নওগাঁর নিয়ামতপুরে বোরো ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত আরও সাত জন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাসনা ধানের খেতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত বুধু সরদার (৬০) উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়ন বান্দইল বিচিবাড়ী গ্রামের মসি সরদারের ছেলে।
আহতরা হলেন-ওই এলাকার মন্টুর স্ত্রী বুঝমনি (৫০), নিহত খগনার ছেলে সারিতন (৩৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জর গোমস্তাপুর উপজেলার হরিসপুর দেওপুরা গ্রামের মজিদের ছেলে বিজয় (১৫), জেলার পোরশা উপজেলার নোনাহার গ্রামের সিনাইরের মেয়ে কবিতা (১৯) এবং হামলাকারিদের মধ্যে মাসনা গ্রামের মহাদেবের ছেলে অতিস কুজুর (৫০), দেবেন্দ্রর ছেলে রিপন (৩০), প্রসান্ত (৩৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ছাত্রলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাসনা মাঠে বান্দইল বিচিবাড়ী গ্রামের আরএস রেকর্ডভুক্ত ৩ একর ৫৬ শতক জমিতে চার ভাই তারানু সরদার, বুধু সরদার, খোকা সরদার, বিধান সরদার বোরো ধান রোপন করেন। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে তারা জমিতে ধান কাটতে যান। এরপর সন্ধ্য ৬টার দিকে একই এলকার মাসনা গ্রামের জগলালের ছেলে বঙ্গপাল ও সুচুর ছেলে সেভিনের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে হাসুয়া, তীর ধনুক, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এতে বুধু সরদার, বুঝমনি ও কবিতাসহ সাত জন আহত হন।
পরে আহতদের নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বুধু সরদার মারা যান। অন্যান্য আহতদের মধ্যে গুরুতর সারিতন, বিজয়, কবিতাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষ: বাদলকে কারাগারে প্রেরণ
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, উল্লেখিত জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে আজকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারে পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।