মাংসের দাম
সবজির মূল্য স্থিতিশীল হলেও সব ধরনের মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে গরু ও মুরগিসহ অন্যান্য মাংসের দাম চড়া থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম।
শুক্রবার মহাখালী, কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ ও শান্তিনগরসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় গরু ও মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী
গত শুক্রবার গরুর মাংস মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।
মানভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০৫০ থেকে ১১৫০ টাকায়, আজ তা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে প্রতি কেজি মোরগের দাম ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাতগুলোর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির খাদ্য ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে।
প্রায় সব সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও শুক্রবার ঢেঁড়স, সজনে, লম্বা শিম ও করলার মতো নতুন সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
সজনে ছাড়া বাকি সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার মান ভেদে প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম হালিপ্রতি ৭০ টাকা এবং ঘরে পালন করা মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
৭ মাস আগে
ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর মাংসের বাজারে বেড়েছে গরুর মাংস ও সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম।
রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা বাসাবোসহ বিভিন্ন এলাকার মাংসের বাজার ঘুরে দেখে গেছে ব্যবসায়ীরা গরুর মাংস বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৭০০ টাকা (গড়) থেকে ৭৫০ টাকা (প্রিমিয়ার কোয়ালিটি)।
আরও পড়ুন: ঈদের আনন্দ নেই গাইবান্ধার চরাঞ্চলের
মুগদা এলাকার মাংসের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, যদিও তালিকায় প্রতি কেজি ৭০০ টাকা লিখা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের মতো এবারও ঈদে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রমজানের প্রথম থেকে ২৬ রোজা পর্যন্ত প্রতি কেজি ছিল ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা এবং শুক্রবার থেকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা গবাদি পশুর উচ্চ মূল্য এবং তাদের পরিবহনের উচ্চ খরচকে দায়ী করেছেন।
গরুর মাংস কিনতে বাজারে আসা শান্তিনগরের বাসিন্দা ইয়াকুব জানান, ‘রমজানের শুরুতে আমি এক কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় কিনতাম। রবিবার ৭৫০ টাকায় কিনলাম। আমাদের বলার কিছু নেই।’
এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
কাপ্তান বাজারের মুরগির ব্যবসায়ী সোহাগ জানান, শনিবার তিনি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছেন ১৭০ টাকা কেজি, যা রবিবার ১৯০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: সৌদির সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের ৩ ইউনিয়নে ঈদ উদযাপন
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি এটি প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। সোনালী ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। রবিবার সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, যা রমজানের শুরুতে প্রতি কেজি ছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা।
লেয়ার (লাল) মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০ টাকায় এবং সাদা লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ।
২ বছর আগে
করোনাভাইরাস ঢাকায় বাড়িয়ে দিয়েছে মাংসের দাম
করোনাভাইরাস সংক্রমণ হ্রাসে সরকার ঘোষিত ‘ছুটির দিনে’ সরবরাহ কম এবং ব্যবসা সাময়িক বন্ধ থাকার কারণে ঢাকায় মাংসের দাম কেজিতে ২৫০ টাকার মতো বেড়েছে।
৪ বছর আগে