শনিবার দুপুরে নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান রায়হানের মা সালমা বেগম।
তিনি জানান, ঘটনার দিন তার ছেলের পরনের টি-শার্ট ও প্যান্ট নীল রঙের ছিল। কিন্তু হাসপাতালে দেখা গেছে তার পরনে লাল রঙের একটি শার্ট। প্যান্টও বদলানো হয়, যেটা তার শরীরের চেয়ে অনেক ছোট ছিল। এটা কারা করেছেন তা তিনি জানেন না।
সালমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়া হয়নি। মূলত তাকে নির্যাতনের সময় মূল আলামত পরনের কাপড় নষ্ট করা হয়েছে। এটা কারা করল?’
এ প্রশ্ন রেখে তিনি সেসব অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
পাশাপাশি ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরকে পালিয়ে যেতে সহায়তাকারী ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আমার ছেলের হত্যার সাথে যারাই জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক।’
সালমা বেগম বলেন, ‘মামলার তদন্ত নিয়ে আমি সন্দেহ পোষণ করি না। কেননা পুলিশের তৎপরতার কারণেই আমার ছেলে হত্যার মূল অভিযুক্ত পলাতক থাকা এসআই আকবর গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু আমার নিরপরাধ ছেলেকে কারা, কী জন্য মেরেছে এ বিষয়টি এখনও বেরিয়ে আসেনি।’
এএসআই আশেক এলাহিসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়ায় মামলার সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত বলে তিনি জানান।
মূল আসামি আকবরকে গ্রেপ্তার করতে পারায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান সালমা বেগম। সেই সাথে খাসিয়া সম্প্রদায়সহ সীমান্ত এলাকার লোকজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।