শিক্ষক
কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধসহ বিকাল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সভায় উপাচার্যসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা অংশ নেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েটে) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে এ জরুরী সিন্ডিকেট সভার ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েটের ৭৬তম জরুরী সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশংকার কারণে ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার বিকেল ৪টার মধ্যে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বেলা ৩টায় মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন (৩৮)। সম্প্রতি কুয়েটের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ফজলুল হক হলের বর্ডার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান ঘটনার দিন ড. মো. সেলিম এর দাপ্তরিক কক্ষে অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতন করে। সাধারণ সম্পাদক সহ উপস্থিত ছেলেরা, হলের প্রভোষ্ট ড. সেলিম হোসেনকে বেশ কয়েকদিন ধরে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন, তাদের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচন করার জন্য।
আরও পড়ুন: সাভারে কুয়েটের শিক্ষার্থীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
তারই ধারাবাহিকতায়, ৩০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা ক্যাম্পাসের রাস্তা হতে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা করা শুরু করে। পরবর্তীতে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করে।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা ওই শিক্ষকের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক করে। পরবর্তীতে, শিক্ষক ড. সেলিম হোসেন দুপুরে খাবারের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস নিকটস্থ বাসায় যাওয়ার পর ২ টায় তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে, দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাধারণ ছাত্ররা কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের বিরুদ্ধে জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ করেন।
মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ ছাত্ররা বিক্ষুপ্ত হয়ে অপমৃত্যুর অভিযোগ এনে ড. মো. সেলিম এর কফিনসহ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর এর কাছে বিচার চায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলার জোর দাবি জানান।
শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। প্রতিবাদ সমাবেশে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও জানান শিক্ষকরা।
ভাড়া নিয়ে তর্ক: বাস থেকে শিক্ষককে ফেলে দিল হেলপার
ভাড়া নিয়ে বাগ বিতণ্ডার জেরে নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় এক স্কুলশিক্ষককে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে হেলপার। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক রহমত উল্লাহ নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার হাবিবউল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আহত শিক্ষকের সহকর্মী অভিজিতৎ বড়ুয়া জানান, রহমত উল্লাহ সদরঘাট এলাকার পিটিআই (প্রাইমারি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট) প্রশিক্ষাণার্থী। নগরীর অক্সিজেন এলাকার নিজ বাসা থেকে পিটিআই’ এ আসা যাওয়া করতেন।
পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসচালককে পিটিয়ে হত্যা, প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
শনিবার সকালে অক্সিজেন এলাকা থেকে বাসে করে পিটিআই যাওয়ার জন্য ওই বাসে উঠেন। অক্সিজেন থেকে নিউ মার্কেট ভাড়া ছিল ১০ টাকা। ভাড়া বাড়ানোর পর তা হয় ১৫ টাকা। কিন্ত বাসের হেলপার ১৭ টাকা দাবি করলে তিনি প্রতিবাদ জানান। এনিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তিনি স্টেশন রোডের বটতলি এলাকায় তাকে নামতে না দিয়ে নতুন রেলস্টেশন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে হেলপার চলন্তবাস থেকে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এসময় তার পায়ের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মেহেদিবাগস্থ ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জানান, আহত স্কুল শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চালক-হেলপারকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
পড়ুন: চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার রাতে আরবি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলা করে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার আবদুল মালেক (৩৫) সাতকানিয়া উপজেলার পুরাণগড় ইউনিয়নের মনেয়াবাদ এলাকার স্থানীয় একটি মক্তবের (আরবি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান) শিক্ষক।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিশুটির মায়ের অভিযোগ, তার মেয়ে ওই শিক্ষকের কাছে গিয়ে নিয়মিত আরবি পড়তো। গত ১৭ নভেম্বর মক্তব ছুটি হওয়ার পর ওই শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক। শনিবার রাতে শিশুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি মাকে জানায়। পরে ওই রাতে ধর্ষণের অভিযোগে শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও এমবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিক জমিলা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিক্ষিক জমিলা খাতুন মৌলভী পদে আস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। পরে এই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেন এবং তার বোন জমিলা খাতুনের সনদ ব্যবহার করে শুধুমাত্র নাম ও স্বামীর নাম দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: হলে স্মাটফোন ব্যবহার: এসএসসি পরীক্ষা থেকে ৪ শিক্ষক বহিষ্কার
