ভ্যাকসিন
দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) জানিয়েছে।
ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ভ্যাকসিন ছিল।৮৮ লাখ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে প্রায় ১৪ লাখ ভ্যাকসিন মজুদ আছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
তিনি বলেন, বিদ্যমান মজুদ শেষ হওয়ার আগে দেশে নতুন করে ভ্যাকসিনের চালান না এলে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দেবে।
রোবেদ বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭১৯ জন লোক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং ৩০ লাখ ২৩ হাজার ১৬৯ জন লোক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই চীন থেকে ভ্যাকসিন পেতে আশাবাদী ঢাকা
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য ১৪ লাখেরও বেশি ডোজের অভাব রয়েছে দেশে।
ভ্যাকসিন সংকটের মধ্যে সরকার ২৬ এপ্রিল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদানের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অবশ্য আশা প্রকাশ করেছেন যে ঈদুল ফিতরের আগে চীন থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে মডার্নার ভ্যাকসিন আনার অনুমতি চেয়ে আবেদন
পাশাপাশি তিনি বলেছেন, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রোবেদ জানান, বাংলাদেশি একটি ওষুধ কোম্পানি রেনাটা লিমিটেড মডার্নার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমদানির জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করতে চায় বলে সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা আশাবাদী যে দেশে এক বছরে ১.৫ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হবে।’
রোবেদ বলেন, সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতার মূল্যায়ন করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ভাইরাস সংক্রমণ হার কমতে থাকায় গত এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে কোভিড পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আত্মতৃপ্তির কোনও অবকাশ নেই কারণ আক্রান্তের হার যে কোনও ধরণের অবহেলার জন্য আবার বাড়তে পারে।
রোবেদ বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি বজায় রাখতে হবে এবং ভাইরাস সংক্রমণে ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা বজায় রাখতে জনসাধারণের চলাচলকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
বাসা থেকে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি বলেন, এটাই সম্ভাব্য কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে সেরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
করোনা: দেশে মডার্নার ভ্যাকসিন আনার অনুমতি চেয়ে আবেদন
বাংলাদেশি একটি ওষুধ কোম্পানি মডার্নার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমদানির জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সোমবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
কোম্পানির নাম প্রকাশ না করে ডা. বাশার বলেন, কোম্পানিটি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য কোম্পানির সক্ষমতা যাচাই করতে আবেদন ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
তিনি আরও বলেন, ‘মডার্নার ভ্যাকসিন খুব কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা দরকার যা কেবল ঢাকাতেই সম্ভব। ঢাকার বাইরে এটি সংরক্ষণ করার সক্ষমতা আমাদের নেই।’
সরকার করোনার নামে ব্যবসা করছে: বিএনপি
কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে বর্তমান সঙ্কট বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার একে করোনাভাইরাসের নামে ব্যবসায়ের অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, 'সরকার কারও কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নয়। কারণ এর সাথে জনগণের কোনও যোগাযোগ নেই। সুতরাং, সরকার করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে ব্যবসা করছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ক্ষমা চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বিএনপি নেতা বলেন, 'আমরা সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিলাম যে ভ্যাকসিন কোনও একক উত্স থেকে নেয়া উচিত নয়। কিন্তু তারা তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য শুধুমাত্র একটি উত্স থেকে এই ভ্যাকসিন নিয়েছে। ফলস্বরূপ, দেশ এখন ভ্যাকসিন সঙ্কটের মুখোমুখি।'
মির্জা ফখরুল বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিতে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যারা বর্তমান সরকারের আমলে নিখোঁজ ও হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদ উপহার প্রদান করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকার গত দেড় বছর ধরে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবং জনগণের জন্য যথাযথ চিকিত্সা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। 'তারা কীভাবে অর্থোপার্জন করতে পারে, কীভাবে দুর্নীতিতে জড়াতে হবে সে বিষয়ে তারা কাজ করেছে। তাই, জনগণ চিকিত্সা পাচ্ছে না এবং তারা আইসিইউ বেডের জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে ‘নরকে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল ভ্যাকসিনের বিকল্প উত্স হিসেবে রাশিয়া ও চীনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য এক বছর আগে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিল। তবে তারা তা শোনেননি। 'প্রচুর সময় নষ্ট করার পরে তারা এখন চীন ও রাশিয়ার সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছে। তারা এখন পরিষ্কার পানি উপেক্ষা করে কাদা পানি পান করছে।'
