স্বাস্থ্যবিধি
স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন হলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা মন্ত্রীর
স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন হলে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সফলভাবে সামলে নিয়েছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এখন দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে প্রথমম ঢেউয়ের পর যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা শিগগিরই কেটে যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে কিন্তু মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য মানুষ খুব বেশি ভাবেনি এবং স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে তেমন কোন পরিকল্পনাও নেয়নি।
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
তিনি বলেন, ‘এবারের করোনা মহামারিতে বিশ্ব বুঝতে পেরেছে যে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ কতটা জরুরি বিষয়। করোনা দেখিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারবে না। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ বিনিয়োগও বৃদ্ধি করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। ভারত থেকে এই ভাইরাস আমাদের দেশেও চলে আসতে পারে। এ কারণে আগামীতে স্বাস্থ্যখাতের সকল পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সাথে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমেরর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালুর দাবি পরিবহন মালিক সমিতির
চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
বিবৃতিতে তারা বলেন, লকডাউনে বাস ছাড়া সবই চলছে। বাস চালু না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিকল্পভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টেম্পু, থ্রি-হুইলার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস এমনকি অ্যাম্বুলেন্সেও গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বরং স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়ছে। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে সিটের অর্ধেক যাত্রী অর্থাৎ দুই সিটে একজন যাত্রী নিয়ে বাস চালু থাকলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
তারা আরও বলেন, বাস চালুর ব্যাপারে সারা দেশের পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সাংঘাতিকভাবে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাস চালুর দাবিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সড়ক-মহাসড়কে অবরোধ ও বিক্ষোভ চলতেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্যসামগ্রী পেল কর্মহীন ১২০০ পরিবহন শ্রমিক
তারা আরও বলেন, সামনে ঈদ। লাখ লাখ শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় পড়ে আছে। বহু গরিব মালিক ব্যাংক ঋণের কিস্তিসহ অসহায় অবস্থায় জীবন-যাপন করছে। এসব দিক বিবেচনা করে কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সহযোগিতা প্রদানসহ বাস চালু করতে সারা দেশের মালিকদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবারও কঠোর লকডাউন আসতে পারে: কাদের
আবারও সারাদেশে কঠোর লকডাউন দেয়া হতে পারে বলে জনগণকে সতর্ক করলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণপরিবহনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে পরিস্থিতি বিবেচনায় পুনরায় লকডাউন দেয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
রবিবার নিজ বাসভবনে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: লকডাউনেই খুলেছে বিপণীবিতানের দরজা, সড়কে চাপ
মন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউনের পর যখন গণপরিবহন চালু করা হবে, তখন দেশের সকল নাগরিককেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’
এর আগে শনিবার (২৪ এপ্রিল) লকডাউন শেষে গণপরিবহন চালু করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ঢাকার রাস্তায় প্রাইভেট কারের চলাচল বৃদ্ধি
সামনে ঈদ ও জনগণের চাহিদা বিবেচনায় সরকার লকডাউন শেষ হওয়ার পর পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে গণপরিবহন পুনরায় চালু করার কথা চিন্তা করছে।
লকডাউন শেষ হওয়ার পরও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ২৮ এপ্রিলের পর লকডাউন শিথিল করতে পারে সরকার
এদিকে গত ৩১ মার্চ থেকে গণপরিবহন, এমনকি আন্তজেলার বাসের ভাড়াও ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে ভাড়া বৃদ্ধি করে সরকার।
২৮ এপ্রিলের পর লকডাউন শিথিল করতে পারে সরকার
মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরের দুই সপ্তাহ আগে ২৮ এপ্রিল থেকে লকডাউনে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হবে।
তবে, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি এবং এই বিধি-নিষেধগুলো কী পরিমাণে শিথিল হবে তা এখনই পরিষ্কার নয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত ২৮ এপ্রিল নেয়া হবে।'
তিনি বলেন, 'এমনকি যদি বিধি-নিষেধগুলো শিথিল করা হয়, তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে এবং সরকার ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতিটির কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করবে।'
আরও পড়ুন: লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান শপিংমল
