তারা হলেন- পান্নু মিয়া (৫৮) এবং ফয়সাল (৪০)।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ১২টায় পান্নু মিয়া ঢাকার উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।
তিনি বলেন, সোমবার বিকালে সর্দি, কাশি, জ্বর ও প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে পান্নু মিয়া নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রত্যেকটি উপসর্গ বিদ্যমান থাকায় আমাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. হরেগবিন্দ সরকার তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা দেন। পরীক্ষার ফলাফল দেখে ও অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
পান্নুর অবস্থা আরও অবনতি হলে সন্ধ্যার পর তাকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
পাশাপাশি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মান্দাইল এলাকার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী নাসির উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল আহমেদ গত ২০ দিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন।
সোমবার সকালে ফয়সারের কাশির সাথে নাক দিয়ে রক্তঝড়া শুরু হলে তার বড় ভাই জিগির আহমেদ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজধানীর মিটফোর্ড, ঢাকা মেডিকেলসহ উত্তরা পর্যন্ত ১৬ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বিকালে তিনি মারা যান।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মইনুল ইসলাম জানান, তারা ফয়সালের মৃত্যুর খবর শুনেছেন।
এছাড়াও করোনা সন্দেহে নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৮৫ বছর বয়সী আরও এক বৃদ্ধা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন বিভাগে তিন দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম।