দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বন্ধ থাকার পর রাজধানীর বড় মগবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটক খোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান দলীয় নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আমরা এই জায়গাটি (কেন্দ্রীয় কার্যালয়) ছেড়ে যাই। তবে দীর্ঘ সময় পর আবার আমরা এখানে প্রবেশ করলাম।’
এদিন হেফাজতে ইসলামী নেতা মামুনুল হকসহ দলটির নেতারাও এ কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
তাদের ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘তারাও কার্যালয় পরিদর্শনে এসে ভাঙচুরের প্রমাণ দেখেছেন।’
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করতে এসময় জাতিকে আহ্বান জানান জামায়াত আমির।
আরও পড়ুন: বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা জাতিকে আহ্বান জানাব, আপনারা যেখানেই এসব দেখবেন সেখানেই কঠোর হাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমন করুন। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এ বিষয়ে প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
এসময় শফিকুর রহমান বলেন, পরিবর্তনের আগমনে কিছু সুবিধাবাদী দুর্বৃত্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে- শহর ও গ্রামে বহু সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
যাদের বিবেক আছে, মানবতা আছে, তারা এসব করতে পারে না। এজন্য যারা বার বার এ ধরনের কাজ করছে, আমাদের সংগঠন তাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
তিনি জানান, যেখানে মানুষ বিপদে পড়েছে, সেখানেই অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের জন্য তারা ইতোমধ্যে দেশের জনগণ ও তার দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তারা বাংলাদেশের একেকজন গর্বিত নাগরিক।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘এদেশে সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। এখানে সংখ্যালঘু নেই, সংখ্যাগুরুও নেই।’
আরও পড়ুন: রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান
বক্তব্যকালে অবিলম্বে জনগণের সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানান জামায়াত আমির। বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতিকে বলতে চাই, তিনি যেন অনতিবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে জনগণের সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন।’
শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অবশ্যই এটি করতে পারে। কারণ পরিবর্তনটি তাদের আন্দোলনেরই ফলাফল।’
‘আমরা তাদের (শিক্ষার্থীদের) সম্মান করি। তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে’, বলেন এ রাজনীতিক।