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমলগুলো পুনরায় চালু হওয়ার পর স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে দুরুত্ব বজায় রাখি তাহলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধি-নিষেধ মানলে অনেকটা উপকৃত ফলাফল পাবো আমরা। সে জন্য স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেয়া হবে।
গণপরিবহনের নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
শিথিল লকডাউন কেমন হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ জানান, এখানে অনেক বাধা থাকবে না। 'বিদ্যমান বিধি-নিষেধ সীমিত থাকবে। প্রতিদিনের জন্য কিছু গাইডলাইন থাকবে।'
অফিস পরিচালনার বিষয়ে ২৮ এপ্রিলের মধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
ফরহাদ জানান, তারা গণপরিবহনের চলাচল নিয়ে আলোচনা করছেন। 'এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, একবার পুনরায় চালু হলে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা আমরা নিশ্চিত করব।'
গণপরিবহনে মাস্ক পরা এবং যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ঢাকার রাস্তায় প্রাইভেট কারের চলাচল বৃদ্ধি
যদিও লকডাউন চলাকালীন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল, তবুও সরকার প্রথম ধাপের লকডাউনের তৃতীয় দিন ৭ এপ্রিল সিটি করপোরেশন অঞ্চলে এর কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়।
২৫ এপ্রিল থেকে পুনরায় খুলছে দোকানপাট
কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমলগুলো বন্ধ ছিল।
তবে, দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা আবার ব্যবসা চালু করার দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। তাদের যুক্তি দেখায়, গত বছর লকডাউনের সময় তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঈদ-উল-ফিতর সাধারণত ব্যবসায়ের ব্যস্ততম সময়। কিন্তু, কোভিডের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত বছরের ঈদ উদযাপিত হয়। এতে ব্যবসায়ে বড় ক্ষতি হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের যুক্তি গত বছরের অবস্থার পুনরাবৃত্তি তাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই, সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে এপ্রিল ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি, প্রজ্ঞাপন জারি
শুক্রবার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি নোটিশ জারি করেছে যেখানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার শর্তে ২৫ এপ্রিল (সকাল ১০টা থেকে ৫টা) শপিংমলগুলো খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়।
সবচেয়ে মারাত্মক মাস
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যু আকস্মিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার প্রথমে ১৮-দফা নির্দেশনা জারি করে। এই পরিস্থিতি এপ্রিলের শুরু থেকে এক সপ্তাহব্যাপী লকডাউন আরোপ করতে সরকারকে বাধ্য করে। তবে এই লকডাউন প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার ১১ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপ করেছে এবং ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
শুধু এপ্রিলেই করোনাতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৫ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৮২৩ জন। এপ্রিলের এই প্রথম ২৩ দিনের মৃত্যুর সংখ্যাই গত তিন মাস জানুয়ারি (৫৬৮), ফেব্রুয়ারি (২৮১) এবং মার্চের (৬৩৮) মোট মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: ঈদে শিথিল হতে পারে লকডাউন: কাদের
১৬ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে দেশে করোনায় প্রতিদিন ১০০ জন মারা গেছেন। পরবর্তী তিন দিনে মৃতের সংখ্যা ৯০-এরও বেশি ছিল।
এই মাসে করোনাভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন আগামী জুন নাগাদ দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।
লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান-শপিংমল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক গৃহীত লকডাউনের মধ্যেই ২৫ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমলগুলো খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি, প্রজ্ঞাপন জারি
উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমলগুলো পুনরায় খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার সর্বাত্মক লকডাউটি ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে, ৫ এপ্রিল সারা দেশে সাত দিনের লকডাউন শুরু হওয়ার সাথে সাথে রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহন, দোকান ও শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, আগামী জুনের আগে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবে না।
বাংলাদেশ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত দলটি গাণিতিক মডেলিং ব্যবহার করে করোনার পূর্বাভাস জানার চেষ্টা করেন। গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে আগামী মে মাসের শেষ নাগাদ করোনা পরিস্থিতি বর্তমান অবস্থাতেই থাকবে। তবে জুন মাস থেকে পরিস্থিতি উন্নতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ঈদে শিথিল হতে পারে লকডাউন: কাদের
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ৯৮ জন করোনায় মারা গেছেন।
একই সময়ে, ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ১৪ জন।
করোনা: খুলনা বিভাগে আক্রান্ত ৩০ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৫৪২
খুলনায় বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। বিভাগে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। একই সাথে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪২ জনে।
এ অবস্থায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫৬ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ হাজার ৮৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন।
বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭১৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হজার ৫৩৯ জন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
এছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ১৭১ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ১৬৪ জন।
যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৯ জন। মারা গেছেন ৬৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হজার ১৬৯ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ জন। মারা গেছেন ২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৬৫৫ জন।
মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৯৪ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৩ জন। মারা গেছেন ৫০ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৪৪৯ জন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার দাবি অটোরিকশা, হালকা যানবাহনের কর্মীদের
কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২১ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হজার ১৮২ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৬ জন। মারা গেছেন ৪৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৬৬৬ জন।
সর্বনিম্মে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৫৭ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, করোনায় সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চললে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কমবে বলে তিনি আশাবাদী।
হাওরে ধান কাটার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
গত বছরে মতো এবারও হাওরের ধান কাটার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে। ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক সরবরাহ ও কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র হাওরে এ বছর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার অনলাইন বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ধান চালের উৎপাদন বাড়াতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমাদের চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা, উন্নত জাতের ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদেরকে প্রদান করা হয়েছে। হাইব্রিড ধানের বীজ সহায়তা বাবদ ৭৬ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদেরকে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সাথে, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরোতে ৯-১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।
এ বছর সারা দেশে বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এ বছর বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ধান কাটায় এগিয়ে আসার ও এ বিষয়ে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৮২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪৯.১০ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪১.৯২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই দেশে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এখন তৃতীয় ঢেউয়ে যেন আক্রান্ত না হই সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
মন্ত্রী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেন আসলো তার কারণ কি সেটা এখনই চিহ্নিত করতে হবে। আমরা করোনার বিস্তার রোধে বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করেছি। জনসমাগম নিরুৎসাহে সব ধরনের সভা-সমাবেশ সীমিত করা হয়েছে। করোনার উৎপত্তি স্থানগুলো পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল, সব ধরনের মেলা, পিকনিক বন্ধ রয়েছে। এভাবে কিছুদিন চললে আশা করা যায় করোনা সংক্রমণের হার কমে আসবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
সুষম খাবার বেশি খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুষ্টি সপ্তাহে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি শাক-সবজি, ফলমূলসহ সুষম খাবার খেতে হবে। তেল, চিনি, লবণ কম খান। এই বার্তা আমরা মানুষকে দিতে চাই।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে ১০ শতাংশ মানুষ এখনও পুষ্টিহীনতায় ভোগে। পুষ্টির অভাবের কারণে ডায়বেটিসসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে। আমাদের দেশে পুষ্টির দিকে ঘাটতি থাকলেও আশেপাশের দেশ থেকে ভালো আছি আমরা। এমনকি ভারতের থেকে পুষ্টির দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক খলিলুর রহমান বলেন, জনগণের খাদ্যাভাস ও খাদ্য পরিকল্পনায় পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়ার লক্ষ্যে এবার পুষ্টি সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সুস্থ, সবল ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আগামী ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল সারাদেশে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালিত হবে।
ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ইউএস-বাংলার বিশেষ ফ্লাইট শনিবার শুরু
