দেশব্যাপী
দেশব্যাপী বিরোধী দলগুলোর ৩ দিনের অবরোধ চলছে
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ দিতে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৩ দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ চলছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও একই দাবিতে আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একযোগে অবরোধ পালন করছে।
বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি ও এনডিএম পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে অবরোধচলাকালে যেকোনো সহিংসতা প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের অবরোধে যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত মালিক সমিতির
পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে সারা দেশে নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য তাদের ইউনিটগুলোকে সতর্ক করেছে।
ঢাকার প্রবেশপথ ও প্রধান সব পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে এবং চেকপোস্ট বসিয়েছে।
দিনব্যাপী হরতাল পালনের পর রবিবার সন্ধ্যায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী টানা ৩দিন সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দেন।
তবে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন তিন দিনের অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের ৩ দিনের অবরোধ শুরু মঙ্গলবার থেকে
মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
নাটোরে দেশব্যাপী চলমান হরতালে টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর কম উপস্থিতি
নাটোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই লাঠি-সোটা নিয়ে টহলসহ বাস টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীদের। এ সময় বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল যাত্রীর কম উপস্থিতি।
এ অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে একটি লোকাল বাস নাটোর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি করেছেন নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান।
ইউএনবির নাটোর প্রতিনিধি সরেজমিনে দেখেছেন, সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এ সময় হরতালের সমর্থনে বিএনপি বা সহযোগী সংগঠনের কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। তবে হরতালের সমর্থনে শনিবার রাতে শহরের আলাইপুর এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে যুবদল।
আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টা পর কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
১৫ ঘন্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
একদফা আন্দোলন: মঙ্গলবার দেশব্যাপী পদযাত্রা করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
তাদের একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে পদযাত্রা করবে বিএনপি এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের এক দফা আন্দোলনের এটাই হবে প্রথম কর্মসূচি।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল ১০টায় গাবতলী বাসস্টেশন থেকে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন।
পার্টির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদস গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়াও দলের সকল মহানগর ও জেলা শাখা একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি সর্বস্তরের জনগণ এবং বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মিছিল কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
এর আগে গত ১২ জুলাই মির্জা ফখরুল আনুষ্ঠানিকভাবে ‘একদফা’ আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
এক দফা দাবি আদায়ে প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়াও বিএনপি আগামী ১৯ জুলাই (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। অন্যান্য বিরোধী দল ও জোটও রাজধানীতে কর্মসূচি পালন করবে।
দলটির দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ' আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং সকল মিথ্যা সাজা বাতিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো মানুষের ঢল
১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীতে বিএনপির মিছিলে ডিএমপির আপত্তি নেই: এ্যানী
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান: দেশব্যাপী ১৫০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের ব্যবধান বাড়ছে। ফলে সোমবার সারাদেশে এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অফিসিয়াল তথ্যানুসারে, রবিবার দেশে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে প্রকৃত বিদ্যুত ঘাটতি ছিল প্রায় এক হাজার ৪০১ মেগাওয়াট।
এদিন সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে মোট বিদ্যুত উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৫৯৯ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে লোডশেডিং: সরকারের পক্ষে অবস্থান পাক জ্বালানি মন্ত্রীর
বিপিডিবি আরও জানায়, দেশে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১৫ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া লোডশেডিংয়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে সন্ধ্যঅ ৭টা থেকে রাত ১১টায় মোট ৮৪০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হবে।
তবে বিপিডিবির অধিকাংশ শীর্ষ কর্মকর্তা মনে করেন, বিভিন্ন কারণে আজকের পূর্বাভাস অনুযায়ী অপারেটিং প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।
তারা বলেন, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্র বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়া বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু প্ল্যান্টের মেশিন উচ্চ তাপমাত্রা এবং ট্রিপ সহ্য করতে পারে না।
বিপিডিবি পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশে মোট এক হাজার ২৯১ মেগাওয়াট লোডশেডিং হবে, যার মধ্যে খুলনা অঞ্চলে ৩৫০ মেগাওয়াট সর্বোচ্চ লোডশেডিং হবে। তারপরে ময়মনসিংহে ২৪৯ মেগাওয়াট, কুমিল্লা ২৪০ মেগাওয়াট, রাজশাহী ২১০ মেগাওয়াট, রংপুরে ১৩২ মেগাওয়াট, সিলেটে ১০০ মেগাওয়াট এবং ঢাকায় লোডশেডিং হবে। তবে চট্টগ্রাম ও বরিশালে কোনো লোডশেডিং থাকবে না।
এতে আরও জানা যায়, বিআইএফপিসিএলের কয়লাচালিত রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল প্ল্যান্ট দুইদিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে আর চালু করা যায়নি। ফলে প্ল্যান্ট থেকে ৬১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে না জাতীয় গ্রিড।
অন্যদিকে বিপিডিবির আরেক কর্মকর্তা জানান, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রিডের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে, যার ফলে বিদ্যুত ঘাটতি বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
খুলনায় তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা বিএনপি’র
