আহত ওই শিশুর পরিবারের পরিচয় এখনও পাওয়া না গেলেও শিশুটির অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। শিশুটি এখন চোখ মেলতে পারছে এবং মুখে খাবার দিলে তা গিলতে পারছে।
অজ্ঞাত শিশুর অভিভাবক হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ঝাড়ুদার উজ্জ্বল। তিনি বাড়ি থেকে খিঁচুড়ি, সেমাই, সুজি, দুধ, বেলের শরবত নিয়ে নিজেই খাওয়ানোর কাজটা করছেন। পায়খানা পরিস্কার থেকে শুরু করে গোসল করানোর কাজটাও উজ্জ্বল করছেন। ভর্তির দিন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত শিশুর যাবতীয় ওষুধপত্র খাওয়ানোর কাজটা করছেন তিনি।
উজ্জ্বল বলেন, ‘অজ্ঞাত শিশুটি মাথায় আঘাত পেলে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। ওইদিন থেকে হাসপাতালের সার্জারি চিকিৎসক, নার্সদের চিকিৎসা সেবায় আলহামদুলিল্লাহ শিশুটির শারীরিক অবস্থা অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন ওই শিশুটি চোখ মেলতে পারে। মাঝেমধ্যে কথা বলার চেষ্টাও করছে। ওই শিশুর মুখে খাবার দিলে তাও গিলতে পারে। যেহেতু ওই শিশুর কেউ নেই তাই ঢাকা না নিয়ে আমরাই তার চিকিৎসা দেব।’
ওই শিশুর যাবতীয় ওষুধপত্র ও খাওয়া-দাওয়া হাসপাতাল তহবিল ও বিভিন্ন সামাজিক-মানবিক সংগঠন থেকে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকেই শিশুটি অসচেতন ছিল। এখন শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। ওই শিশুর সকল ওষুধপত্র হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে।
গত ৩ জানুয়ারি দুপুর পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট রেলপথের আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত থাকায় সেখানে শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এখনও তার পরিবারকে শনাক্ত করা যায়নি।