শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডায় বিকল্প যুব ধারার বিশেষ কাউন্সিলে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, ছাত্রদলের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন ও বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী শফিকুর রহমান বি চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিকল্পধারায় যোগ দেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী বলেন, সিলেটের জনসভায় ৯৮ ভাগ মানুষ ছিল বিএনপির, বাকি দুভাগ ছিল অন্যদের। সেই সমাবেশে স্বাভাবিক কারণেই শ্রদ্ধার সঙ্গে অন্য দলের নেতারা বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণ করেছেন। তবে বিএনপির নেতারা শহীদ জিয়ার নামটি নেননি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা যিনি দিলেন তার নামটি কেউ বলতে সাহস পাননি। তারা আত্সমর্পণ করেছেন।’
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন চাই। মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী, শেরে বাংলা ফজলুল হকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। আমরা উন্নয়ন চাই, গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ চাই।’
তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। আমরা ১৩ অক্টোবর তার দাওয়াতে বাসায় গিয়েছিলাম, কিন্ত তিনি বাসায় ছিলেন না। এমনকি তার কোনো লোকও বাসায় ছিল না, তার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তিনি যেভাবে চুক্তি ভঙ্গ করলেন, তাতে আমরা আঘাত পেয়েছি। আমরা অসত্য, ভ্রান্তির সঙ্গে কোনো চুক্তি করি না।
বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে নাই। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে নাই বলেই জোট ছেড়ে অনেকে বেরিয়ে এসেছে। আমরা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির পক্ষে লড়াই করব। তার রাজনীতির উত্তরাধিকার আমাদের হাতে। উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করব। সেই উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রও থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বি চৌধুরী বলেন, ‘আলোচনা ছাড়া পৃথিবীর কোথাও কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। আপনার কাছে দাবি করছে, আপনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, এটাই সবচেয়ে বড়। আপনি উদারচিত্তে এগিয়ে আসেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সব দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুন।’
বিএনপির সঙ্গে ঐক্য না হওয়ার কারণ জানিয়ে বি চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিএনপিকে বলেছিলাম আপনারা ১৭৫টি আসন নিন, বাকি সব দলের জন্য ১২৫টি আসন। আমি তো বলিনি বিকল্প ধারাকে ১২৫ আসন দিতে হবে। এই ভারসাম্য যারা অস্বীকার করে, তাদের সঙ্গে কিসের ঐক্য। আমরা ভারসাম্যের রাজনীতি চাই।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদ্য বিকল্প ধা্রায় যোগদানকারী খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনআল আজাদ, লেবার পার্টি একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদি প্রমুখ।
যুবধারার কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম মোস্তফা সারোয়ার নির্বাচিত হন।