ঝিনাইদহে অবৈধ স্বর্ণ ছিনতাইয়ের সময় ছিনতাইকারীদের পিটুনিতে মিঠুন নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এসময় ১৮১ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দের দাবি করেছে পুলিশ। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনিমেষ মজুমদার নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে জেলার কেসি কলেজ গলির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের স্বর্ণকার পট্টির গিনি হাউজের কর্মচারী মিঠুন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকে একটি কার্টুন নিয়ে দোকানে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কেসি কলেজ গলিতে পৌঁছালে ছয় ছিনতাইকারী তার কাছ থেকে কার্টুনটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এসময় মিঠুনকে পিটিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেখানে পৌঁছে মিঠুনকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ দেখে মোটরসাইকে চড়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ কার্টুনে পাওয়া ১৮১ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ করে।
এদিকে, সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই স্বর্ণালংকার জব্দ রাখার পাশাপাশি গিনি হাউজের মালিক অনিমেষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই জিয়া বলেন, ‘আমি গিয়ে দেখি মিঠুনকে মারধর করে কার্টুনটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এসময় ছিনতাইকারীদের আটক করার চেষ্টা করি, কিন্তু তারা পালিয়ে যায়।’
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, ‘দুটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিনতাইয়ের আর অন্যটি স্বর্ণ পাচার। আমরা ছিনতাইকারীদের আটকের চেষ্টা করছি। যেহেতু কুরিয়ার সার্ভিসে করে স্বর্ণ আনা হচ্ছিল, তাই আমরা র্স্বণালংকার জব্দ করেছি।’