ইসি
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেয়া অর্থহীন, কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো কমিশন নিরপেক্ষ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, গত দুই নির্বাচনে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো কমিশনই বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না।
রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করার পর তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দেখা গেল ভোটের আগের রাতেই ব্যালট ভর্তি করা হয়েছে। এসব বিবেচনায় আপনারা (সাংবাদিকরা) কীভাবে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেব বলে আশা করেন? ইসি কী করবে? তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কি হবে না তা নির্ভর করছে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রকৃতির ওপর। ‘আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাহলে আমরা ইসির আলোচনায় যোগ দিই কি না দিই তাতে কি হবে?’
দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য রবিবার সকালে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি আলোচনা শুরু করার সময় বিএনপি নেতা এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, জনগণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বা বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন দেখতে চায় না।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: আব্বাস
তিনি বলেন, ‘তাই এই কমিশনের কোনো সংলাপ, আলোচনা বা ইভিএম ইস্যুতে আমরা কোনো মন্তব্য করছি না। কারণ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। সরকারের পরিবর্তন না হলে এবং নিরপেক্ষ সরকার না এলে দেশে নির্বাচন হবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশের প্রধান সংকট হলো এখানে গণতন্ত্র নেই। ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রথম দরজা। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে চারটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে চিরকালের জন্য ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, এটা সত্য যে অনেক দেশে দলগত সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের চর্চা করে আসছে।
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হলো আমাদের দেশে একটি রাজনৈতিক দল আরেকটিকে বিশ্বাস করে না। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না তা আওয়ামী লীগ নিজেই আগের নির্বাচনগুলোতে প্রমাণ করেছে। এমনকি তারা জোরপূর্বক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কারচুপি করেছে।’
আরও পড়ুন: যাত্রাপথে ভোগান্তিতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের আনন্দ নেই: বিএনপি
ঈদ আসলেই আওয়ামী পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে: রিজভী
কুসিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের এক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কী হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। নির্বাচনের আগে কুমিল্লায় একজন সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে বাধ্য করতে ব্যর্থ হয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। এতে প্রমাণিত হয় যে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ অমান্য করার জন্য ইসি যদি ক্ষমতাসীন দলের এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে নির্বাচন কীভাবে হবে সে সম্পর্কে একটি বার্তা দেবে।
আরও পড়ুন: জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
ফখরুল বলেন, কুমিল্লার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের এমপির বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাকক্ষে মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গত ৮ জুন নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইসি।
তবে কুমিল্লা-৬ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ বাহার ইসির এ নির্দেশনা মানেননি।
আরও পড়ুন: আগুন নিয়ে খেলবেন না, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
যেখানে একজন সাংসদকে আদেশ মানতে বাধ্য করার ক্ষমতা নেই ইসির সেখানে ভবিষ্যতে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে ইসি-তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি এই নির্বাচন কমিশনে যেই আসুক, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কিছুই করতে পারবে না। এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের পর্যবেক্ষণ ঠিক ছিল।’
সংসদ সদস্যকে নিজ এলাকা ছাড়তে বলা মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ: তথ্যমন্ত্রী
কোনো সংসদ সদস্যকে নিজ নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা তার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত আমার প্রশ্ন হচ্ছে যিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য, ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা যিনি ওই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ভোটার, তাকে নির্বাচন কমিশন এলাকা ছাড়ার কথা বলতে পারে কি না। এটি কি তার মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ নয়? তাহলে তো ঢাকা শহরে যখন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে তখন ঢাকা থেকে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদেরকেও ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।’
‘এভাবে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে তার মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি যাতে কোনো নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা বা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করেন, সেটির নির্দেশনা অবশ্যই থাকবে, থাকা বাঞ্ছনীয়। এবং সেটি করলে অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে, কিন্তু যিনি ওখানে ভোটার ওই এলাকার সংসদ সদস্য তাকে নিজের ভিটে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলা কি সমীচীন হয়েছে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন?’
