ইসি
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একতরফা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেশের জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনই (ইসি) জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সংবিধানের অখণ্ডতা নষ্ট করেছে। এখন আওয়ামী ধাঁচের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নোটিশ দেওয়া মানে কমিশন জনগণকে নিয়ে মজা করছে।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি আরও বলেন, একতরফা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো তাৎপর্য নেই। যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ নেই এবং ভোটারদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ নেই।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি একটি একতরফা নির্বাচন, যেখানে একই দল এবং চার ভাগের এক ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কেউ এক নম্বর প্রার্থী, কেউ দুই নম্বর প্রার্থী আবার কেউ তিন নম্বর প্রার্থী। তবে সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনও ও ওসিদের বদলির ইসির সিদ্ধান্ত আওয়ামী মতাদর্শী ইউএনও ও ওসিদের মধ্যে রদবদল মাত্র। ‘পুরো প্রক্রিয়াটি হাসি ও কৌতুকের একটি অভূতপূর্ব হাস্যরস-উদ্দীপক নাটক।’
আরও পড়ুন: হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
রিজভী বলেন, ৬০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল বর্জন করায় এই একতরফা নির্বাচন নিয়ে জনগণ কম উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে সরকারের পেশিশক্তি।
রিজভী বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা অব্যাহত রয়েছে। তারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করছে এবং আলবদর ও রাজাকারদের মতো পুরুষহীন ঘরে নারীদের হয়রানি করছে।’
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুধু বিএনপি পরিবারই নয়, সাধারণ ভোটারদেরও ভয় ও উদ্বেগ গ্রাস করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আবারও জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করছে।
রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ২৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ
কমিশনের নিরপেক্ষতা ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা সমুন্নত রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- কোনো পক্ষের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ থেকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করা।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন নম্বর-৯ এ এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আইন, বিধি ও আচরণবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনো অর্পিত প্রান্তের কোনো ধরনের প্রভাব বা অনুমান নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।’
নির্বাচনের মতো একটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা যাতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের সামনে নিজেদের অপমানিত করে এমন কোনো কাজ না করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে ইসি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
ইসি বলেছে, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় জনগণের যৌথসভা করে সবাইকে ভোটে উৎসাহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে মাঠ প্রশাসনকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে তার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে কমিশন এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মোবাইল টিমের মাধ্যমে নিবিড় টহল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইসি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং যেকোনো ধরনের অশুভ কর্মকাণ্ড রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতে বলেছে।
ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে জনগণকে জানাতে ব্যাপক প্রচার চালাতে বলেছে কমিশন।
এছাড়া রিটার্নিং অফিসারদের নিজ নিজ জেলা ও মহানগর এলাকায় বিভিন্ন দপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং এই নিরপেক্ষতা জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার এবং সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসককে বদলি করতে শনিবার (২ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমিশনের ইচ্ছার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন আমরা না চাইলে কোনো বদলি হবে না।
তিনি বলেন, তারা ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার ও সুমনগঞ্জের একজনের বদলি চান।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে এবং সুনামগঞ্জের ডিসি দিদার-ই-আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীকে ময়মনসিংহে বদলি করা হয়েছে এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরীকে সুমনগঞ্জের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
ফুরিয়ে আসছে ইসিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।’
চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এক্ষেত্রে, প্রথমে যেসব থানার ওসির বর্তমান কর্মস্থলে চাকরির বয়স ছয় মাসের বেশি হয়েছে তাদের বদলি করতে হবে। ইতোমধ্যে এ চিঠি জননিরাপত্তা সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব থানার ওসিদের পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
এলক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ওসির বর্তমান কর্মস্থলে চাকরির বয়স ছয় মাসের বেশি হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বা অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ০৫/১২/২০২৩ তারিখের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন।
এই সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার: ইসি আনিছুর
ফুরিয়ে আসছে ইসিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল যোগ দিয়েছে
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
ইসি সচিবালয়ের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ৩০০টি সংসদীয় আসনে প্রায় ৭০০ স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২ হাজার ৭৫০ জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত অনুমানের পর প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, তরিকত ফেডারেশন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭৪১টি মনোনয়ন ফরম জমা
অংশগ্রহণকারী বাকি দলগুলো হলো- গণফ্রন্ট, জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, গণফোরাম, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ১৫টি রাজনৈতিক দল হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিশ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ
জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার
ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশনের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় নির্বাচন ভবনে প্রতিনিধি দলের এই বৈঠক শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদল আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে ইসিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদলের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদলের রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্টিয়ান রিগার-ব্রাউন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিটেজ সালাস, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার। ফরাসি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন গিলাউম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়ান জানোস্কি।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার: ইসি আনিছুর
বিএনপি ভোটে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি আসবে না, সেটি তাদের ব্যাপার।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সবাই আসবে এটি স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এছাড়া, এখনও বিএনপির নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। যদি তারা আসে তাহলে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সবাই আসবে এটা স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, কোনো আসনকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক আসনই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি খারাপ হতে সময় লাগে না। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি রাখা হবে।
যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে ভোটের তারিখ পেছানো হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। ইসি মনে করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সবার আসা উচিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি সদর দপ্তর কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম, ডিজিএফআইয় কক্সবাজারের কর্নেল জিএস মোরশেদ আহমদ চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সৈকত শাহীহ, কক্সবাজার এবং বান্দরবানের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে ইসিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়
কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জেবিআইসি’র সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই
বুধবার অবরোধ, বৃহস্পতিবার হরতাল ডেকেছে বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে ফের সারাদেশে ২৪ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী হরতাল পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় শেষ হবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
রিজভী বলেন, এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও এই কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: শিথিলতায় চলছে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
বিরোধী দলের চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়। এর ১৪ ঘণ্টা আগেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো দেশব্যাপী ১৯ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করে এবং ২২ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ এবং ২৬ নভেম্বর থেকে আরেক দফা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করে, যা মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দলগুলো এখন পর্যন্ত সাত দফায় অবরোধ পালন করেছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে তারা ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালও পালন করে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার মধ্যে দিয়ে হরতাল শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। খুব দ্রুতই নয়াপল্টনের চারপাশে ছড়িয়ে সহিংস সংঘর্ষ পড়ে এবং মাঝপথে সমাবেশ বন্ধ করে দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে
ডিসেম্বরে অবরোধের পরিবর্তে অবস্থান কর্মসূচির পরিকল্পনা বিএনপির
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু জানান, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া কথা তারা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে অত্যন্ত উদগ্রীব হয়ে উঠেছে।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মুজিবুল হক বলেন, যারা দলকে সমর্থন করেন তারা দলের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন এবং তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্য থেকে মনোনয়ন বোর্ড ঠিক করবে কারা টিকিট পাবে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
আগামীকাল বিকালে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে মুজিব বলেন, জাপা প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে।
আজ সকাল ১১টা থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে সাক্ষাৎকার সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও কাজী ফিরোজ রশীদসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই: মুজিবুল হক চুন্নু