর আমরা ঈদ উপলক্ষে আমাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে একত্রিত হই। এ বছরও আমরা তাই করেছি।’
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি
তিনি উল্লেখ করেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করায় তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি।
প্রায় এক বছর ধরে জটিল অসুস্থতায় ভুগতে থাকা খন্দকার মোশাররফ বলেন, 'আমরা প্রতিবছর ঈদের সময় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করি, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি। কিন্তু আমরা এখানে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করি না, আমাদের নেতাও করেন না। আজও একই ঘটনা ঘটল।
অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় দেশের মানুষ আনন্দ সহকারে ঈদ উদযাপন করতে পারছে না বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ‘আমাদের নেত্রীও এই পরিস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া ঈদ উপলক্ষে দেশের জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুজা উদ্দিন, আবদুল কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদের আগের দিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমদও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট এবং চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের ঈদ উদযাপন হারিয়ে গেছে: আব্বাস