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে বসে জাতীয় বিপর্যয় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল।
নিখোঁজের পরিবারের সদস্যদের ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, তাদের দলের নেতারা নিখোঁজ হওয়ার কারণে তাদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের শক্তি তাদের নেই। 'এটিও সম্ভব নয়। প্রতিবছর এ জাতীয় ঘটনাগুলো আমাদের আবেগময় করে তোলে এবং আমি যখন আপনাদের সামনে উপস্থিত হই তখন আমি নিজেকে দোষী বোধ করি। কারণ আমরা এখন পর্যন্তও পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারিনি।'
ফখরুল বলেন, বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী এক দশক ধরে নিখোঁজের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতাদের মুক্তির দাবি জানাল বিএনপি
বিভিন্ন অধিকার সংস্থার পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৬০১ জনকে নিখোঁজ করা হয়েছে এবং ২ হাজার ৮১৭ জন বিচার বহির্ভূত ও অন্যান্য হত্যার শিকার হয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা সতর্ক করেছিলেন, 'এত লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে এবং এত বেশি তরুণকে চলে যেতে হয়েছে ... সরকার ও আওয়ামী লীগকে অবশ্যই একদিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং গোটা জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে।'
যেভাবেই হোক করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হবে: কাদের
জনগণের জীবন বাঁচাতে যে কোনও উত্স থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
তিনি সকালে সাংবাদিকদের বলেন, 'কারোনার ভ্যাকসিন পেতে কারও সাথে বিশেষ সম্পর্কের দরকার নেই ... সরকার যে কোনও উত্স থেকে এটি সংগ্রহ করবে।'
আরও পড়ুন: বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শহীদ শেখ জামালের ৬৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
দলের প্রবীণ এই নেতা প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এবং এরপরে দলের হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, এখন দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দল মত নির্বিশেষে সকলের অভিন্ন শত্রু করোনাভাইরাসকে মোকাবেলায় দোষারোপের রাজনীতি এড়ানো।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনই একমাত্র সমাধান নয়: কাদের
শেখ জামালের সাহস ও মেধার রাজনীতিকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, 'জাতিকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে বের করে আনতে হবে। হত্যার রাজনীতি কোনও দলেরই কাম্য নয়।'
১৯৭৫ সালের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ছেড়ে দেয়া হয়নি, তিনি বলেছিলেন, 'হত্যা হত্যাকাণ্ড ঘটায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হলে খুনিদের আরেকটি দল জিয়াউর রহমানকে হত্যার সাহস না করত।'
কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান নিজে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং এর পরিণতিই তাকে ভোগ করতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, 'বিএনপি এখন শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।'
বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাদের বিএনপিকে হত্যা, ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের পথ থেকে দূরে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপিকে ক্ষমা চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ক্ষমা চেয়ে বিএনপিকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনকে করোনার সুরক্ষা-সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় নেতা নয়, সরকার দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করছে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'দু:খজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে বিএনপিসহ তার মিত্ররা এবং কিছু গোষ্ঠী, যারা সরকারের কোনো কাজেই ভালো দেখতে পারে না, তারা মহামারির শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই চালিয়েছে।'
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ভারতের টিকা কাজ করবে না- এই প্রচারণা আপনারা চালিয়েছিলেন। আবার সেই টিকা আসতে যখন একটু দেরি হচ্ছিল, তখন অন্য কথা বলা শুরু করেছিলেন, সুতরাং এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য প্রথমে আপনাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।'
'বিএনপিসহ যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাদেরকে বলব, বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাজনীতি না করে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান,' বলেন ড. হাছান।
মন্ত্রী এ সময় জানান, সরকার রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী মাসেই সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অনেক টিকা আসবে এবং খুব সহসা অন্যান্য দেশ থেকে যে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেগুলোও আসবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মহামারির মধ্যেও অক্লান্ত কাজ করে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করেন এবং গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: মোদির বিরোধিতাকারীদের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার ও অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে করোনার সুরক্ষা-সামগ্রী গ্রহণ করেন।
ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা শিগগিরই কেটে যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা শিগগিরই কেটে যাবে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য অর্ডার দিয়েছিলাম (সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে) এবং অর্থ প্রদান করেছি। তবে আফসোসের বিষয় যে আমরা সঠিক সময়ে ভ্যাকসিনটি পাচ্ছি না, আমাদের টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় এজেন্ট, বেক্সিমকো এবং আমরা এর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।'
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সরকারও ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করছে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা আশা করি, আমরা দ্রুত ভ্যাকসিনটি পাব, তবে সঠিক সময়টি আমরা জানতে পারছি না। আমরা কয়েক দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে জানতে পারব। '
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকার চীন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করছে। 'এ বিষয়ে একটি অগ্রগতি হয়েছে এবং আমরা মনে করি আমরা সেখান থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে সক্ষম হব।'
তিনি বলেন, চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে পাঁচ লাখ ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং সরকার এখন এটি গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, চাহিদার তুলনায় কম উত্পাদন হওয়ায় সারা বিশ্বে এই ভ্যাকসিনের সঙ্কট রয়েছে এবং ধনী দেশগুলো ভ্যাকসিনের ৭০ শতাংশ কিনেছে।
আরও পড়ুন: করোনার ১ম ডোজের টিকাদান সোমবার থেকে স্থগিত
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন পেতে সরকার বেক্সিমকো ও সেরামকে চিঠি দিয়েছে। 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তার বাংলাদেশ সফরকালে সময়মতো ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন এবং তিনি তা করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তবে ভ্যাকসিন রপ্তানির বিষয়ে সে দেশের সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 'নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে সব দেশ ভ্যাকসিন পাবে।'
তিনি বলেন, তারা শুনেছেন ভারত ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল সঙ্কটের মুখোমুখি। 'ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাঁচামাল আমদানি করে। আমেরিকাও কাঁচামাল রপ্তানি স্থগিত রেখেছে। অর্থাৎ, ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের রাজনীতি রয়েছে।'
মন্ত্রী বলেন, সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রকদের দ্বারা স্বীকৃত টিকা অনুমোদনের জন্য ওষুধ প্রশাসনকে অনুমতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য একটি প্রক্রিয়া চলছে। 'তবে অনুমোদনের জন্য এই দেশগুলো থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য আমাদের কার্যক্রম থামেনি। আমরা এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছি।'
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
মন্ত্রী বলেন, বেক্সিমকো এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে রাশিয়ার 'স্পুটনিক ভি' কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, রাশিয়ান সংস্থাটির প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ের পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। 'এটি এখন রাশিয়ার উপর নির্ভর করছে।'
ভ্যাকসিন সহযোগিতা: চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
তারা জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ তৈরিতে চীনা প্রস্তাবের সাথে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানও চীন থেকে অনুরূপ প্রস্তাব পেয়েছে এবং সম্মতি দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ এই প্রস্তাব পেয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এই প্রস্তাবের আরও বিস্তারিত জানতে চাইবেন। এ বিষয়ে সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
ড. মোমেন বলেন, চীন উপহার হিসেবে ৬ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ দেবে এবং আশা করি শিগগিরই বাণিজ্যিক ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।
ভ্যাকসিনই একমাত্র সমাধান নয়: কাদের
করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, বলেন মনে রাখতে হবে ভ্যাকসিনই একমাত্র সমাধান নয়।
কুমিল্লা সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটি'র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘মাস্ক না পরলে ভ্যাকসিনে কোনো কাজ হবে না।’
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, করেনার এই সময়ে রাজনীতি না করে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ‘জীবীকার আগে জীবন,তাই করোনার এই সময়ে জীবন বাঁচাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
করেনার এই সময়ে রাজনীতি করা সমীচীন নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে অনবরত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে - সে কারণে এসব মিথ্যাচারের জবাব সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হয়।
