সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনার খালিশপুরে কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এ সময় দুই আসামি উপস্থিত থাকলেও তিনজন পলাতক রয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলী আকবর ওরফে হৃদয়, মেহেদী হাসান ওরফে ইবু, সোহেল (পলতক), আব্দুল্লাহ (পলাতক), মোহন (পলাতক)।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিম ১ নং ক্ষ্যামা বিহারী ক্যাম্পের একটি টিউবওয়েলে হাত মুখ ধুচ্ছিল। এ সময় একই ক্যাম্পের মো. মোহন খাবার কিনে দেয়ার কথা বলে শিয়া মসজিদের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষারত মো. আলী আকবর তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চরেরহাট বাবুল কাউন্সিলরের ভেড়িবাধ কলা বাগানে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
এ সময় উপস্থিত অন্য আসামিরা ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সাড়ে ৯টায় আসামি আলী আকবর ১ নং ক্ষ্যামা বিহারী কলোনীর পাশে আরাবিয়া মসজিদের সামনে রাস্তার ওপর ফেলে যায়। এ সময় আসামি আলী আকবর কিশোরীকে ঘটনাটি কাউকে না জানানো জন্য হুমকি দেয়। কিশোরী বাড়ি এসে মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। পরবর্তীতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেন।
একই বছরের ২০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী রেজাউল করিম পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন আদালতে ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, কিশোরী বাংলাদেশে আটকে থাকা পাকিস্তানি বিহারীর ক্যাম্পের একজন সদস্যের মেয়ে। একটি ঐতিহাসিক রায় হয়েছে। উচ্চ আদালত যেন নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রাখে সেই প্রত্যাশা করি।
বহাল থাকলে দেশে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
রক্ত দেয়ার কথা বলে ডেকে হোটেলে ২ তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!
সিলেট মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মহানগরীর পাঠানটুলাস্থ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই তরুণী সিলেটের জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, ঘটনার পাঁচদিন পর গত ২৮ আগস্ট দুই তরুণী জালালাবাদ থানায় উপস্থিত হয়ে মামলার আবেদন করেন, পরে আদালতের সