চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার টেবিলে অতিরিক্ত (তৃতীয়বার) মাংস না দেয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কনের বাবা-মা ও বরসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত উপজেলার মৌলভীর দোকান এলাকার নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, কনের বাবা জসিম উদ্দিন ফারুক (৪৮), কনের মা রাশেদা বেগম (৩৫), মামা বাবুল (৩০), বর মোহাম্মদ শাহজাহান (২৮), মানিক (২৮), মো. রফিক (৩০) ও হুমায়ূন (২০)।
পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার ছদাহা পূর্ব কাজীর পাড়া (খামারপাড়া) কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে নোয়াখালীর সুবর্ণচর চরওয়াবদা ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা (বর্তমানে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের হাছনদন্ডী) জসিম উদ্দিন ফারুকের মেয়ে মুক্তা বেগমের বিয়ের খাবার দাবারের আয়োজন চলছিল। এ সময় খাবার টেবিলে বরপক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে।
কনের চাচা আলাউদ্দিন জানান, বিয়েতে বরপক্ষের ৩০০ লোককে খাওয়ানোর কথা থাকলেও বেলা দেড়টা পর্যন্ত তাদের ৪০০ জনেরও বেশি লোককে খাওয়ানো হয়। এ সময় খাবার টেবিলে বরপক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেয়ায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। ঘটনা থামাতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে বর নিজে এসে মারামারিতে যোগ দেন। এতে স্থানীয়সহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ হোসাইন চৌধুরী বরপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, বিয়েতে মারামারির ঘটনা মাংস নিয়ে নয়। এটা নাকি বিয়ে বানচালের জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষের ষড়যন্ত্র।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিয়েতে মাংস কম দেয়ার ব্যাপারে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