উখিয়া
১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে আরও এক রোহিঙ্গা নেতা (সাব মাঝি) নিহত হয়েছেন। রবিবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে উখিয়া বালুখালী ক্যাম্প-৮ ইস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ সেলিম (৩৫) উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৮- নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি ওই ক্যাম্পের বি-ব্লকের সাব মাঝি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
ওসি বলেন, ভোরে ঘর থেকে ঢেকে নিয়ে আরসা নামধারী একদল দুষ্কৃতিকারী মাঝি সেলিমকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার ১২ ঘন্টা আগে ৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পালংখালী ইউপিস্থ জামতলী এফডিএমএন ক্যাম্প-১৫, ব্লক-এ/৫, এর হেড মাঝি রশিদ আহমদ কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ক্যাম্পে শুক্রবার রাতে গোলাগলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) নেতাসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে সোমবার তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনাটিকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছে।
উক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন-৮ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফারুক আহমেদ জানান, উখিয়া থানায় দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন এআরএসএ প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ ৭৭ জন।
সোমবার বিকালে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৩) সি-ব্লকের নজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সালাম ওরফে ডেভিড নজির (২১) ও ক্যাম্প-৮ আশ্রয়শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২১)। তাদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, অবৈধ মাদক ব্যবসা নিয়ে এআরএসএ ও নবী হোসেনের সশস্ত্র রোহিঙ্গা দলের মধ্যে গোলাগুলিতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্র অনুসারে, শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) বি-৬২ ব্লক ও বি-৪৯ ব্লকের মাঝামাঝি এলাকায় একজন রোহিঙ্গা মাঝিকে অপহরণ করতে যায় ৪০-৪৫ জনের একটি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা দল। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও গুলি ছোঁড়েন। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা দলটি পাশের জঙ্গলে আত্মগোপন করলে ঘটনাস্থল থেকে তাদের দুই সদস্য সলিম উল্লাহ ও রেদোয়ানের লাশ পাওয়া যায়।
তবে শুক্রবারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরএসএ প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়া ক্যাম্পে ২ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা, আটক ২
মহিষের গুঁতোয় আহত সাবেক এমপি বদি
মহিষের লড়াই দেখতে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন দেশের আলোচিত ব্যক্তি উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ আবদুর রহমান বদি। এ ঘটনায় তিনি সামান্য আহত হলেও বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। রবিবার বিকাল ৩টার দিকে টেকনাফ সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকালে সমুদ্র সৈকত এলাকায় দুই মহিষের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে অন্য সবার মতো আগ্রহ নিয়ে লড়াই দেখছিলেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। খেলা দেখার সময় হঠাৎ মহিষ দুটির মধ্যে একটি ছুটে আসে বদির দিকে এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই তার গায়ের ওপর উঠে যায়। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত সেখান থেকে তুলে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: বদির দুর্নীতি মামলা এক বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ আবদুর রহমান বদির মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আবদুর রহমান বদি উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক দুইবারের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তবে তার স্ত্রী শাহীন আকতার দলের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা, অভিযোগ গঠন বাতিলে বদির আবেদন খারিজ
সাবেক এমপি বদির বিচার শুরু
কক্সবাজার ক্যাম্পে আরও এক রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া থাইংখালী শরণার্থী শিবিরে এক রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফেজ সৈয়দ হোসেন ১৯ নম্বর তানজিমারখোলা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
তাজনিমারখোলা ক্যাম্পের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, মুখোশধারী দল ক্যাম্পে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। হামলাকারীরা কথিত ‘আরসা’র সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
তিনি বলেন, হাফেজ সৈয়দ হোসেন সব সময় আরসার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে স্বোচ্ছার ছিলেন।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের কারণ খুঁজা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মৃতদেহ ময়নাতদন্ত তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর উখিয়া উপজেলার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে দুই রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা।
নিহত মৌলভী ইউনুস ও আনোয়ার যথাক্রমে উখিয়ার ১৩ নম্বর ক্যাম্পের প্রধান মাঝি ও উপপ্রধান মাঝি (কমিউনিটি লিডার) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
সর্বশেষ হত্যা সহ গত চার মাসে ক্যাম্পের ভিতরে ১৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে আটজন স্বেচ্ছাসেবী সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের ভূমিকা যেমন 'মাঝি' এবং হেড মাঝি হিসাবে কাজ করছিল।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ময়নারঘোনার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৯ এর এক হেড মাঝিকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মোহাম্মদ হোসেন ওই ক্যাম্পের মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেনকে গুলি করে। এসময় তিনটি গুলি করা হয় তাকে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি: ২৯ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৩
