রবিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশি মাওলানা কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ জোবায়ের।
বিগত বছরগুলোতে ইজতেমার বয়ান ও আখেরি মোনাজাত হিন্দি ও আরবি ভাষায় করা হলেও এবার আখেরি মোনাজাত ও হেদায়েতি বয়ান আরবির পাশাপাশি বাংলায় দেয়া হবে। আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ান পেশ করবেন মাওলানা জিয়াউল হাসান।
মোনাজাত উপলক্ষে রবিবার ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এয়ারপোর্ট থেকে জয়দবেপুর চৌরাস্তা, ঢাকা-সিলেট সড়কের গাজীপুরের মীরের বাজার থেকে টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাস সড়কে মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এবং মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য এই অংশে যানবাহন বন্ধ রাখার কোনো বিকল্প নেই। আখেরি মোনাজাত শেষে ইজতেমা ময়দান থেকে মুসল্লিরা বের হয়ে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।’
এদিকে মোনাজাত উপলক্ষে ১৬টি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।
আগামী ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন দ্বিতীয় পর্বে।
১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করে আসছে। ইজতেমা মাঠের চাপ কমাতে এবং নিরাপত্তা ও উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ২০১১ সাল থেকে দুই ধাপে ইজতেমার আয়োজন হয়ে আসছে।