বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, শেখ হাসিনা বিদায় নিলেও তার প্রেতাত্মাদের দিয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আজ নাকি আওয়ামী লীগ মিছিল নিয়ে বের হবে। কিন্তু দুঃখজনক, বিদেশে বসে ভাঁওতাবাজি করে জনগণকে একত্র করতে পারবেন না। ভুয়া আওয়াজ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আর দ্বিধাগ্রস্ত করতে পারবেন না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার (১০ নভেম্বর) আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি এ সভার আয়োজন করে।
জনসভায় ফারুক বলেন, শেখ হাসিনার দোসররা ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। যারা প্রতারণামূলক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং সেই অর্থ বিদেশে পাঠিয়েছে, আজ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
‘তারা আর আপনার মাঝে নেই। যারা দেশে থাকবে তারা কোনোদিন রাস্তায় নামার সাহস পাবে না। তাই এ ধরনের ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারই জাতীয় সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি: তারেক
এ সময় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
তিনি বলেন, ‘তাদের উচিত দ্রুত নির্বাচন সংক্রান্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা এবং সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ না করা। সংস্কার অব্যাহত থাকবে, নির্বাচনের প্রস্তুতিও অব্যাহত থাকবে।’
‘আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বড় বড় কথা বলে যারা ১৬ বছর দেশ শাসন করলেন তারা এখন কোথায়? আওয়ামী লীগ সংবিধান তছনছ করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজ দলীয় আড্ডাখানায় পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। পরে আমরা ছাত্র ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে সক্ষম হই।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুসহ আরও অনেকে।