বিয়ে
অবশেষে বিয়ে করলেন ক্যাটরিনা-ভিকি
বলিউডের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী অভিনেত্রীদের অন্যতম ক্যাটরিনা কাইফ ও হালের হার্টথ্রব ভিকি কৌশল জুটি অবশেষে বিয়ে করেছেন। বৃহস্পতিবার ভারতের রাজস্থানের সিক্স সেন্সেস ফোর্ট বারোয়ারা নামে একটি রিসোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনো অতিথিকে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া না হলেও সন্ধ্যায় নব দম্পতি হিসেবে তার ও ভিকির প্রথম ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন ক্যাটরিনা।
ছবি শেয়ার করে ক্যাটরিনা লেখেন, ‘সব কিছুর জন্য আমাদের হৃদয়ে শুধু ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা যা আমাদের এই মুহূর্তে নিয়ে এসেছে। একসঙ্গে এ নতুন যাত্রা শুরু করায় আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই।’
তবে এ বিয়ের বিষয়ে ৩৮ বছর বয়সী ক্যাটরিনা ও ৩৩ বছর বছর বয়সী ভিকির পরিবারের সদস্যরা বুধবার পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন।
হংকং-এ জন্মগ্রহণকারী মডেল-অভিনেত্রী ক্যাটরিনা ২০০৩ সালে অ্যাকশন ফিল্ম ‘বুম’ দিয়ে তার বলিউড ক্যারিয়ার শুরু করেন। বুম ফ্লপ হওয়ার দুই বছর পর সালমান প্রযোজিত রোমান্টিক কমেডি ধারার ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়ুন কিয়া’ দিয়ে তিনি বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে সাফল্য লাভ করেন।
এরপর একের পর এক বক্স অফিস হিট ছবি উপহার দেন ক্যাটরিনা। ২০০৭ সালে ‘নমস্তে লন্ডন’,২০০৯ সালে ‘নিউ ইয়র্ক’, একই বছর ‘আজব প্রেম কি গজব কাহান’, ২০১০ সালে ‘রাজনীতি’, ২০১১ সালে ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ২০১২ সালে 'এক থা টাইগার', ২০১৩ সালে ‘ধুম ৩’ এবং ২০১৪ তে ‘ব্যাং ব্যাং’ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
ক্যাটরিনার অন্যতম সর্বোচ্চ আয় করা বলিউড ছবি হলো ২০১৭ সালের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ এবং ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ভারত’। এই ছবিতে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন সালমান খান। তার সর্বশেষ অ্যাকশনধর্মী সিনেমা ‘সূর্যবংশী’ তে তার সহ-অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং অজয় দেবগন।
অন্যদিকে অ্যাকশন ডিরেক্টর শাম কৌশল এবং তার স্ত্রী বীনার সন্তান ভিকি ২০১২ সালে ক্রাইম ড্রামা ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’-এ চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপের সহকারী হিসেবে বলিউডে প্রবেশ করেন।
তবে, ২০১৮ সালে ‘রাজ’ এবং ‘সঞ্জু’তে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে লাইমলাইটে আসেন ভিকি।
এর এক বছর পর সমালোচকদের প্রশংসিত অ্যাকশন ছবি ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ একজন সামরিক কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ভিকি কৌশল।
আরও পড়ুন: ক্যাটরিনার বিয়েতে প্রাক্তন প্রেমিক সালমান ও রণবীরকে 'নিমন্ত্রণ করা হয়নি'
বলিউড: আইসোলেশন জীবনে স্যোশাল মিডিয়ায় সরব ক্যাটরিনা
ক্যাটরিনার বিয়েতে প্রাক্তন প্রেমিক সালমান ও রণবীরকে 'নিমন্ত্রণ করা হয়নি'
বলিউডের বড় দুই সুপারস্টার সালমান খান এবং রণবীর কাপুরকে ক্যাটরিনা কাইফ এবং ভিকি কৌশলের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বাংলাদেশের প্রথম গণমাধ্যম হিসেবে ইউএনবি ক্যাটরিনা-ভিকির বিয়ের ভেন্যু সম্পর্কে গত মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের একটি রিসোর্টে বলিউডের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী অভিনেত্রীদের অন্যতম ক্যাটরিনা কাইফ এবং হালের হার্টথ্রব ভিকি কৌশলের বিয়ের ভেন্যু নির্ধারিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বলিউডের পোস্টার বয় সালমান খানের সঙ্গে একসময় ক্যাটরিনার গভীর প্রেম থাকলেও এখন তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আশ্চর্যের ব্যাপার, ক্যাটের বিয়ের অতিথিদের তালিকায় সালমানের পরিবারের কারও নাম নেই। সালমানের বোন অর্পিতা জানিয়েছেন,‘আমরা বিয়ের জন্য কোনও আমন্ত্রণ পাইনি।’
