রাষ্ট্রপতির অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে শনিবার বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের ব্রিফ করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তারা মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন- দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা, রাষ্ট্রপতির অপসারণ এবং জাতীয় ঐক্য সুসংহত করা।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা এর আগে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। এটি একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিল।’
তিনিন আরও বলেন, ‘বর্তমানে, আমরা ফ্যাসিবাদকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে বাধার সম্মুখীন হই, বিশেষত চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন) কারণে। তাকে অপসারণ করা উচিত। গত দু'দিন ধরে আমাদের দেশের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, বৈঠকে কীভাবে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা করা যায়, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কীভাবে প্রেসিডেন্টকে দ্রুত অপসারণ করা যায় এবং যেকোনো ধরনের সংকট কীভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ‘জাতীয় ঐক্য কীভাবে জোরদার করা যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ছাড়াও তারা এ বিষয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং তারা তাদের অবস্থানের সঙ্গে একমত।
হাসনাত বলেন, 'জামায়াত ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, রাষ্ট্রপতির পদে থাকার কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই।
এসব বিষয়ে তারা অন্য দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।’
তিনি বলেন, 'ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ৫ আগস্টের আগে যে জাতীয় ঐক্য গঠন করা হয়েছিল, তা আরও জোরদার করতে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।’
বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে এবং বিএনপি তাদের দলীয় ফোরামে আলোচনার পর নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ‘আমরা আশা করছি তারা ইতিবাচক সাড়া দেবে।’
হাসনাত ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, আকতার হোসেন ছিলেন।
নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, 'চুপ্পু অবশ্যই যাবে, তবে আমরা নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করছি না।’