অভিযোগে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের পর তিনি তিনবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। প্রথম আবেদন নামুঞ্জুর হলেও পরের বার তার নাম পরিবর্তন করে সার্টিফিকেটের নাম অনুযায়ী মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নাম দেন এবং তৃতীয়বার তিনি জন্ম তারিখ ০৯/০৫/১৯৬২ এর জায়গায় ০১/০৫/১৯৬২ পরিবর্তন করেন। মূলত তিনি তার বোন মোসাম্মাৎ জমিলা খাতুনের সার্টিফিকেটের নামের সাথে তার ব্যক্তিগত তথ্যের যাতে গড়মিল না থাকে সেই চেষ্টা করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নিয়ে ১৯৮৭ সালে থেকে আজ পর্যন্ত চাকরি করে আসছেন।
এ ব্যাপারে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোহাম্মদ শফিউল নামে এক ব্যক্তি। অনুলিপির কপি দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমিলা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়োগ নেয়ার সময় ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সনদ জমা দেন তাতে দেখা যায়, ১ বছর বয়সে জমিলা খাতুন ১ম শ্রেণি, দশ বছর বয়সে দশম শ্রেণি (দাখিল) ও ১২ বছর বয়সে দ্বাদশ (আলিম) পাস করেন। এমনকি তৎকালীন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সুকৌশলে তিনি বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করেননি। এত অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীপুরে ৭ মাদরাসাছাত্রের চুল কর্তন, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
অভিযোগকারী মোহাম্মদ শফিউল বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমার সার্টিফিকেট যদি জাল হয় আপনারা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে খোঁজ নেন, বোর্ড আমার সার্টিফিকেট দিয়েছে। পরে আবার দুইটা মিনিস্ট্রিতে অডিট হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদর্শন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের কাগজ আমরা পাইনি। এ রকম কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে শাবি শিক্ষকের নিজের লেখা বইয়ের সৌজন্য সংখ্যা
জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
কালকিনির পালরদি নদী থেকে নিখোঁজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরের কালকিনির পালরদি নদী থেকে মঙ্গলবার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বেপারির ( ৬৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এই নদীতে গোসল করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের দড়িচর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পারিবারিক সুত্র, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আব্দুল কুদ্দুস সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে ওই নদীতে গোসল করতে নেমে পা পিছলে অথৈ পানিতে নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার দুপুরে নদীতে তাঁর লাশ ভেসে উঠলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল জানান, গোসল করতে গিয়ে তিনি নদীর পানিতে ডু্বে যান। পারিবারিক অনুমতিতে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে জমজ বোনের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বালতির পানিতে ডুবে জমজ বোনের মৃত্যু
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি সোমবার সংসদে বলেছেন, দেশের ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪) এর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৪১০টি শিক্ষকের পদ শূন্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪৬টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১৪টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় ৩১০টি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০৩টি শূন্য পদ রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ২৪২টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৩টি, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫১টি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, ১৩১টি, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩১, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৭ টি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১৪টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৬টি শূন্য পদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে: দীপু মনি
৫০টিরও বেশি শূন্য পদে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ অনুযায়ী, দুই লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৮ জন ছেলে এবং এক লাখ চার হাজার ৫৯৯ জন মেয়ে শিক্ষার্থী। পাশাপাশি ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সনদ কেন্দ্রিক ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৭ এবং ২৩১ জন।
তবে ইউজিসি প্রতিবেদন অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর হাই লেভেল স্টিয়ারিং কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী
উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি সংক্রান্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষক সম্রাট কুমার দে-কে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে অবনমন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৭২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপীল সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী সম্রাট কুমার দে গুরুদণ্ড প্রাপ্য হওয়ায় তাঁকে বর্তমান পদ থেকে নিম্নপদে বা বেতনক্রমে অবনতকরণ ও আগামী দুই বছর তিনি সহকারী অধ্যাপকের জন্য পদন্নোতির আবেদন করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার শুরুতে রীতি অনুযায়ী যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পড়ে এবং কোন ক্লাস যেন মিস না করে, এ জন্য শারীরিক ও ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আমরা ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম’ এ চলে যাচ্ছি। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগের প্রত্যেকটিতে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, এ পদ্ধতিতে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে প্রযুক্তিবান্ধব, দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বদরুন্নেসার শিক্ষক ‘আটক’
