সরকারি প্রণোদনা
করোনায় সংকটে খুলনার চিংড়ি চাষিরা
হিমায়িত চিংড়ি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত। অথচ উচ্চ মূল্যে চিংড়ির পোনা ক্রয়, মাছের খাবারের মূল্য বৃদ্ধি ও চিংড়ির দাম অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় খুলনার চিংড়ি চাষিরা মহাসংকটে পড়েছেন।
ইতোমধ্যে চাষিদের লোকসান পুষিয়ে নিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। করোনার প্রথম কয়েক মাস চিংড়ি রপ্তানিতে ভাটা পড়লেও সেটি এখন কেটে গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলে হিমায়িত চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার পরিধি কমছে
মৎস্য কর্মকর্তা, হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও চাষিরা জানান, দেশের সবচেয়ে বেশি খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় চিংড়ি চাষ হয়। ঘের মালিকরা চাষকৃত চিংড়ি আড়তগুলোতে সরবরাহ করেন। হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় মৎস্য আড়তদারদের কাছ থেকে বাগদা অথবা গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি করে। কিন্তু করোনার কারণে চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আড়তগুলো থেকে চিংড়ি সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়। ফলে পাইকারি বাজারে মাছের দরপতন হয়। সেই প্রভাব পড়ে ঘের ব্যবসায়ীদের ওপর।
খুলনা অঞ্চলের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শক তৌফিক মাহমুদ বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে খুলনা অঞ্চল থেকে ২৯ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য দুই হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ২১ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন মাছ। যার মূল্য এক হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। করোনার মধ্যেই চলতি অর্থবছরের সাত মাসে রপ্তানি খুবই ভালো।
বিকাশে পাঠানো রেমিটেন্সে মিলছে ১ শতাংশ ক্যাশ বোনাস
বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিকাশে টাকা পাঠালে সরকারি ২ শতাংশ প্রণোদনার সাথে আরও ১ শতাংশ ক্যাশ বোনাস পাওয়া যাচ্ছে।
ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি হলে ছাড় না দেয়ার হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর
করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগের সময়ে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কেউ দুর্নীতি করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।