করোনার এই ভয়াবহ বিস্তাররোধে এখন একমাত্র রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে বাঁচানো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবন ও জীবীকার দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচক্ষণতার সঙ্গে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন বলেও জানান তিনি।
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে হলে ফিরতে চায় খুবি শিক্ষার্থীরা
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হলে ফিরতে চায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সকল শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সসহ সব বর্ষের চলমান ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনের পর চলমান পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের দাবিতে ‘একাত্মতা’: খুবির এক শিক্ষক বরখাস্ত ও দুজন অপসারণ
করোনাকালীন সময়ে সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে গত বছরের গত জুলাই থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহাদ বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। এছাড়া করোনার টিকা যেহেতু চল্লিশ বছরের নিচে কেউ নিতে পারবে না বলে নীতিমালা করেছে সরকার সেই ক্ষেত্রে আমাদের বিকল্প কোন ব্যবস্থা ও করতে হবে।প্রয়োজনে সকল শিক্ষার্থীরা করোনা টিকা নিব। তাছাড়া করোনা সঙ্কটের পর দীর্ঘদিন পড়াশুনার যে শূন্যতা রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে চাই।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আরেক শিক্ষার্থী আশিক বলেন, আর মাত্র একটা পরীক্ষা হলে আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সেই পরীক্ষাও স্থগিত রেখেছে। এতে করে আমাদের পড়াশানার যে উৎসাহ বা যে ধারাবাহিকতা রয়েছে তা হারিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের মোট ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। যার মধ্যে ছাত্রদের তিনটি এবং ছাত্রীদের জন্য দুটি। এই আবাসিক হলে প্রায় ৫ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীরা আছে। তবে এই করোনা সঙ্কটের পর থেকে সব আবাসিক হলগুলো বন্ধ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে এখন তারা বাহিরে মেসে থাকছে। এতে করে তাদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ও মাসিক অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের করোনা টিকা দিতে চায়, আমরা অবশ্যই নিব। কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে প্রবেশ করতে চাই।
আরও পড়ুন: আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাদ হোসনে আরা বলেন, সরকারিভাবে এখনও আবাসিক হল খোলার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া যেহেতু শিক্ষার্থীদের বয়সের একটি সীমা রেখা রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দ্রুত একটি ব্যবস্থা নিবে। যেন শিক্ষার্থীরা দ্রুত আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারে।
বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি: দোরাইস্বামী
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি।
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বেই ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। সরবরাহের চেয়ে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। সবাই কাজ করছে কিভাবে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি। এর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা গ্রহণ করেছে। আমরা কতটুকু সহযোগিতা করতে পারি তা দেখুন।’
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি কম: গবেষণা
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতের আগরতলা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিনের কারণে দু’দেশের সম্পর্কে ভাটা পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বর্তমানে ভারতে টিকার মারাত্মক সংকট রয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা পেয়েছে। অন্য কোন দেশ তা পায়নি। আমাদের সীমিত উৎপাদনের মধ্যে বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার ব্যাপারে কাজ করছি।
আরও পড়ুন: ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আড়াই লাখের বেশি করোনা শনাক্ত
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সব সময়ই একটি বিশেষ সম্পর্ক। এমনকি এই করোনা মহামারির মধ্যেও ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে।
বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বর্তমানে আমরা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রয়েছি। আশা করি রমজান মাসে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে একসাথে প্রার্থনা করবো আমরা। আমরা সবাই এই সংকট (কোভিড-১৯) থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
হাইকমিশনার আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ খুব বড় ঢেউ। ভারতে বর্তমান অবস্থা খুব খারাপ। আমরা সবাই সংকট সমাধানে একসাথে কাজ করছি। দেখা যাক, দুই দেশের মানুষের স্বার্থে কী করতে পারি। এসময় তার স্ত্রী সঙ্গীতা দোরাইস্বামী সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে বিক্রম দোরাইস্বামী দিল্লি থেকে বিমানযোগে আগরতলা এসেছে পৌঁছান। ৪ দিনের ছুটি কাটিয়ে সেখান থেকে সড়ক পথে আগরতলা চেকপোস্টে আসেন। চেকপোস্টে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান। পরে তিনি সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।