সালমান এবং ক্যাটরিনা বেশ কয়েকটি ব্লকবাস্টার ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। এর মধ্যে 'পার্টনার', 'এক থা টাইগার', 'টাইগার জিন্দা হ্যায়','ম্যায়নে পেয়ার কিয়ুন কিয়া'এবং 'ভারত’ উল্লেখযোগ্য। গুঞ্জন রয়েছে সালমান খান 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়ুন কিয়া'ছবির মধ্য দিয়ে ক্যাটরিনাকে বলিউডে নতুন করে কাজে ফিরতে সাহায্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বলিউড: আইসোলেশন জীবনে স্যোশাল মিডিয়ায় সরব ক্যাটরিনা
সালমানের সাথে প্রেম বিচ্ছেদের পর ক্যাটরিনা বলিউডের আরেক হার্টথ্রব রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রায় ছয় বছর ধরে প্রেম করেন। এমনকি সেসময় তারা দুজন মিলে মুম্বাইতে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টও কিনেছিলেন। বর্তমানে রণবীর কাপুর ক্যাটরিনার প্রিয় বন্ধু অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সাথে লিভ-ইন সম্পর্কে আছেন।
সূত্রের খবরে জানা যায়, রণবীরকেও ক্যাটরিনার বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এছাড়াও সূত্র আরও জানিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী ক্যাটরিনা এবং ৩৩-বছর বয়সী ভিকি একটি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনকে তাদের বিয়ের ছবি এবং ভিডিওর সত্বাধিকার দিয়েছেন। আর তাই, বিয়েতে নিমন্ত্রিতদের আসার সময় মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
হংকং-এ জন্মগ্রহণকারী এই মডেল-অভিনেত্রী ২০০৩ সালে অ্যাকশন ফিল্ম 'বুম' দিয়ে তার বলিউড ক্যারিয়ার শুরু করেন। বুম ফ্লপ হওয়ার দুই বছর পর সালমানের ভাইয়ের প্রযোজিত রোমান্টিক কমেডি ধারার ছবি 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়ুন কিয়া'দিয়ে তিনি বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে সাফল্য লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ক্যাটরিনা এবার ‘হোয়াটস ইন ইয়োর ডাব্বা চ্যালেঞ্জে’
এরপর একের পর এক বক্স অফিস হিট ছবি উপহার দেন ক্যাটরিনা। ২০০৭ সালে 'নমস্তে লন্ডন',২০০৯ সালে 'নিউ ইয়র্ক', ২০০৯ সালে 'আজব প্রেম কি গজব কাহানি', ২০১০ সালে 'রাজনীতি', ২০১১ সালে 'জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা', ২০১২ সালে 'এক থা টাইগার', ২০১৩ সালে 'ধুম ৩' এবং ২০১৪ তে 'ব্যাং ব্যাং'এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
ক্যাটরিনার অন্যতম সর্বোচ্চ আয় করা বলিউড ছবি হল ২০১৭ সালের 'টাইগার জিন্দা হ্যায়’ এবং ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'ভারত’। এই ছবিতে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন সালমান খান। তার সর্বশেষ অ্যাকশনধর্মী সিনেমা 'সূর্যবংশী'তে তার সহ-অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং অজয় দেবগন।
অন্যদিকে অ্যাকশন ডিরেক্টর শাম কৌশল এবং তার স্ত্রী বীনার সন্তান ভিকি ২০১২ সালে ক্রাইম ড্রামা 'গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর'-এ চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপের সহকারী হিসেবে বলিউডে প্রবেশ করেন।
তবে, ২০১৮ সালে 'রাজি' এবং 'সঞ্জু'-তে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে লাইমলাইটে আসেন ভিকি।
এর এক বছর পর সমালোচকদের প্রশংসিত অ্যাকশন ছবি 'উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'-এ একজন সামরিক কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ভিকি কৌশল।
আরও পড়ুন: ‘নিজেকে ক্যাটরিনা কাইফ মনে করছো’ অভিনেত্রীকে সালমানের ভর্ৎসনা!
বাল্যবিয়ে পড়াতে গিয়ে কাজীর জেল, বরের জরিমানা
সব ঠিকঠাক। একটু পরেই কবুল বলে পড়ানো হবে বিয়ে। তাই মাথায় টুপি আর গায়ে শেরওয়ানি পড়ে বিয়ের আসরে উপস্থিত বর মো. রুবেল হোসেন (২১)। কনে (পাত্রী) বৃষ্টি আক্তারকেও বিয়ের সাজে সাজিয়ে বসানো হয়েছে বরের পাশে। বিয়ের কাজী রেহান রেজাও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বিয়ে পড়ানোর প্রহর গুনছেন।
কিন্তু কনে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এ খবর পেয়ে আর দেরি করেননি স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। হঠাৎ করেই বিয়ে বাড়ির আসরে মেহমান হিসেবে পুলিশ নিয়ে হাজির হয়ে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।
আটক করেন কাজীকে। বাল্যবিয়ে পড়ানো ও নিকাহনামা রেজিষ্ট্রেশন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কাজীকে দেয়া ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ। আর পাত্র রুবেলকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ন্যাটাশন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) রেহান রেজা (৪৭) উপজেলার চেংমারী গ্রামের হুমাউন রেজার ছেলে। তিনি খানপুর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজি হিসেবে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সাহসিকতা সম্মাননা পেল কুড়িগ্রামের ৭ কিশোরী
অন্যদিকে পাত্র রুবেল পাশের নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে খানপুর ইউনিয়নের ন্যাটাশন এলাকায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন খবরে থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন ইউএনও। বিয়ের জন্য নিকাহ্ রেজিস্ট্রারে লেখাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এসময় ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। আর বরের পাশে কনে সেজে মেয়ের ভাবি বসে পড়ে। বিষয়টি ইউএনও’র সন্দেহ হলে তখনই তাদের আটক করে বিভিন্ন অপরাধে সাজা ও জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া বৃষ্টি আক্তার নামে এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবরে পেয়ে বিয়ে বাড়িতে যাই। এসময় পাত্র রুবেল হোসেনকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আর নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজী রেহান রেজাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেয়া যাবে না শর্তে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সংবর্ধনা পেলো মোনালিসা
বাগেরহাটে দেড় বছরে ৩১৭৮ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে
বিয়ে করলেন মালালা ইউসুফ
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ও নারী শিক্ষাকর্মী মালালা ইউসুফজাই বিয়ে করেছেন।২৪ বছর বয়সী মানবাধিকার কর্মী মালালা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আসার মালিককে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। মঙ্গলবার স্বামী এবং তার পরিবারের সাথে বিয়ের কয়েকটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন মালালা।
টুইটারে তিনি লিখেন, ‘আজকের দিনটি আমার জীবনের জন্য একটি মহামূল্যবান দিন। আসার এবং আমি সারা জীবনের জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছি। আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ছোট পরিসরে বার্মিংহামের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, বাকি জীবন আমরা একসাথে কাটাতে চাই।’
পড়ুন: বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সাহসিকতা সম্মাননা পেল কুড়িগ্রামের ৭ কিশোরী
নারীশিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাওয়ায় ২০১২ সালে তালেবান জঙ্গিরা তাকে গুলি করে। তবে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।
২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে মালালা ইউসুফজাই ভারতের কৈলাস সত্যার্থীর সাথে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন।
তিনি ২০২০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন। তার স্বামী মালিক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে হাই পারফরম্যান্সের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
পড়ুন: তরুণদের জলবায়ু যুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান ওবামার
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
ভোলায় বিয়ের আশ্বাসে সৌদি প্রবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
ভোলার মনপুরায় বিয়ের আশ্বাসে সৌদি আরব প্রবাসী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো.মামুন সুলতান (২৫)নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ওই তরুণী বাদী হয়ে মামুনের বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। তবে ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি।
ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত মামুন সুলতান উপজেলার ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের মো.মোতালেবের ছেলে। প্রবাসী ওই তরুণীর বাড়িও একই গ্রামে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মামুন সৌদি প্রবাসী ওই তরুণীকে মোবাইলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তরুণী রাজি না হলে একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসতে বলে। পরে ওই তরুণী মামুনের বিয়ের প্রস্তাবে রাজী হয়ে গত সোমবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশে চলে আসেন। মামুন এয়ারপোর্ট থেকে তাকে রিসিভ করে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নেয়ার কথা বলে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ওই যুবক বিয়ে নিয়ে তালবাহানা শুরু করে। শুক্রবার সকালে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার অজুহাতে ওই যুবকের বাড়িতে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সৌদি প্রবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বামীকে কুপিয়ে ‘হত্যা’, ভোলায় দ্বিতীয় স্ত্রী আটক
ভোলায় ট্রলারডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, মা-ছেলে নিখোঁজ
মিতু হত্যা: আদালতে ভোলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
বিয়ের নামে প্রতারণা: চট্টগ্রামে এসআই’র বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীর মামলা
বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে পুলিশের উপ পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক কলেজছাত্রী।অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাওহিদুল ইসলাম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। বর্তমানে তিনি বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই হিসাবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়োজিদ বোস্তামী থানার এসআই হিসেবে কর্মরত।বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী তরুণী (১৮)। তিনি নগরীর একটি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: প্রতারণা মামলায় আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৩ জন রিমান্ডেআদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।বাদীর আইনজীবী রুবেল পাল বলেন, এসআই তাওহিদুল ইসলাম বিয়ে হয়েছে বলে ‘মিথ্যা কাবিননামা’ দেখিয়ে আমার মক্কেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও প্রতারণার করেছে। এ অভিযোগ আদালতে মামলা হয়েছে।ওই তরুণী আদালতকে জানায়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার বাসায় গৃহশিক্ষক ছিলেন তাওহিদুল ইসলাম। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তরুণীকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় নিয়ে গিয়ে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৫২৬২/১৮ ও ৫২৬৩/১৮ নম্বর হলফনামা সম্পাদন করেন তাওহিদুল।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা: গ্রেপ্তার ৩বিয়ের যৌথ হলফনামা সম্পাদনের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিশ্বাস তৈরি করে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগকারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন তাওহিদুল। এক পর্যায়ে তাওহিদুল পুলিশের এসআই পদে চাকরি পান। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল সারদা পুলিশ একাডেমিতে বহিরাগত ক্যাডেট এসআই’র প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে চলাফেরা করেন। সারদায় প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর এক বছর তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ৯ জুলাই প্রশিক্ষণ শেষে এসআই হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিয়ের হলফনামা সম্পাদন থেকে শুরু করে সব সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন তিনি।’
বিয়ে করতে না পেরে বরগুনায় মামাকে কুপিয়ে ভাগ্নের আত্মহত্যা
বরগুনায় মামাকে কুপিয়ে চাচার বাড়ি তালতলীতে লুকাতে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মাহফুজ (১৮) নামে এক কিশোর।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১০টায় তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মাহফুজ বরগুনা জেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা এলাকার নিজাম হাওলাদারের ছেলে।
বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, মামার শালীকে বিয়ে করতে না পেরে ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মাহফুজ তার আপন মামা ফজলু প্যাদাকে কুপিয়ে আহত করেছে। এরপর আত্মগোপনে থাকার জন্য ৪-৫ দিন পূর্বে তার বাবার মামাতো ভাই ছোটবগী ইউনিয়নের পশ্চিম গাবতলী এলাকার বাদশা হাওলাদারের বাড়িতে যায়।বিয়ে করতে না পারার লজ্জা ও মামাকে কোপানোর মামলায় ফেঁসে যাওয়ার চিন্তায় তার বাবার আরেক মামাতো ভাই মো. কাওসার হাওলাদারের বসতঘরের দক্ষিণ পাশে একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাহফুজ।
আরও পড়ুন: গেম খেলতে না পেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বাদশা হাওলাদার তাকে গাছের সঙ্গে ঝুলান্ত অবস্থায় দেখে তালতলী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরজ্জামান মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!
