রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই শিশুসহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার অপর এক ব্যক্তির নমুনা গত শুক্রবার বিকালে সংগ্রহ করেছিল সরকারের রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একজন টেকনোলজিস্ট। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে দুজনেরই নেগেটিভ এসেছে। শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার জানান, গত ২৩ মার্চ সাত মাস বয়সী একটি ছেলে শিশুকে নিয়ে তথ্য গোপন রেখে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন শহরের কালিশংকরপুর এলাকার এক দম্পতি। ওই সময় শিশুটির শরীরে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি ছিল।
পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রথমে তাদের পরিবারের কেউ বিদেশে থেকে আসেননি বা পরিবারের কোনো সদস্য প্রবাসী কারও সংস্পর্শে যাননি জানালেও পরে শিশুটির বাবা তৌহিদুল ইসলাম একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী বলে জানান। যিনি গত ৯ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন। এ তথ্য জানার পর বৃহস্পতিবার ওই শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে আইসোলেশনে নেয়া হয়।
এ ঘটনায়, ওই দিনই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী সিঙ্গাপুর প্রবাসীর ওই বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করার নির্দেশ দেন এবং তৌহিদুল ইসলাম নামের ওই সিঙ্গাপুর প্রবাসীর শহরের কালিশংকরপুরের একতলা বাড়িটিতে লাল নিশানা টাঙিয়ে দেন।
তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা শিশুটিকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানালে শুক্রবার ওই শিশুটির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। পরে আইইডিসিআরের পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। শিশুটি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকায় রবিবার দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। শিশুটির মা-বাবা তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান।