শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি সংক্রান্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষক সম্রাট কুমার দে-কে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে অবনমন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৭২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপীল সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী সম্রাট কুমার দে গুরুদণ্ড প্রাপ্য হওয়ায় তাঁকে বর্তমান পদ থেকে নিম্নপদে বা বেতনক্রমে অবনতকরণ ও আগামী দুই বছর তিনি সহকারী অধ্যাপকের জন্য পদন্নোতির আবেদন করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার শুরুতে রীতি অনুযায়ী যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পড়ে এবং কোন ক্লাস যেন মিস না করে, এ জন্য শারীরিক ও ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আমরা ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম’ এ চলে যাচ্ছি। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগের প্রত্যেকটিতে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, এ পদ্ধতিতে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে প্রযুক্তিবান্ধব, দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।