সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভারত ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরার পথে জুনায়েদ হোসাইন নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার তামাবিল ভারতের ডাউকি সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। এদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভারতীয় ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ নিহতের লাশ তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্থান্তর করে।
নিহত জুনায়েদ (৪৫) ঢাকার শের-ই- বাংলা নগরের শ্যামলী রোডের বাসিন্দা।
জানা গেছে, তিনি বুধবার (১৯ জুন) তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তামাবিল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত ভ্রমণে গিয়েছিলেন। শনিবার বিকাল সিলেটের তামাবিল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরার জন্য ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম শেষ করেন তিনি।
ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) চেকপোস্টে আসার পর বলা হয় তার সন্তানের পাসপোর্টে ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশনের সিল নেই। পাসপোর্টে সিল আনতে পুনরায় ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পথে জুনায়েদ হোসেন বুকের ব্যথা অনুভব করেন। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জুনায়েদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের (ইনচার্জ) মো. রুনু মিয়া জানান, ঘটনার পর ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ বিষয়টি আমাদের অবগত করেন। ঘটনায় পর ভারত ডাউকি পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জুনায়েদের লাশ এবং মৃত্যুর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় তামাবিল সীমান্ত ফাড়িঁর বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।