বিয়েতে মাংস না দেয়ায় বর-কনেপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার টেবিলে অতিরিক্ত (তৃতীয়বার) মাংস না দেয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কনের বাবা-মা ও বরসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত উপজেলার মৌলভীর দোকান এলাকার নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, কনের বাবা জসিম উদ্দিন ফারুক (৪৮), কনের মা রাশেদা বেগম (৩৫), মামা বাবুল (৩০), বর মোহাম্মদ শাহজাহান (২৮), মানিক (২৮), মো. রফিক (৩০) ও হুমায়ূন (২০)।
পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার ছদাহা পূর্ব কাজীর পাড়া (খামারপাড়া) কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে নোয়াখালীর সুবর্ণচর চরওয়াবদা ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা (বর্তমানে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের হাছনদন্ডী) জসিম উদ্দিন ফারুকের মেয়ে মুক্তা বেগমের বিয়ের খাবার দাবারের আয়োজন চলছিল। এ সময় খাবার টেবিলে বরপক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে।
কনের চাচা আলাউদ্দিন জানান, বিয়েতে বরপক্ষের ৩০০ লোককে খাওয়ানোর কথা থাকলেও বেলা দেড়টা পর্যন্ত তাদের ৪০০ জনেরও বেশি লোককে খাওয়ানো হয়। এ সময় খাবার টেবিলে বরপক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেয়ায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। ঘটনা থামাতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে বর নিজে এসে মারামারিতে যোগ দেন। এতে স্থানীয়সহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ হোসাইন চৌধুরী বরপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, বিয়েতে মারামারির ঘটনা মাংস নিয়ে নয়। এটা নাকি বিয়ে বানচালের জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষের ষড়যন্ত্র।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিয়েতে মাংস কম দেয়ার ব্যাপারে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ
ইউএনও স্ত্রীকে ছেড়ে শ্যালিকাকে বিয়ে, থানায় অপহরণের মামলা
স্ত্রী বিসিএস পাস করে ইউএনও আর স্বামী দমকল বাহিনীর কর্মী। পেশাগত মর্যাদার কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিচ্ছেদও হয়ে যায় তাদের।
তবে দুলাভাইয়ের সঙ্গে বড় বোনের এমন আচারণ মেনে নিতে পারেননি শ্যালিকা। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি তারা বিয়েও করেছেন। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই মেয়ের বাবা তার সাবেক জামাইয়ের বিরুদ্ধে তার ছোট মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন। তবে অভিযুক্ত স্বামী মিলন জানান, তারা স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন ও একসাথে বসবাস করছেন।
মিলনের বাবা মতিয়ার রহমান মোল্লা বলেন, ছোটবেলা থেকে মিলনের সাথে মেয়েটির (ইউএনও) প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তাদের পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমার ছেলেই মেয়েটির পড়ালেখার খরচ দিত। কিন্তু ইউএনও হয়ে সে মিলনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে তালাক দেয়।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দীন জানান, মেয়ের বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন, উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামে দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বিসিএস পাস করে প্রশাসনে যোগ দেন। ইউএনও হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর পেশাগত মর্যাদাগত কারণে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। কারণ স্বামী মিলন স্বল্প শিক্ষিত দমকল কর্মী।
এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: যুবককে জোর করে বিয়ে, ৯ জন কারাগারে
পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী
কুড়িগ্রামে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সংবর্ধনা পেলো মোনালিসা
যুবককে জোর করে বিয়ে, ৯ জন কারাগারে
ঠাকুরগাঁওয়ে যুবককে জোর করে বিয়ে, অপহরণ ও চাঁদাবাজীর মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও কাজীসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. ইন্দ্রনাথ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বামীর করা যৌতুকের মামলায় স্ত্রী কারাগারে
কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, স্থানীয় সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, কাজী আব্দুল কাদের, রিতা আক্তার, বাবুল হোসেন, মুসলিম উদ্দীন, আনছারুল, দারাসতুল্লাহ মুন্সি ও সারওয়াল হোসেন। মামলার আরেক আসামি মো. সাজু পলাতক থাকার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেছে আদালত।
মামলার বরাতে বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. ইন্দ্রনাথ রায় বলেন, ২০১৯ সালের ৯ মে মামলার বাদী মিজানুর রহমানকে রাস্তা থেকে আটক করে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মামলার বাদী মিজানুরকে মারপিট করে জোর করে রিতা আক্তারের সাথে বিয়ের সম্মতি নেয়। পরে কাজী আব্দুল কাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয় এবং জোরপূর্বক ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা কাবিন নামা করে মিজানুর রহমানের সাথে রিতা আক্তারের বিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ: ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
পরে মিজানুর রহমানকে মামলার দুই নম্বর আসামি বাবুল হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষে তালাবন্ধ করে তিন দিন আটকে রাখা হয়। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ঘরের তালা খুলে বাবুল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় বাদী মিজানুর রহমান তালা খোলা দেখে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁওয়ের আদালতে একটি মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর তৎকালীন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. মোসাব্বেরুল হক আদালতে অভিযোপপত্র দাখিল করেন।অভিযোপত্রে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ৯ জনকেই ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আবেদুর রহমান বলেন, মামলাটি উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এ মামলায় আসামি পক্ষ জামিন পাওয়ার অধিকার রাখে বলেই আজ আমরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করি। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, স্ব-ইচ্ছায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মিজানুর রহমানের সাথে রিতা আক্তারের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মামলার বাদী মিজানুর রহমান বলেন, আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে মারপিট করার পর জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।