কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
তারা জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ তৈরিতে চীনা প্রস্তাবের সাথে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানও চীন থেকে অনুরূপ প্রস্তাব পেয়েছে এবং সম্মতি দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ এই প্রস্তাব পেয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এই প্রস্তাবের আরও বিস্তারিত জানতে চাইবেন। এ বিষয়ে সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
ড. মোমেন বলেন, চীন উপহার হিসেবে ৬ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ দেবে এবং আশা করি শিগগিরই বাণিজ্যিক ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।