জেলা শহরে লবণ উধাও নিয়ে গুজব ছড়ালে দোকানদাররা লবণ সরিয়ে ফেলে এবং প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি শুরু করে। এতে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রির অভিযোগে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনজন ব্যবসায়ীকে এরই মধ্যে আটক করেছে।
অভিযানে আটক তিনজন ব্যবসায়ীকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় দিয়েছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলেন- কালিবাড়ি বাজারের মো. মাসুদ, সত্যপীর ব্রিজ এলাকার নবাব আলী ও মুন্সিপাড়ার সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে, গুজব ছড়িয়ে পড়লে জেলা শহর ছাড়াও রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ও সদর উপজেলার রুহিয়া থানায় লবণ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। বালিয়াডাঙ্গীতে প্রথমে ৫০ টাকা পরে দাম বাড়তে বাড়তে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
পরে, পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন অভিযান শুরু করলে অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতারা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলের গাড়ি থামিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, বাজারে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে।
সকলকে গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে কেউ গুজব ছড়ালে ০১৭১৫১৭০৩৬৫ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে গুজবে কান না দেয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা শুরু হয়েছে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার রুহিয়া থানায় সকাল থেকে লবণ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে।
পূর্ব কুজিশহরের হুমায়ুন কবির জানান, লবণ পাওয়া যাবে না এই ভয়ে আজ ১০০ টাকা দরে ৩ কেজি লবণ কিনেছেন।
এখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, লবণ বেশি দামে কেনার কারণে তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও মাইকিং করে গুজবে কান না দেয়ার ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু জানান, লবণের কোনো সংকট নেই, আসলে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, ‘লবণের বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। আমরা বাজার মনিটরিং করছি।’