কুবির প্রথম প্রো-ভিসি ড. হুমায়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর(ভিসি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. আবু তাহের।
আরও পড়ুন: ৫৯৪ দিন পর ক্লাসে ফিরলো কুবির শিক্ষার্থীরা
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন ২০১৩ এর ধারা ১১ ক (১) অনুযায়ী এই নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদানের দিন থেকে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকালীন তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর।
ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি’র) দুই শিক্ষক সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের গবেষণা প্রবন্ধকে দুর্বল ও মানহীন বলে অভিহিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধান ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রবন্ধে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ‘লেখকদ্বয় অভিযুক্ত প্রবন্ধটিতে প্রতি পাতায় ফুট নোট উল্লেখ করেনি। কিন্তু প্রতি প্যারায় উদ্বৃতির পূর্বে মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়া প্রবন্ধটির শেষেও রেফারেন্সে মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের রেফারেন্স দিয়েছেন। প্রবন্ধের কোথাও মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের কোন উদ্বৃতিকে লেখকদ্বয় নিজের উদ্বৃতি বলে দাবি করেননি তাই তাদের কার্যক্রমকে সরাসরি চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না।’
এছাড়া ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্তের নামে যে সময়ক্ষেপণ করেছে সেটাও তাদের রিপোর্টে তুলে ধরেছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে দুই শিক্ষকের প্রবন্ধ নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তদন্ত শেষ হয় ২০১৯ সালে এবং ট্রাইবুনাল গঠিত হয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। এতো দীর্ঘমেয়াদী তদন্তের ফলে এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ পেয়েছে। একইভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে যা কখনো ন্যায় বিচারের জন্য কাম্য নয়। এত দীর্ঘসূত্রিতা মূলত ন্যায়বিচারকে পরাভূত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের ট্রাইব্যুালের প্রতিবেদনে এসব পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই দুই শিক্ষকের পদাবনতির সিদ্ধান্ত জানায় ঢাবি’র সিন্ডিকেট। যার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দাখিল করতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে ট্রাইব্যুনালের এই প্রতিবেদন দাখিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা 'এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম' শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ' জার্নালে প্রকাশিত হয়। এটি ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল 'ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি'তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর 'দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগে মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই চুরির কথা জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু
শুধু মিশেল ফুকোরই নয়, বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদের 'কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম' গ্রন্থের পাতার পর পাতাও সামিয়া ও মারজান হুবহু নকল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত বছর ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর তাদের একাডেমিক অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহবায়ক করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ জমা দিলে গত ২৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় পদাবনতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সুপারিশের পরই শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর একই পদে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ৫ সেপ্টেম্বর সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পদাবনতি দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে হাইকোর্ট সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথিও তলব করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
সামিয়া রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথি ও অন্যান্য প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত আগামী রবিবার শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে শাবিপ্রবি শিক্ষকের আত্মহত্যা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির।
নিহত মাহফুজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শাবিপ্রবির শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে চলতি বছরের আগস্টে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমান তিনি।
প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন,‘মাহফুজুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখন বলা যাচ্ছে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূর মৃত্যু
‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
গাজীপুরে মেয়েসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা