আমদানি-রপ্তানি
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস এবং ভারতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দু’দেশে সরকারি ছুটি থাকায় মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে এ সময় পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে একদিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। কাস্টমস হাউজ ও বন্দরে কোনো কার্যক্রম চলবে না। আগামীকাল বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে পুনরায় এ পথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ কাস্টমস ও বন্দর সচল থাকবে।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, উভয় দেশে সরকারি ছুটি থাকায় এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। আগামীকাল বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে আবারও যথানিয়মে চলবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব জানান, এ পথে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। দেশে স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এছাড়া প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যা থেকে সরকারের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩ দিনে এলো ১২৩ টন কাঁচা মরিচ
ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন। এ উপলক্ষে সকাল থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি- রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে চেকপোস্ট দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট- ভিসায় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
বাংলা হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ কারণে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত, এদিন আমদানি-রপ্তানির পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। আগামীকাল রবিবার থেকে এই বন্দর দিয়ে পুনরায় পুরোদমে দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য শুরু হবে। ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি দিলিপ সরকার এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন পর পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের অভ্যন্তরে (পানামা ওয়্যারহাউজ) অবস্থান করা আমদানিকৃত পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ওই সকল পণ্য বাংলাদেশি ট্রাকে বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, আমাদের অফিসে সকল কাজকর্ম স্বাভাবিক আছে। আমরা আমদানিকৃত পণ্যের ট্যাক্স নিয়ে খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন করছি। শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, ভারতে নির্বাচনের কারণে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চালু থাকে। ফলে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাত্রীরা হিলি চেকপোস্ট দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে চলাচল করছেন।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঈদ সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে পঞ্চায়েত ভোটের কারণে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে একদিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে স্বাভাবিক থাকবে যাত্রী পারাপার।
শনিবার সকাল থেকেই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের কারণে শনিবার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন ওপারের পেট্রাপোল বর্ডার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সমরেন্দ্র দাস।
সমরেন্দ্র দাস বলেন, ‘শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের কারণে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। এতে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভোটের কাজে নিজ নিজ এলাকায় থাকবেন। তাই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ’
তবে পেট্রাপোল কাস্টমস ও বন্দরের কাজ বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল বন্দরে আগুন লেগে পণ্যসহ ৩টি ট্রাক ভস্মীভূত
২’য় দিনের মতো পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদের ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ছয় দিনের ছুটি শেষে সোমবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বন্দর পরিচালনায় নিয়োজিত পানামা-সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার (অপারেশন) কামাল উদ্দিন ও বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত টানা ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
তাই এই সময়ে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ছুটি শেষে আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে যথারিতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে শেওলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মন্দাভাব
টাকা ও রুপির বিপরীতে ডলারের ঊর্ধ্বগতির কারণে মন্দাভাব বিরাজ করছে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে।
বিগত অর্থবছরের তুলনায় ভারতে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে সরকারের রাজস্ব আদায়।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
বন্দরসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রায় সব ধরনের পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। ভারত থেকে কয়লা, পাথর, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বাংলাদেশে আমদানি করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, হস্ত শিল্প, তাতের তৈরি দ্রব্য, বেতের তৈরি দ্রব্য, ফল মূল, শুঁটকি মাছ, সাতকড়া, প্রাণের পণ্যসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি ভারতে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
সুতারকান্দি ইমিগ্রেশন পয়েন্ট এর তথ্যমতে, প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে গড়ে ২০ জন যাওয়া আসা করে। শীত মৌসুমে এ হার আরও বাড়ে।
শুল্ক বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তার তথ্যমতে, প্রতিবছর বন্দর থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। তবে চলতি বছরে তা অর্ধেকের কম হবে বলে তাদের ধারণা।
এদিকে বিগত অর্থবছরগুলোর তুলনায় রপ্তানির পরিমাণও অর্ধেকেরও বেশি কমেছে।
মূলত ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ভাটা পড়ে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরের বছর মহামারির ধকল কাটিয়ে আবারও চাঙ্গা হতে থাকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
তবে নতুন করে রপ্তানি বাণিজ্যে আবারও সংকট তৈরি করছে ডলারের ঊর্ধ্বগতি।
রুপির বিপরীতে ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য নেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে সিমেন্ট, বরফজাত মাছ ও প্লাস্টিকসহ কয়েকটি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় এক বছর ধরে গম আমদানি করতে পারছেন না তারা। গত বছরের ৩০ মের পর বন্দরে গমের কোনো চালান আসেনি।
তারা বলেন, যেসব পণ্য আমদানির অনুমতি আছে তার বেশিরভাগই ত্রিপুরার বাইরের রাজ্য থেকে আনতে হয়। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া এখন ডলার সংকটের কারণে চাহিদামতো এলসিও করা যাচ্ছে না।
শেওলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সুমন আহমদ বলেন, কখন কোন পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে, সেটি আগে থেকে বলা যাবে না। সেজন্য সব পণ্য আমদানির অনুমতি প্রয়োজন, যাতে যখন যে পণ্যের চাহিদা থাকবে তখন যেন সে পণ্য আমদানি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, যদি এ সুযোগটি দেওয়া হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি সরকারেরও রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি আমদানি না হওয়ায় এখন বন্দরে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি কেটে গিয়ে বন্দর আরও চাঙ্গা হবে।
এ বিষয়ে শেওলা স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন বলেন, বিগত অর্থবছরগুলোর তুলনায় এবার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ একেবারেই কম। রাজস্ব বোর্ড থেকে তালিকার পণ্যগুলো আমদানির অনুমতি দিলে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়বে বলে আশা করছি। আর আমদানি বাড়লে বন্দর এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
ঈদের পর হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর টানা ছয়দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ফের শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় ভারত থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
বন্দরের বাংলা হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। ফলে এ কয়দিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হয়নি। আজ বেলা পৌনে ১২টায় ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর ফলে হিলি স্থলবন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চলতা ফিরে এসেছে।
বন্দরের কর্মরত শ্রমিক নুর আলম ও সিদ্দিক জানান, ঈদে পোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের কাছে যা টাকা-পয়সা ছিল তা কেনাকাটায় শেষ হয়ে গেছে। ঈদের পরে সংসারে টান যাচ্ছিল। আজ থেকে পোর্ট চালু হয়েছে। তাই সংসারে যোগান দিতে আর চিন্তা করতে হবে না। সবাই খুশি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহ-ব্যবস্থাপক এসএম হায়দার জানান, ছয়দিন বন্ধের পর আজ ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বন্দরের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করছে। এরপর ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের মাধ্যমে তাদের পণ্যের খালাস কার্যক্রম শুরু করেছেন। পণ্য দ্রুত খালাসে আমরাও ব্যবসায়ীদের নিয়মের মধ্যে থেকে সহযোগিতা করছি।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার মো. বায়জিদ হোসেন জানান, ঈদের ছুটি শেষে গতকাল সোমবার থেকে অফিস শুরু হয়েছে। আজ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। দ্রুততার সঙ্গে পণ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্নসহ শুল্ককরাদি পরিশোধের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের শতভাগ সেবা প্রদানের জন্য অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা তাদের আমদানিকৃত পণ্য সময়মত গন্তব্যে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ১৮ বছর পড়ে থাকা ৫০ ট্রাক পণ্য ধ্বংস
ভারতের পেট্রাপোলে কাজ বন্ধ থাকায় বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থবির আমদানি-রপ্তানি
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যবাহী মাছের ট্রাকে স্বর্ণ পাচারের ঘটনায় ভারতীয় ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে বন্ধ রয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য।
শনিবার (১ এপ্রিল) সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো কর্মবিরতির ডাক দিলে বন্ধ হয় রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ সাতক্ষীরার মোস্তফা অরগানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন টন তেলাপিয়া মাছ ট্রাকের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করে। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য ‘ব্রাদার্স সেন্ডিগেট’ নামক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল কাস্টমসে ডকুমেন্টস দাখিল করে। মাছ আমদানি করে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার ‘বাবা ইন্টারন্যাশনাল’। ওই দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ট্রাক তল্লাশি করে মাছের কার্টুনের মধ্য থেকে চার কেজি ৬৬৬ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেট পাস জটিলতা: দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
