শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হলে রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে গণনা কার্যক্রম চলে শনিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত।
দানবাক্সে টাকা পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও সোনার গয়নাও পাওয়া গেছে। তবে টাকার বস্তার মধ্যে প্রাপ্ত এক মেয়েকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে আল্লাহর রহমত কামনা করে দানবাক্সে ফেলা হবিগঞ্জের এক ব্যক্তির চিঠি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
চিঠির লেখকের নাম সাইফুল ইসলাম। ঠিকানা উল্লেখ করেছেন সিলেটের হবিগঞ্জ। চিঠিতে সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. পারভীন আক্তার। আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের কবুল করেন।’
আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার পাওয়া গেল রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত হোসেন চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৯টি দানবাক্স থেকে প্রাপ্ত ২৭ বস্তায় রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে।
সকাল ৭টা থেকে রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত চলে গণনা। প্রাপ্ত অর্থ এ যাবতকালে রেকর্ড পরিমাণ। ৪ মাস আগের হিসাবের চেয়ে এবার ১ কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ১১৪ টাকা বেশি পাওয়া গেছে।
রাত পৌনে ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ করপোরেট শাখার ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম।
সকাল ৭টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেল ২৭ বস্তা টাকা-স্বর্ণালংকার, চলছে গণনা