১০ দফা দাবি আদায়ে ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে দলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সকল মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা ও পৌরসভায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো আজ রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু
কর্মসূচিটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টায় মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে চার ঘণ্টার এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
বিএনপি নেতারা বলেন যে ২০০৭ সালে সেই দিনে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে ১১ জানুয়ারির জন্য এই কর্মসূচি তৈরি করা হয়, দিনটি দেশে ‘এক-এগারো’ নামে পরিচিত।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে রাজধানী ও রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বুধবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
খুলনায় ৪ দিনে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
দেশব্যাপী শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে নতুন করে চাপে পড়েছে খুলনা বিএনপি। গত চারদিনে দলটির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিরাতেই বাড়ি বাড়ি অভিযান চলছে। এর মধ্যে ফের শুরু হয়েছে মামলা।
সবমিলিয়ে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতারা জানান, অভিযানে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে, এমন আশংকা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু অভিযান এতো জোরালো হবে সেটি তারা বুঝতে পারেননি।
এছাড়া গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক নেতা এখন এলাকা ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার থানায় গেলে দেখা যায়, গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতা শরিফুল ইসলাম টিপুকে।
আরও পড়ুন: এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ নিয়ে ফখরুল
কোন থানায় কে আটক রয়েছে-এই তথ্যও কেউ জানাতে পারছে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযান শুরুর প্রথম দিনেই ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইমদাদুল হকসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়। পরের দুই দিনে আরও ২৫ জন আটক হয়েছেন।
এছাড়া নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এরই মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪ ডিসেম্বর রাতে মামলা করেছে পুলিশ।
ওই মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহম্মেদ, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহম্মেদ সুমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, নগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করতে বিশেষ অভিযানের নামে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ঢাকায় সমাবেশ অংশ নিলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, তিনদিনে অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে ঢাকায় চলে গেছে। সমাবেশ শেষ করে সবাই খুলনায় ফিরবে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র থেকে খুলনার নেতাকর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। দল থেকে ঢাকায় যাওয়ারও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তারপরও নেতাকর্মীরা দল বেধে ঢাকায় যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১, প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আটক
অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পূর্ব গোপালনগর এলাকায় শাওনের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নিতে সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে যুবদল কর্মী রাজা আহমেদ শাওনকে হত্যা করেছে। এছাড়া শাওন যুবদলের প্রমাণিত ও পরীক্ষিত একজন সক্রিয় কর্মী। দলীয় কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণের অনেক ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
নিহত শাওন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সে যুবদলের কর্মী নয় বলে পুলিশ ও সরকার এখন মিথ্যাচার করছে। সরকার সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করে মানবাধিকার লংঘন করছে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে শাওন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। অন্যথায় অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।
দুপুরে বারোটায় নিহত শাওনের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রায় বিশ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি সহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: হারানো অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হউন: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে তুর্কি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
দেশব্যাপী লকডাউনে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী
দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি রোধকল্পে সরকার সারাদেশ জুড়ে প্রাথমিক ভাবে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। আগামী সোমবার থেকে এই কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হবে।
শুক্রবার তথ্য অধিদপ্তর এই তথ্য নিশ্চিত করে জানায় শনিবার মন্ত্রিপরিষদ এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানাবে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সারাদেশে ৭ দিনের ‘কঠোর লকডাউন’
তবে শুক্রবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদে জানান, দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নামতে পারে আর্মি। পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি লকডাউন নিশ্চিত করতে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী।
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার থেকে সাতদিন কঠোর বিধি নিষেধ থাকবে। পরে প্রয়োজন হলে সময় আরও বাড়ানো হবে। সবাই যেন কঠোর লকডাইন মানে সে জন্য কড়কড়ি থাকবে। এই লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকতে পারে।’
লকডাউন চলাকালীন সময়ে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনায় আবারও মৃত্যু একশ’ ছাড়াল
জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেনস ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। তবে গণমাধ্যম লকডাউনের বিধি নিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
১৬ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গণপরিবহন
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সাথে মিল রেখে দেশব্যাপী গণপরিবহন বন্ধ রাখার চলমান সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
দেশব্যাপী সেনা মোতায়েন, বুধবার থেকে পুরোপুরি কাজ শুরু: আইএসপিআর
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বর্তমানে বাংলাদেশের সংক্রমণ এবং বিস্তৃতির ঝুঁকি বিবেচনায় উদ্ভূত এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার থেকে দেশের সকল জেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।