মন্ত্রী বলেন, ‘এলাকা ছেড়ে যেতে হবে এটি দুনিয়ার কোথাও নাই। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না-এটি ভারতে নাই, পাকিস্তানে নাই, ইংল্যান্ডে নাই, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে নাই, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে নাই, কোথাও নাই। সেই আইনটাও কিন্তু বৈষম্যমূলক।’
পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই: সিইসি
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে অনেক কাগজে দেখলাম এটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এখানে নির্বাচন কমিশন কি ভুল করেছে আগে সেটি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা কখনো কোথাও দেয়া হয়নি। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় আমি মন্ত্রী এবং আমি চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম, কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় আমি অংশগ্রহণ করিনি, বাড়ি থেকে দু’ একবার বের হয়েছি প্রটোকল ছাড়া।’
এর আগে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান রক্তদান ও জনহিতকর কর্মসূচির জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭২ সালের ১০ জুন দেশে প্রথম স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত চিকিৎসক পরে জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত অধ্যাপক ডা. নূরুল ইসলাম নিজে রক্ত দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন।
আমরা শুধুমাত্র অবকাঠামোগত দিক দিয়ে বা বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমেই উন্নত রাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশকে আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য হচ্ছে একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র, একটি মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আর মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানবিকতার বিকাশ প্রয়োজন। যারা মানবিকতা প্রদর্শন করে, মানবিক কাজ করে তাদের প্রশংসা করা উচিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডা. নিজামউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম. রেজাউল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
পড়ুন: আমাদেরও সময় আসবে, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’: এমপি বাহার প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা
আমাদেরও সময় আসবে, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’: এমপি বাহার প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা
আইনের কিছু ফাঁক-ফোকরকে ব্যবহার করে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দনি বাহার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থান করছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘তিনি (আ ক ম বাহাউদ্দনি বাহার) আইন অমান্য করে নির্বাচনী এলাকায় আছেন। তবে আইনের কিছু ফাঁক-ফোকরকে তিনি ব্যবহার করছেন। আমাদেরও সময় আসবে, ওয়েট অ্যান্ড সি।
সোমবার কুমিল্লার ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়মে প্রিসাইডিং অফিসারদের ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি ভোটের পরিস্থিতি ভালো না থাকে তাহলে নির্বাচন স্থগিত করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর হুমকি: চাম্বল ইউপি নির্বাচন স্থগিত করল ইসি
তিনি বলেন, ভোটের পরিস্থিতি ভালোই আছে। কোন ধরনের খারাপ পরিস্থিতির ঘটনা এখনও ঘটেনি। নির্বাচনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করা দরকার সবই করা হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব বলেন, সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দনি বাহার একজন জনপ্রতনিধি। উনারা আইন প্রণয়ন করনে। যদি উনারাই আইন না মানেন, তাহলে আর কি বলার। উনাকে তো আর আমরা টেনেহিঁচড়ে নামাতে পারি না! এখানে ইজ্জত গেলো কার আপনারাই বুঝুন।
এসময় কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পেশি শক্তি ব্যবহার করে ভোটে জেতার সুযোগ নেই: সিইসি
ইভিএম নিয়ে ইসি এখনও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী নয়: হাবিবুল আউয়াল
চেয়ারম্যান প্রার্থীর হুমকি: চাম্বল ইউপি নির্বাচন স্থগিত করল ইসি
চট্টগ্রামের বাশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৫ জুনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী ঘোষণা দেন যে, ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের বোতাম টিপতে না পারলে টিপ দেয়ার জন্য নিজের লোক রাখবেন এবং ইভিএমকে তার ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করে নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ইভিএম না থাকলে রাতের মধ্যেই সব ভোট সংগ্রহ করতে পারতেন যা বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়েছে। পরে তদন্তে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তা বক্তব্যের প্রমাণ পান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী এই ধরনের কাজ ফৌজদারি অপরাধ। কমিশন চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পড়ুন: পেশি শক্তি ব্যবহার করে ভোটে জেতার সুযোগ নেই: সিইসি
ইভিএম নিয়ে ইসি এখনও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী নয়: হাবিবুল আউয়াল
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে কমিশন এখনও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচটি বৈঠকে বসেছি, কিন্তু আমরা ইভিএম নিয়ে পুরোপুরি আস্থাশীল হতে পারিনি। এ বিষয়ে পর্যালোচনা করতে আরও বৈঠক হবে। আমরা ইভিএম নিয়ে সবার আস্থা অর্জন করতে চাই।’
মঙ্গলবার আগারগাঁওস্থ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে: সিইসি
সিইসি দাবি করে বলেন, ইভিএমে কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে এক কোটি ডলারের ‘অদ্ভুত’ পুরস্কারের ঘোষণা তিনি দেননি।
তিনি বলেন, ‘মাত্র পাঁচ-সাত দিন আগে, আমরা চিঠির মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছিলাম যে আমরা ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। আমরা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করছি না।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি মাদারীপুরে এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, কেউ ইভিএমে ত্রুটি ধরলে এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন সিইসি।
এ বিষয়ে হাবিবুল বলেন, এটা কমিশনের বক্তব্য নয়। নির্বাচন কমিশনারদের তাদের বক্তব্যের ব্যাপারে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সিইসি বলেন, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাদের দল বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে কোনো সংলাপে অংশ নেবে না।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপে অংশ নেয়ার কোনো কারণ নেই। কমিশন সংলাপ করুক বা না করুক সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।’
শনিবার বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু।
আরও পড়ুন: অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে: সিইসি
শিগগিরই বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের মন্তব্যের একদিন পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আরও বলেন, তাদের দল মনে করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংলাপের কোনো মূল্য নেই। তাই তাদের (ইসি) সঙ্গে কথা বলার প্রশ্নই আসে না।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি বলেন, সরকার যখন বর্তমান ইসি গঠন করে তখন রাষ্ট্রপতি ও সার্চ কমিটির নাটকে বিএনপি অংশ নেয়নি। ‘যারা এখন কমিশনে আছেন, আমরা তাদের কোনভাবেই স্বীকৃতি দিতে পারি না।’
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা যে নির্বাচন চাই তা অবশ্যই শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।
তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকার দেশের দায়িত্ব নিলে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠন করবে। তারপর আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব।
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি ও জনগণ আর ক্ষমতাসীন দলের ফাঁদে পা দেবে না।
তিনি সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি থেকে কুমিল্লা সিটি মেয়র সাক্কু আজীবন বহিষ্কার
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো কিছুর ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মন-মেজাজ ভালো নেই। ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভালো ঘুমাতে পারেন না...অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, সরকার অর্থনীতির সব সূচক জনসমক্ষে প্রকাশ করছে না। ‘সরকার রিজার্ভের কথা বলে। অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার আমাদের রিজার্ভ থেকে ঋণ পরিশোধের তথ্য পুরোপুরি দিচ্ছে না।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন ১৫ জুন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার তফসিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য: কৃষিমন্ত্রী
তিনি জানান, ছয়টি পৌরসভা, একটি উপজেলা ও ১৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও একই দিন একই তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে ।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৭ মে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ ১৯ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে।
২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠনের পর এটি হবে তৃতীয় নির্বাচন।
সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু।
আরও পড়ুন: ‘আস্থার ঘাটতি দূর করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চাই’
ইসির আলোচনায় বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সংলাপ শুরু করেছে,তাতে তার দলের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে আমরা এই ইসি গঠন প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই জড়িত নই এবং আমরা এর কোনো কিছুতে (সংলাপে) যোগ দেবো না।
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে একটি ভালো ইসির পক্ষেও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণে আমরা এতে (সংলাপে) আগ্রহী নই। আলোচনায় কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে,কারা নেই, কারা এতে যোগ দিচ্ছেন এবং তারা কী বলছেন; তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের একমাত্র দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন।
এর আগে সকালে, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ জন সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের প্রস্তুতির জন্য চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আলোচনায় বসেন।
যদিও ৪০ জন সুশীল সমাজের সদস্যকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে মাত্র ১৫ জন এতে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে কী ধরনের সরকার ক্ষমতায় থাকবে তা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আলোচনায় অনেক আমন্ত্রিত অতিথির অনুপস্থিতি প্রমাণ করেছে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে সুশীল সমাজেরও এতে কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, ‘গত দুই-তিনটি নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’
জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,‘আমরা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিপক্ষে। কারণ আমরা এই ধরনের উদ্যোগকে গণবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করি।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ ইতোমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। এখন যদি পানি, বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে। আমরা এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না।’
এসময় সরকারকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
সংগঠনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া পরিষদের নেতা ও অনুসারীদের নিয়ে ফখরুল জিয়ার সমাধিতে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ইসিকে সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সাহস ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার বিকালে বঙ্গভবনে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, রাশিদা সুলতানা, মোহাম্মদ আলমগীর ও আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: অনেক সৌদি কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নতুন ইসির তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাহী শাখাসহ সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন, নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।