জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃত্বাধীন ওই জলাশয়ের পেছনে অনেকের দেড়/দুই শতাংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। তারা নিজেদের জায়গায় যাওয়ার অজুহাতে যার যার সামনের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ৪/৫ শতাংশ করে জলাভূমি দখল করে মাটি ও বালু দিয়ে ভরাট করে রাস্তা তৈরি করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাণিজ্যিক উদ্দেশে ওই জমিতে কেউ কেউ মার্কেট বানানোরও পাঁয়তারা করছেন।
তারা জানান, মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জলাভূমির পশ্চিম সীমানায় পৌরসভার শিবপুর মৌজার ৫৯১ নং দাগে মো. রিজাউল হক, মো. রেজাউল করিম, মো. আমীর হোসেন ও মো. জামির হোসেনের ব্যক্তি মালিকানাধীন ৮ শতাংশ জলা জমি রয়েছে। এই জমি লাগোয়া সড়ক ও জনপথের তিন কোটি টাকার অধিক মূল্যের আরও প্রায় ২৫/৩০ শতাংশ জলাভূমি বেশ কিছুদিন ধরে রাতের আঁধারে ভরাট করছেন ওই ব্যক্তিরা।
ফরিদপুরে আ’লীগ কার্যালয়ে জাফরউল্লাহ-নিক্সন অনুসারীদের পাল্টা-পাল্টি তালা
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন মো. আমীর হোসেন বলেন, ‘সড়ক ঘেঁষা আমাদের বেশ কয়েকজনের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি রয়েছে। মূলত নিজের জমির সামনে থাকা জমি আরও অনেকেই ভরাট করছে। তবে সরকারি জমিতে আমি কোনো স্থাপনা নির্মাণ করছি না। শুধু নিজের জমির সামনে ভরাট করছি।’
মো. রেজাউল করিম নামে অপর একজন বলেন, ‘ওই জমির পেছনে আমার জমি রয়েছে। আমি আমার জমিতে কীভাবে যাব?’
এর আগে আল-নূর চক্ষু হাসপাতাল নামে একটি হাসপাতালের মালিকও তার মালিকানাধীন জায়গার সামনে সড়ক ও জনপথের বেশ কয়েক শতাংশ জলাভূমি দখলের পর ভরাট করে ব্যক্তিগত রাস্তা তৈরি করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. ম. রকিবুল বারী বলেন, ‘ওই স্থানে অফিস থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে। আইনী নোটিশের মাধ্যমে জলাশয় ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।’
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ‘বিবাহিত’, কমিটিতে রয়েছেন ‘বিতর্কিতরা’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যেই সড়ক ও জনপথকে চিঠি দিয়েছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে সীমানা নির্ধারণ করে দিতে। তারা সীমানা নির্ধারণ করে দিলেই সব ধরনের দখল উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’