প্রধানমন্ত্রী
তেলের দাম বাড়ার পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
পদের প্রতি কোনো লোভ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর বাম দল আমার পদত্যাগ দাবি করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বলেছিলাম পদত্যাগ করবো কি না? প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, যারা পদত্যাগ চেয়েছে তারা তেলের দাম কমাতে পারবে কি না?
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকালে চট্টগ্রাম চেম্বার ও কমার্স আয়োজিত মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (সিআইটিএফে) উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগরী পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সাল বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের অবস্থান বদলে গেছে। চার বছর আগে মন্ত্রী ছিলাম না, দিল্লি গেছি। একজন পাকিস্তানি জানতে চাইল, তোমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাদু আছে? আমাদের অর্থনীতি তাদের কাছে বিস্ময়।
পড়ুন: দেশের ৪৫ ভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেশ ভালো: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অবদান আছে। সরকার ব্যবসা করবে না, ব্যবসায় সহায়তা করবে। কোভিড নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গোষ্ঠী উদ্ধার হয়েছিল। বৃক্ষ তার ফলে পরিচয়। বাংলাদেশ সরকার অ্যাডভান্সড চিন্তা করেছিল। তেলের দাম ভারতে ১৫ টাকা, পাকিস্তানে ৩৬ টাকা বেশি। ১০ শতাংশ তেল হয় দেশে। গম, ডাল আমদানি করতে হয়। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্য তেল, চিনি, ছোলা দিয়েছি। ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন এটি চলবে। ভর্তুকি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, চেম্বার পরিচালক একেএম আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মেলার ২৯তম এ আসরে ৩১০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ করছে। প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে পণ্য প্রদর্শন করবে ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরান। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।
পড়ুন: আলমেরিয়ার কৃষির মডেল বাংলাদেশে প্রয়োগ করে টেকসই কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইবিতে ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি!
বগুড়ায় বিএনপির ৪৩৩ জনের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতার মামলা
বগুড়ার গাবতলীতে আওয়ামীলীগ বিএনপির দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্শেদ মিল্টনকে প্রধান করে ১৩৩ জনের নামে ও ৩ শ’ নেতাকমীকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গাবতলী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমান পাইকাড় বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় এ মামলা করেন।
গাবতলী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত ) জামিরুল ইসলাম জানান, থানা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুনসহ ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩ শত অজ্ঞাত করে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমান পাইকাড় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে আসতে হলে ছাত্রদলকে ক্ষমা চাইতে হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি
থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দোকানপাট,দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর করে আগুন দিয়েছে। এতে আমাদের পৌরসভার কাউন্সিলর হারুনসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। উল্টো তারাই বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য উদ্দেশ্যমুলক মামলা করেছে।’
এদিকে মামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা সহ দলের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বগুড়া জেলা মহিলাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া জেরিন রনি প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করে বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার ঘটনায় গত রবিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সুরাইয়া জেরিন রনির বিরুদ্ধে শনিবার রাতে গাবতলী মডেল থানায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গফুর বাদী হয়ে সোমবার রাজশাহী সাইবার ট্রাইবুনালে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেত্রীর মামলা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া-মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।
তাঁর বোন ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার সঙ্গে তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের গণহত্যায় নিহত অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
এসময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয় এবং সেই সঙ্গে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু সাহসী জাতি হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে: প্রধানমন্ত্রী
চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ফসল কাটার মৌসুমে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৈঠকে দেশের ভোজ্যতেল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে চালানো সাম্প্রতিক অভিযানের মতো অবৈধ চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ অননুমোদিতভাবে ব্যবসা এবং চাল মজুদ করে থাকে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল বলেন, ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম বেড়েছে এবং চাল মজুদ করা হচ্ছে কি না এবং কেউ অবৈধভাবে চালের ব্যবসায় জড়িত কি না তা জানতে বাজার সার্ভে করার পর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এমন তথ্য রয়েছে যে কিছু (ব্যবসায়ী বা কোম্পানি) সমিতির স্মারকলিপি ভেঙে চালের ব্যবসায় জড়িত হতে পারে। তাই, বৈঠকে চালের বাজার জোরালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে বলা হয়েছে।
চালের দাম বাড়ার পেছনে কারণ জানতে বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব এবং কৃষি সচিবকে শিগগিরিই মার্কেট সার্ভে পরিচালনার জন্য বৈঠকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু সাহসী জাতি হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, দেশের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে তার সরকারের পদক্ষেপ একটি সাহসী জাতি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
ঢাকা সেনানিবাসের সেনা সদর দপ্তরে মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত আর্মি সিলেকশন বোর্ড ২০২২ এ বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সাহসী সিদ্ধান্ত জাতির আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক শক্তিকেও শক্তিশালী করেছে।’
