রাষ্ট্রপতি
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন।
এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ছবির স্বত্ব ব্যক্তির নয়, রাষ্ট্রের: হাইকোর্ট
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।
ভারতের রাষ্ট্রপতি, স্ত্রী, কন্যা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ভারতীয় এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বেলা ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক অবতরণ করে। এসময় বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম তাদের স্বাগত জানান।
বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সমাপনী অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে এই সফর করেছেন।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
ঢাকায় আসার পর রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এছাড়া তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
একই দিন দুপুরে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
বুধবার রাম নাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি আবদুল আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন তিনি।
একই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
শুক্রবার সফরের তৃতীয় দিন, ভারতের রাষ্ট্রপতি রমনা ‘কালী মন্দির’ এর সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করবেন। তিনি মন্দিরের সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে ২৬ থেকে ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করেন।
ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের আগে রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবেন। আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু হবে।’
জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে প্রথমে সংলাপে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশনের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন: বাহাউদ্দিন নাছিম
৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার বাংলাদেশে আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
দু’দেশের বিদ্যমান ভালো সম্পর্কের মধ্যে ‘অনন্য উদাহরণ’ হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার বাংলাদেশে আসবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান এবং দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি টি-৫৫ ট্যাঙ্ক ও একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উপহার দেবেন।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ভারতের রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হিসেবে দেশটির ফার্স্ট লেডি, রাষ্ট্রপতির মেয়ে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী ও প্রকৃত বন্ধু। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শুধু সীমান্ত নয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্ধু প্রতীম এই দেশের অটল সমর্থন দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: ভারত
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন এবং বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে। এরপর তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
একই দিন দুপুরে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এ সফর নিয়ে ভারতীয় পক্ষ বলছে, ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে এ সফরটি দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি উভয় দেশ যে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয় তার প্রতিফলন।
বুধবার রাম নাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি আবদুল আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন তিনি।
একই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা ঢাকায়
শুক্রবার সফরের তৃতীয় দিন, ভারতের রাষ্ট্রপতি রমনা ‘কালী মন্দির’ এর সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করবেন। তিনি মন্দিরের সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে ২৬ থেকে ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' পালিত
দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে পরিকল্পিতভাবে প্রাণ হারানো বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে জাতি আজ মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আজ সকালে রাষ্ট্রপ্রতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের তরুণদের বেকারত্ব দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে দক্ষতার ব্যবধান চিহ্নিতকরণ ও কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দক্ষতার ফাঁকা জায়গাগুলো শনাক্ত করতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক, উদ্ভাবনী ও দক্ষ থাকার জন্য দ্রুত উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা নতুন করে সাজাতে হবে।’
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড (আইসি৪আইআর)-২০২১’ বিষয়ক দুদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্রেজুয়েটদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশি, যা দক্ষতার অমিলকে নির্দেশ করে। আমাদের চাকরির বাজারে বিদেশিরা আধিপত্য বিস্তার করছে, বিশেষ করে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে, কর্পোরেট সংস্থা এবং বহু-জাতিক কোম্পানিতে। এই প্রবণতার ফলে বাংলাদেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রেমিটেন্স আউটফ্লো হয়।’
সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ আসবে
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থানীয় ও বৈশ্বিক চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘ যদিও আমরা কৃষি, অটোমেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং এবং অন্যান্য অনেক খাতে ক্রমবর্ধমান উন্নতি করছি। তবে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে আরও বেশি জোর দিতে হবে।’
সম্মেলনের পাশাপাশি আরও দুটি ইভেন্ট হচ্ছে- ‘মুজিব ১০০ আইডিয়া কনটেস্ট’ এবং ‘মুজিব ১০০ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সিবিট’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপ-শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বৈষম্য দূর করতে সবার সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষই দুর্নীতিবাজ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না। পারিবারিক, সামাজিক ও আশপাশের পরিবেশই মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিজের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘আপনার অধিকার, আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সৎ, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবানদের সামাজিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই সমাজে দুর্নীতি হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের চাহিদার সীমা থাকে, কিন্তু লোভ সীমাহীন। দুর্নীতি এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক সমাজে প্রচলিত আছে। পৃথিবীর কোনো দেশই এর কুপ্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। ’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সামাজিকভাবে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব জাগ্রত না হলে কেবল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একার পক্ষে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।’
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই। মানুষের মাঝে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা তৈরি এবং দুর্নীতগ্রস্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমেই কেবলমাত্র দুর্নীতিকে সহনশীল মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব।’
তিনি কমিশনের সকল পর্যায়ে কর্মচারীদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অন্যের দুর্নীতি চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আগে আপনাকে নিজের অনিয়ম ও অসততা দূর করতে হবে। যারা রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে এবং দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না জনমনে এমন ধারণা জন্মাতে পারলেই দুদকের ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে।’
দিবসটি উপলক্ষে দুদক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
এ উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
দুর্নীতিকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগের ফলে ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘে দুর্নীতিবিরোধী সনদ আনকাক গৃহীত হয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান-এর পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।
এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সম্প্রতি নারীদের প্রতি বিভিন্ন অসম্মানজনক মন্তব্যের জন্য মুরাদ বিভিন্ন মহলে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
পড়ুন: মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
মুরাদের বিরুদ্ধে থানায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ
রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: ভারত
বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বাংলাদেশ সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
আগামী ১৫-১৭ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের ঘোষণা দিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিবৃতিতে জানায়, পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এটি একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন। এই সফর বহুমুখী ও অপরিবর্তনীয় অংশীদারিত্বকে আরও সুসংহত ও শক্তিশালী করার জন্য উভয় দেশের যৌথ আকাঙ্ক্ষাকেও নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বাংলাদেশ-ভারত ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। সফরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে ২০২১ সালের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা ঢাকায়
ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ আরও সহযোগিতা পাবে: শ্রিংলা
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
যথাযোগ্য মর্যাদায় রবিবার সারাদেশে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এই নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ এবং এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সোহরাওয়ার্দীর অবদানকে জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সারাজীবন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশে কাজ করেছেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং একজন আইনজীবী। তিনি ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরে একটি সম্ভ্রান্ত বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতায় পড়াশোনা শেষ করে তিনি অক্সফোর্ডে ব্যারিস্টারি পড়তে যান। সেখানে তিনি গ্রেট ব্রিটেনের গ্রে'স ইনে আইন চর্চা করেন।
তিনি ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে মারা যান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বসবে লালন ‘স্মরণোৎসব’ ও সাধু মেলার ৩১তম আসর
ক্যানবেরায় বাঙালি জাতির মুক্তির নায়ককে স্মরণ