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিশেষ অনুমতি অনুসারে আগামী শনিবার থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-গুয়াংজু রুটে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনার শুরু করতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে দুবাই, দোহা, মাস্কাট ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে ৪ আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ইউএস বাংলার বিশেষ ফ্লাইট
বর্তমান সময়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সকল বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে বিদেশ গমনেচ্ছু সকল যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের সকলের জন্য নিজ খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন অথবা হোটেলে অবস্থান করতে হবে।
উল্লখ্য, প্রতি শনিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে চীনের গুয়াংজুর উদ্দেশে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৫০ মিনিটে গুয়াংজুতে পৌঁছাবে। আবার প্রতি রবিবার ভোর ৫টায় গুয়াংজু থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং সকাল ৭টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু ১৭ এপ্রিল
ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হবে। বর্তমান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটসহ মোট ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
ফেনীতে যুবলীগকর্মীর সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার
লকডাউন চলাকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে এক যুবলীগকর্মী রিকশাযাত্রীর সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। সেই সাথে ঘটনাস্থলে থাকা দুই কনস্টেবলকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
সোমবার রাতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে হারিয়ে যাওয়া ৬ লাখ টাকা ফিরে পেলেন ব্যবসায়ী
তিনি জানান, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়ানো যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার সাথে পুলিশ সদস্যরা আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতেন। পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী স্বাক্ষরিত ওই আদেশে এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে ফেনী মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তিন মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন রিকশাযাত্রী হঠাৎ করেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন লকডাউনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাথে।
ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ফেনী মডেল থানার দায়িত্বরত এসআই যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা রিকশার গতিরোধ করে রিকশায় বসে থাকা এক যাত্রীকে চলমান লকডাউনে মাস্ক পরা ও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচল করতে বাধা প্রদান করছিলেন। এ সময় ওই যাত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাকে রিকশা থেকে নামতে বলেন পুলিশ সদস্যরা। কেন তার গতিরোধ করা হল বলে ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে- 'অন্য রিকশা ছেড়ে দিছস। আমার রিকশা কেন ধরা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভূমিদস্যুদের হামলায় ভূমি কর্মকর্তাসহ আহত ১০
এক পর্যায়ে তাকে রিকশা থেকে জোরপূর্বক নামানোর পর ওই যুবক গালমন্দ করতে থাকেন। পুলিশ তাকে পাগল আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হয় তার কারণ জানতে চায় যুবক।
তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে চার পুলিশ সদস্যের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। ওই ব্যক্তি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আঘাত করে। এ সময় ওই ব্যক্তিও পুলিশদের পাল্টা আঘাত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এক পর্যায়ে একাধিক পুলিশ সদস্য তাকে জাপটে ধরে এবং হ্যান্ডকাফ পরানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ওই হ্যান্ডকাফ পরতে অস্বীকৃতি জানায় এবং গালাগালিসহ এলোপাতাড়ি হাত-পা ছুড়তে থাকে।
ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করলে ওই ব্যক্তি সবার উদ্দেশে বলেন, 'মসজিদে কোরআন পড়তে যাচ্ছিলাম, বলছি আমাকে ছেড়ে দেন।' একই সময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে চিৎকার করে ভিডিও করতে বলে।
পরে এক পর্যায়ে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য তাকে হ্যান্ডকাফ পরানোর জন্য জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় উপস্থিত জনতার তোপের মুখে তারা আবার ওই ব্যক্তিকে ধরে উঠান এবং হ্যান্ডকাফ পরান।
আরও পড়ুন: ঈদে শিথিল হতে পারে লকডাউন: কাদের
এদিকে, মোটবী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন রিয়াদ বলেন, 'পুলিশের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবকের নাম শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা। আগে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন শহীদ। বর্তমানে ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। তার মানসিক সমস্যা আছে বলে আমার জানা নেই।'
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ মডেল স্কুলের সামনে থেকে অটক যুবক শহীদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাকে হাজতখানায় রাখার পর চিৎকার করে সবাইকে অস্থির করে তোলে। এক পর্যায়ে তার স্বজনদের ঢেকে আনলে তারা মানসিক সমস্যার কথা জানায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।