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক বোর্ড সভা না করে এবং দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে হঠাৎ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, যা পরবর্তীতে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই এগিয়ে যেতে হবে এবং গত এক দশকে অর্জিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে হবে।
তিনি দেশের অবকাঠামো নির্মাণে সেনা সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দক্ষ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে যাতে বাহিনী একটি আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
তিনি নির্বাচকদের মনে রাখতে বলেছেন যে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রথম রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের কথা স্মরণ করেন যেখানে তিনি সেনা কর্মকর্তাদের সৎ, সাহসী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আপনাকে সর্বদা নিশ্চিত করতে হবে যে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে জাতির পিতার আদর্শ প্রতিফলিত হয় এবং সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিকদের হাতে তুলে দিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, দৃঢ় নৈতিক সাহস ও নেতৃত্বের অন্যান্য গুণসম্পন্ন সৎ ও অনুগত কর্মকর্তারাই পদোন্নতির দাবিদার।
‘সুতরাং, যে অফিসাররা তাদের সেনাবাহিনীর কর্মজীবনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সফল হয়েছেন তাদের পদোন্নতি দেয়ার সময় বিবেচনা করতে হবে’, তিনি পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী শুধু দেশ রক্ষায় জড়িত নয়, এটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার।
তিনি করোনা মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন ও অন্যান্যদের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, সবাই মিলে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি তার বক্তৃতায় পাকিস্তানি শাসনামলে সশস্ত্র বাহিনীতে বাঙালিদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে বলেন, একজন বাঙালি কর্নেল পাকিস্তানের সামরিক চাকরিতে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তবে এখন অনেক জেনারেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন এবং এটা সম্ভব হয়েছে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কারণে।’
জলবায়ু অভিবাসী এবং অন্যান্য দরিদ্র গৃহহীন লোকদের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার তাদের ঘর দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি তার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। কারণ সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে সমস্ত গৃহহীন মানুষকে বাড়ি দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী, সময়ের উপযোগী এবং সক্ষম বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে আধুনিক অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম অপরিহার্য।
এ কথা মাথায় রেখেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীনতার পরপরই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতির আলোকে সেনাবাহিনীকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নকারী সর্বাধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে তার সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক আধুনিক ও যুগোপযোগী যুদ্ধ সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।
‘সেনাবাহিনীর ক্রমাগত উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন ফর্মেশনে তিনটি ব্রিগেড গঠন করেছে, ৫৮টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং নয়টি সংস্থা পুনর্গঠিত হয়েছে’, বলেন তিনি ।
পদ্মা সেতুর মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে শেখ রাসেল সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে এবং মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে নতুন সেনানিবাস নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
তিনি পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল ও মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে যা জিডিপিতে ১ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এশিয়াকে শক্তি একত্রিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় জলবায়ু সংকট থেকে মনোযোগ সরানো উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। সচেতন শিক্ষার্থীরা তা প্রতিহত করবে।’
রবিবার চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের শিক্ষার মান ভালো: দীপু মনি
দীপু মনি বলেন, দেশের মানুষ শান্তি চায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনমাননের উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষ এখন এটাই চায়।
তিনি বলেন, অশুভ শক্তি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ ও সচেতন ছাত্রসমাজ সেটিকে প্রতিহত করবে।
দীপু মনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষ হয়ে দেশকে ভালোবাসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণের মতো: দীপু মনি
বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আরও সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন,যদি আরও প্রয়োজন হয়, আমরা জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২২-এ বক্তব্যদানকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের উন্নয়নই সরকারের অগ্রাধিকার: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২২ এর প্রতিপাদ্য 'জনগণের শান্তি অগ্রগতি: অংশীদারিত্বের শক্তি'-কে সামনে রেখে আমরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশসহ সকল বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পেশাদারিত্ব ও সততা বজায় রেখে আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি মিশনে জীবন সুরক্ষিত রাখতে এবং বিশ্ব মঞ্চে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সবসময় মনে রাখবেন কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের সকলের উচিত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা। তবেই আপনারা সফল হবেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনো সংঘাত বা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এশিয়াকে শক্তি একত্রিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তৃণমূলের উন্নয়নই সরকারের অগ্রাধিকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার তৃণমূল থেকে পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষকে পেছনে ফেলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেই আওয়ামী লীগ দেশের গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে সেন্টার অন ইনটিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া এ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (সিরডাপ) মহাপরিচালক ড. চেরদসাক ভিরাপার কাছ থেকে ‘আজিজুল হক পল্লী উন্নয়ন পদক-২০২১’ গ্রহণকালে একথা বলেন।