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে শিশু নিহত
মিয়ানমারে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল এলাকার বাসিন্দা মৃত জয়নালের স্ত্রী ছলেমা খাতুন (৪৫),একই ইউনিয়নের পাগলিরবিল এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে আনোয়ার ইসলাম (২৫) ও রামু উপজেলার মেরংলোয়া এলাকার বাসিন্দা মনিন্দ্র ধরের ছেলে বিধু ধর (৫২)। তাৎক্ষণিক নিহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনায় রামু গর্জনীয়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে হাবিবুল্লাহ গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে হিজলিয়ায় কক্সবাজারমুখী ট্রাক ও অটোরিক্সা সংর্ঘষের ঘটনায় পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
মিয়ানমারে ফেরার দাবিতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ
নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ২৫টি ক্যাম্পে গো হোম ক্যাম্পেইন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা।
রবিবার উখিয়ার ২৩টি ও টেকনাফের দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে সকাল ৮টা থেকে মানববন্ধন ও মিছিল শেষে সমাবেশ শুরু হয়। এতে ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লকের রোহিঙ্গারা অংশ নেন। মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান রোহিঙ্গারা। ‘ব্যাক টু হোম’ স্লোগানে এই বিক্ষোভ সমাবেশে নানা বয়সের রোহিঙ্গারা অংশগ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তের গুলি নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ একই দাবিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন।
তবে, এবারের সমাবেশের একক কোনো আয়োজক কিংবা নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ সামনে না এলেও প্রচারপত্রে আয়োজক হিসেবে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী লেখা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, বার্মার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হয় এই বিক্ষোভে।
আরও পড়ুন: ১৯ দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ
উখিয়ার ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই এবং আমাদের আশা এবারের সমাবেশটির মাধ্যমে উত্থাপিত রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাবে।
রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং বলেন, সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আমাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চাই আমরা, সমাবেশে আমরা এই মূল দাবিটাই জানাচ্ছি বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, আমরা কৃতজ্ঞ।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি।
ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসাইন জানান, ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। ক্যাম্প এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ৮ এপিবিএনের তৎপরতা সবসময় অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জঘন্য নৃশংসতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকেরা নির্যাতিত হয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে বিতাড়িত হয়েছিল, যা ইতিহাসে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশত্যাগ হিসেবে বিবেচিত। নির্যাতিত রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাতদফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কক্সবাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সলিমুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, বুধবার রাতে উখিয়ার বালুরমাঠ ক্যাম্প-২ ইস্টে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে সলিমুল্লাহ প্রথমে আহত হন। সেখান থেকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, নিহত সলিমুল্লাহ ওই ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তার বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি ওসি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের ‘গুলিতে’ খুলনার ফুলতলায় ব্যবসায়ী নিহত
রাজবাড়ীতে আ’লীগ নেতাকে বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) সকালে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর ১৪ জন এখনো পলাতক।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া ডি ব্লকে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার পান উখিয়া থানার ওসি তদন্ত সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে সোমবার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা-অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, ফলে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।
পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ফতোয়াদাতা জকোরিয়া গ্রেপ্তার
মুহিবুল্লাহ হত্যা: ৩ আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
মুহিবুল্লাহ হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলায় হেড মাঝি নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় হেড মাঝি নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আজিমুদ্দিন বালুখালীর ১৮ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক এল/১৬ এর কমল উদ্দিনের ছেলে ও হেড মাঝি।
আহতরা হলেন- সৈয়দ করিম (৪০) রহিমুল্লাহ (৩৬)।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘পারিবারিক বিরোধের’ জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
শুক্রবার সকালে ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
তিনি বলেন, ২০ নম্বর ক্যাম্প থেকে আসা ১৫-২০ জন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক বি এর সাব ব্লক এম/৯ এর পাহারায় দায়িত্বরত মাঝিদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আধিপত্য বিস্তারের জন্য এই হামলা বলে জানতে পারি। এতে আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর-কনে পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ২
তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পে রেইড অভিযান অব্যাহত রেখে তাদের আইনের আওতায় আনতে ৮ এপিবিএন চেষ্টা করছে।