পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে ট্রাক্টরের ধাক্কায় পথচারী নিহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় পথচারী নিহত হয়েছেন। রবিবার উপজেলার শালবাহানহাট ইউনিয়নের কৈমারী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জিয়া (৪২) উপজেলার শালবাহানহাট ইউনিয়নের সোনাকন্দর এলাকার দেবারু মোহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে ট্রাক্টরের চাপায় যুবক নিহত
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহানহাট ইউনিয়নের কৈমারী এলাকায় একটি ট্রাক থেকে মুরগির লিটার (বিষ্ঠা) আনলোড করা হচ্ছিল। জিয়া রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক্টর তাকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়াকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় ইটভাটার ২ শ্রমিক নিহত
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকালে জেলার সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের পঞ্চগড়-কহুরুরহাট সড়কের নতুন বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আব্দুল আজিজ ওরফে কালু বিডিআর (৫৫) ও তার ছেলে বিজিবি সদস্য আরিফ হোসেন (২৫)। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি এলাকায়।
তারা দুজনে মোটরসাইকেল যোগে চাকলাহাট বাজার থেকে বাসায় ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
চাকলাহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. রাসেল আলী জানান, আরিফ হোসেন ও তার বাবা আব্দুল আজিজকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে চাকলারহাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পঞ্চগড়-কহুরুরহাট সড়কের নতুনবন্দর এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। এসময় ট্রাক্টরের চাকায় পিস্ট হয়ে আরিফ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হন তার বাবা আব্দুল আজিজ। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আব্দুল আজিজকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে গেলে তারও মৃত্যু হয়।
আরিফের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, বিয়ে করার জন্য আরিফ ছুটিতে বাসায় এসেছিল। গত ২৪ মার্চ তার বিয়ে হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ছেলের মৃত্যুতে দুই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিঞা সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ট্রাক্টরটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: জামাই বাড়িতে বেড়াতে এসে মোটরসাইকেল চাপায় বৃদ্ধ নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রলি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২
ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর সরকার এ নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার ইয়াছিন আরাফাত (৩৩) নীলফামারী জেলার গোরগ্রাম মাঝাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডুডুমারী হাফেজিয়া মাদরাসায় কর্মরত আছেন।
পুলিশ জানায়, ইয়াছিন আরাফাত গত ১১ মার্চ রাতে ১২ বছর বয়সী ওই মাদরাসার এক ছাত্রকে তার কক্ষে নিয়ে যায়। শেষ রাতের দিকে তাকে বলাৎকার করে। পরদিন ওই ছাত্র বাড়িতে চলে যায়। বাড়ি থেকে মাদরাসায় যেতে আপত্তি জানালে তার বাবা না যাওয়ার কারণ জানতে চায়। এসময় সে বিষয়টি বাবাকে জানায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ওই মাদরাসা শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত ওই শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে, শিক্ষক গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী, জাতীয় শিশু দিবস ও পবিত্র শব ই বরাত উপলক্ষে তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে স্থলবন্দরের সরকারি কার্যক্রম ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ৬ দিন বন্ধ
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন জানান, বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির ও শনিবার পবিত্র শব ই বরাত কারণে এই তিন দিন স্থলবন্দরে সকল আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে ১২ দিনের ছুটিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের আমদানি রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
আগামী রবিবার সকাল থেকে পুনরায় স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হবে।
বাঁচানো যায়নি ভারতীয় হরিণটি
অবশেষে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা হরিণটি মারা গেছে। বনবিভাগ মৃত হরিণটিকে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম সিকটিহারিতে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা হরিণটিকে ধরতে প্রানপণ চেষ্টা করেও ধরতে পারেনি। দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগ এবং উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল আলম হালিম ও সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা ঋষিকেষ রায় জানান, খাবারের খোঁজে পথ ভুলে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে হরিণটি বাংলাদেশের সিকটিহারি গ্রামে প্রবেশ করে। উৎসুক জনতার ধাওয়ায় হরিণটির পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। হরিণ দেখতে সেখানে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণটিকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আমাদের সামনেই হরিণটি মারা যায়। রাতে হরিণটিকে আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে এসে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দেয়া হয়।
আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শামীমা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হরিণটিকে ধরার জন্য স্থানীয়রা ধাওয়া করায় পা কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ভয়ে হরিণটি মারা যায়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকুল আলাম হালিম জানান, হরিণটির পা থেকে অনবরত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মিলে হরিণটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাণীটিকে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
কয়রায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৪
বাগেরহাটে হরিণের ৫ চামড়াসহ পাচারকারি আটক
পঞ্চগড়ে নির্বাচন স্থগিত করায় অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ
পঞ্চগড় জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত করায় শুক্রবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে অবরোধ চলছে।
শনিবার ওই সংগঠনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টের আদেশে নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
এ ঘোষণার পর থেকেই শুক্রবার রাত দশটা থেকে এখন পর্যন্ত সকল রুটে অবরোধ চলছে। অবরোধের ফলে শনিবার সকালেও দূরপাল্লার কোন বাস, মিনিবাস জেলা ছেড়ে যেতে পারেনি। দিনভর জেলার বাইরে থেকেও কোন পরিবহন প্রবেশ করতে পারেনি।
ফলে শুক্রবার রাত থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ের সড়ক মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাসসহ কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ যাত্রী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