গ্রামীণ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে সিরডাপ।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এশিয়াকে শক্তি একত্রিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ উন্নয়ন নিশ্চিত হলেই দেশ কাঙ্খিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায়ও প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এবং সে কারণেই ক্ষমতায় আসার পর সে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রকল্পটি বেকার দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং সেখানে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।
তিনি গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতি দুই কিলোমিটার দুরত্বে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করছে যাতে শিশুরা পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার সরকার বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করেছে এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও এর পাশাপাশি অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,সরকার গ্রামীণ জনগণের জন্য নিরাপদ পানি এবং মানসম্মত স্যানিটেশন সুবিধার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আবাসন সহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলোও নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে এবং দরিদ্র দুস্থ মানুষদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন ভাতা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সিরডাপ এবং এর পরিচালনা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান এবং পুরস্কারটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় জলবায়ু সংকট থেকে মনোযোগ সরানো উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে। চাঁদপুরে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অফিস খোলা হয়েছে। নৌযানের ফিটনেস ও নৌযান সংক্রান্ত কোন কাজের জন্য ঢাকায় যেতে হবেনা। সেবা মানুষের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছে যাবে।
শনিবার চাঁদপুরে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২২’- উদযাপন উপলক্ষ্যে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের বালু দরকার;তবে অপরিকল্পিতভাবে নয়। অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনকারীরা যত শক্তিশালী হোক না তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিলুপ্ত ও বেদখল হওয়া নদীগুলোকে পুনরুদ্ধার করে খননের মাধ্যমে প্রবাহমান করা এবং নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের কঠিন কাজে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে;আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন,আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব। সেক্ষেত্রে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ ভূমিকায় থাকতে চায়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীর প্রবাহ বজায় রাখতে হবে। নতুবা নদীমাতৃক বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবেনা। প্রশিক্ষিত নৌযান শ্রমিক তৈরিতে সরকার কাজ করছে। পাঁচটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এসময় প্রশিক্ষিত নৌযান শ্রমিকদের জাহাজে নিয়োগ দিতে প্রতিমন্ত্রী নৌযান মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
‘প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ নিরাপত্তায় রাখবে অবদান’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৯ মে থেকে দেশব্যাপী নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২২ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এশিয়াকে শক্তি একত্রিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নতির জন্য এশীয় দেশগুলোকে তাদের শক্তি একত্রিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এশীয় দেশগুলোর অভিন্ন উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং তাদের সেগুলোকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা উচিত।’
শুক্রবার টোকিওতে এশিয়ার ভবিষ্যৎ বিষয়ক ২৭তম আন্তর্জাতিক নিক্কেই সম্মেলনের এক ভিডিও বিবৃতিতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও সমৃদ্ধ এশিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সবসময় বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
পরবর্তী প্রজন্মের সুবিধার জন্য এশিয়ার দেশগুলো সর্বোত্তম সহযোগিতা করতে পারে এমন পাঁচটি প্রস্তাব করেছেন শেখ হাসিনা।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে আইসিটির সর্বোত্তম ব্যবহার, ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা, টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন এবং জয়-জয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে সহযোগিতা।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসা খুঁজতে সবাইকে অবদান রাখার জন্য আবারও অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।’
বিশ্বে এশিয়ার ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনের মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক কপ-২৬ সহ সকল আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সক্রিয় ও সোচ্চার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় জলবায়ু সংকট থেকে মনোযোগ সরানো উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের গ্র্যাজুয়েশন স্বীকৃতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০২৬ সালের পর মসৃণ উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি সবাইকে, বিশেষ করে জাপান ও অন্যান্য ওইসিডি দেশগুলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশকে অন্তত ২০২৯ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা প্রসারিত করার অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মহামারির আগে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা তিন দশমিক ৫১ শতাংশের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির হার বজায় রাখতে পারি এবং ২০২১ সালে ছয় দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়। আমরা চলতি অর্থবছরে সাত শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের আশা করছি।’
জাপানের বৃহত্তম মিডিয়া গ্রুপ এবং দ্য নিক্কেই ও নিক্কেই এশিয়ার প্রকাশক নিক্কেই ইন্স. ২৬ ও ২৭ মে এসম্মেলনের আয়োজন করে।
দ্য ফিউচার অব এশিয়া হলো একটি আন্তর্জাতিক সমাবেশ যেখানে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও একাডেমিক নেতারা আঞ্চলিক সমস্যা ও বিশ্বে এশিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে খোলাখুলি ও স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর