মঙ্গলবার পিরোজপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
রেজাউল করিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সাফল্য কেউ যাতে ছিনিয়ে নিতে না পারে, সে জন্য বিজয়ের মাসে আমাদের আবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। গোলাম আযমসহ যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল।
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছেন। একই সাথে তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নত-সমৃদ্ধ। এ শান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে আবার নতুন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। তারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদের যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু পিরোজপুর ৮ ডিসেম্বরেই হানাদারমুক্ত হয়েছিল। পিরোজপুরের মানুষের সে গৌরবগাঁথা ও ঐতিহ্য সম্মিলিতভাবে ধরে রাখতে হবে।’
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকিম হাওলাদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সমীর কুমার দাস বাচ্চু ও গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।