তিনি আরও বলেন যে এ ঘটনায় বাংলাদেশি ট্রাক চালক সু শঙ্কর দাস ও ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ লালটুর বিরুদ্ধে মামলা দেয় বিএসএফ। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে ব্যবসায়ীরা শনিবার কর্মবিরতি ডাক দেয়। এতে বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কেমিকেল গার্মেন্টস, মাছসহ জরুরি মালামাল রয়েছে।
দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য সচলের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, আগে সীমান্ত পথে পাচার কার্যক্রম হলে এখন বৈধ পথে স্বর্ণ, মাদক পাচার বেড়েছে। এতে বাণিজ্য বিঘ্ন ও সাধারণ ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা গেলে পাচার কার্যক্রম বন্ধ হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, স্বর্ণ পাচার মামলা নিয়ে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের জেরে ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতিতে শনিবার দিনভর রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল এবং আজও বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেট পাস জটিলতা: দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কার্গো শাখায় গেট পাস জটিলতায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে রবিবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
ফলে পেট্টাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোন পণ্য আমদানি রপ্তানি হয়নি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
গত দুই দিনেও গেট পাস জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। ফলে দুই পাড়ের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, ট্রাকের ডেমারেজ চার্জও বাড়ছে। ট্রাকে পচে নষ্ট হচ্ছে পিয়াজ, মাছ, পান, ফল, মরিচসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। এর সুরাহা চান ব্যবসায়ী নেতার।
বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখায় গেট পাস (আইজিএম) সম্পন্ন করা হতো ম্যানুয়ালে।
কাগজপত্রে ভুল হলে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার তদন্ত করে সংশোধন পূর্বক পণ্য আমদানির নির্দেশনা দিতেন।
জানুয়ারি থেকে এনবিআর নির্দেশনা দেয় ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে কাস্টমস কার্গো শাখায় প্রবেশ মুখেই অনলাইনে আইজিএম করতে হবে। ফলে ভুল হলে সংশোধনে বিড়ম্বনাসহ কালক্ষেপণ হবে ব্যবসায়ীদের।
সময় ও অর্থ অপচয় হবে প্রতিনিয়ত। ফলে ভারতের বন্দর ব্যবহারকারীরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে গেট পাস ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টও আ. জলিল জানান, বিষয়টি নিরসনে রবিবার উভর দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।
আশা করি দ্রুতই বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
টানা ৮ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা আট দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। শনিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, দুর্গাপূজার উৎসব পালনে আট দিন ধরে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ছুটি কাটিয়ে শনিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ পুলিশ কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, ছুটিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে চালু ছিল হিলি ইমিগ্রেশন বিভাগ।
পার্সপোটধারী যাত্রী পারাপার স্বভাবিক ছিলো। তবে ভারতে গমনকারীদের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কিছুটা বেশি।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: হিলি স্থলবন্দরে ৮দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
দুর্গাপূজা: হিলি স্থলবন্দরে ৮দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পূজার ছুটি উপলক্ষে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা আটদিন বন্ধ থাকবে। তবে এসময় সচল থাকবে হিলির ইমিগ্রেশন বিভাগে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত ।
হিলির কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ১লা অক্টোবর থেকে সাত অক্টোবর পর্যন্ত পূজার ছুটিতে হিলি বন্দরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি করা হবেনা।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছুটির ওই সিদ্ধান্ত ভারতীয় হিলি এক্সপোর্টার এন্ড ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অশোক কুমার চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনকে।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে আবার সচল হয়ে উঠবে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম।
হিলি কাস্টমস ও স্থল শুল্ক স্টেশন এর ডেপুটি কমিশনার বায়োজিদ হোসেন জানান, বন্দরে ছুটি পালনের কারণে কাস্টমসের অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরুর সঙ্গে কাস্টমসের সকল কার্যক্রম পূর্বের নিয়মে চালু হবে।
এদিকে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ বদিউজ্জামান জানান, ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারীদের পারাপারে সচল থাকবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