এ ঘটনায় এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট তেঘরি এলাকার এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন একই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক গোলামের ছেলে ডা. শাহিনুর রহমান।
এতে করে ওই প্রতিবন্ধী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে পল্লী চিকিৎসককে জানানো হয়। তিনি অস্বীকার করলে প্রতিবন্ধীকে তার স্বজনরা আল্ট্রাসোনো করার জন্য মঙ্গলবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
তবে পুলিশের অনুমতি ছাড়া অবিবাহিত কারও অন্ত:সত্ত্বা পরীক্ষা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাকে থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন।
কোতয়ালি মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই নূরজাহান প্রথমে অভিযোগ গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধী অভিযোগ দিতে এসেছিলেন কিন্তু অভিযোগ দেননি বলে জানান তিনি।
প্রতিবন্ধীর চাচা জানান, বিষয়টি জানার পর সোমবার বিকালে ইউপি সদস্য মনকিরকে জানানো হয়। তিনি সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার থানায় যোগাযোগ করতে বলেছেন। বুধবার থানায় গেলে প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরবর্তীতে অভিযোগ নিয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত ডা. শাহিনুর রহমান ও তার স্বজনরা এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে এ বিষয়ে সংবাদ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান।
দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, করোনার কারণে অসহায় দু:স্থদের মধ্যে খাবার বিতরণে ব্যস্ত আছি। আমি বিষয়টি শুনেছি।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসলিম আলম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে অভিযোগটি এখনো হাতে পাইনি।’