পঞ্চগড় জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও পঞ্চগড় জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যকার দ্বন্ধের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান প্রসাশন।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কলেজ শিক্ষার্থী আফসানা আক্তার রুম্পা জানান, কলেজের পরীক্ষা চলছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
আশরাফুল ইসলাম ও হিমেল খান নামে দুজন পথচারী জানান, সড়ক মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে। সাইকেল মোটরসাইকেল নিয়েও চলাচল করা যাচ্ছে না। হাজার হাজার পথচারী বিড়ম্বনায় পড়েছেন। জনদুর্ভোগ লাঘবে শ্রমিক সংগঠন ও স্থানীয় প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি
পঞ্চগড় জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফ জানান, ভোটের আগের দিন ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না দেয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবরোধ চলবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত একটি শ্রমিকও বাড়ি ফিরবে না।
পঞ্চগড় জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাবিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জসিদুল ইসলাম জসিম জানান, ‘২০১৭ সালে গেজেট করে সরকার জেলা ভিত্তিক শ্রমিক সংগঠনের শ্রেণি বিভাগ করে দিয়েছেন। এরপর জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আর অস্তিত্ব থাকে না। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমরা ট্রাক, ট্যাংকলড়ি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ১৭ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নির্বাচনের সিডিউল স্থগিতাদেশ দেন। তারপরও তারা তা অমান্য করে নির্বাচনের কার্যক্রম করে যাচ্ছিল। অবশেষে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনারের কাছে আদালতের আদেশের কপি পৌঁছালে তিনি নির্বাচন স্থগিত করে দেন। তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচনে যেতে পারতো।’
জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আনোয়ার সাদাত সম্রাট জানান, আমরা সকলেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বলে নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসূফ আলী জানান, উচ্চ আদালতের এক আদেশে ওই শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। এর পরপরই শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়কে অবরোধ করেছেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। সমঝোতার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ে সমাধান হয়ে যাবে।
পঞ্চগড়ে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
পঞ্চগড় সদরে পিকআপ ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০দিকে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ফিরোজ (৩০) জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর তাঁতীপাড়া গ্রামের মো. ফেরদৌসের ছেলে। আহত সোহেল হোসেন (২০) একই গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জয়পুরহাট থেকে মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক তেঁতুলিয়ায় যাচ্ছিলেন। পথে পঞ্চগড় সদরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় পিকআপের সঙ্গে তাদের বহন করা মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ফিরোজ ও সোহেল আহত হন।
খবর পেয়ে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত দুজনকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. উম্মে হুমায়রা ফিরোজকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর আহত সোহেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পিকআপের চালক পালিয়ে গেলেও পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তুষার কান্তি রায় ও পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিঞা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে চারদিক। সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। হালকা হিমেল হাওয়া বইছে। তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ছে।
বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই দিন সকাল থেকেই হালকা কুয়াশার সঙ্গে আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। এরপর রাত থেকে এখন পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢেকে পড়েছে চারপাশ।
আরও পড়ুন: আবারও দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
এদিকে, মেঘলা আকাশের পাশাপাশি টিপ টিপ কুয়াশা ঝড়ছে। তবে বৃহস্পতিবারে তুলনায় শুক্রবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি। ৩ থেকে ৫ নটিকেল মাইল বেগে বয়ে যাচ্ছে বাতাস।
অপরদিকে, শীতজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে বয়স্ক ও শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও শীতার্তদের একটি বিরাট অংশ এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বৃষ্টির পর ঘনকুয়াশা হচ্ছে। আবারও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আকাশ পরিষ্কার হলে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
বৃষ্টি-শীতে পঞ্চগড়ের জনজীবন স্থবির
শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ায় কাঁপছে পঞ্চগড়বাসী। জেলায় তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও সকাল থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: বজ্রসহ বৃষ্টিতে ভিজল দেশের বিভিন্ন জায়গা
ভোর থেকে কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সূর্য্যের মুখ দেখা যায়নি। হাটবাজার রাস্তাঘাটে মানুষজনের চলাচল কমে গেছে। যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ছাতা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে বের হয়েছে। অনেককে রেইনকোর্ট নিয়ে বের হয়েছে।
জেলা শহরের মসজিদপাড়া এলাকার গৃহিনী সালমা বেগম জানান, একদিকে বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। ঠিকমতো রান্না করতে পারছি না। পানির অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
জেলা শহরের নতুনবস্তি এলাকার রমজান আলী জানান, ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কাজকর্ম নেই। আয় উপার্জনও নেই। খুব সমস্যায় পড়েছি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সকালে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: আবারও দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
টানা ৪ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
টানা চতুর্থ দিনের মত সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে পঞ্চগড়ে। এসময়ে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ জেলার ওপর দিয়ে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার এখানে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়ার টানা এই অবস্থানে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ।
গত ২৯ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলায় একটানা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
এদিকে একটানা শীতের প্রকোপে জেলা জুড়ে শীত ও শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।