বিকালে জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে ৪০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিতেবদন দাখিল করেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি।
বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে উৎসারিত আগুন ও তিতাসের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে মসজিদের অভ্যন্তরে জমা হওয়া গ্যাসের কারণে এ ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান খাদিজা তাহেরা ববি।
এছাড়া মসজিদ নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক সংযোগের বিষয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির গাফিলতি রয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ অফিস (ডিপিডিসি), মসজিদ কমিটিকে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে কয়েকটি পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন দাখিলের পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি বলেন, ‘বৈদ্যুতিক স্পার্ক ও মসজিদে জমা হওয়া গ্যাস থেকেই এ বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি পেয়েছি। সব কিছুই উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। আগামীতে এরকম দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটি পরামর্শও দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনের সাথে।’
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার একটি মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন অর্ধশতাধিক মুসল্লি। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা (আঞ্চলিক বিক্রয়) অফিসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী মোহাম্মদ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন- ফতুল্লা জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এস. এম. হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়া ও মো. ইসমাইল প্রধান।