উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুবলং চ্যানেলে পানির তীব্র স্রোতের কারণে কাপ্তাই হ্রদে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কৃর্তপক্ষ। সোমবার সকাল থেকে রাঙ্গামাটির অন্তত ছয়টি নৌ-রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা রাঙ্গামাটি জোন-এর পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
যাত্রীবাহী লঞ্চের মালিক গিয়াস উদ্দিন আদর জানান, পরিস্থিতি উত্তরণ হলে মঙ্গলবার এই পথে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি সাপেক্ষ এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার রাঙ্গামাটি জোন চেয়ারম্যান মো. মঈনুদ্দীন সেলিম জানান, গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে সুবলং চ্যানেলে তীব্র স্রোতের কারণে লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই সোমবার থেকে রাঙ্গামাটির সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রচন্ড স্রোতের কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনার ঝুঁকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার স্রোতের পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে রাঙ্গামাটিতে সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল এর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চার দিনের বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে এসেছে। উপজেলাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
অন্যদিকে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় প্রাথমিকভাবে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে ২৮টি ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে শহরের ১০টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রবল বর্ষণে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন অংশে পাহাড় ধস ও রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক স্বাভাবিক রাখতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাজ করে যাচ্ছে।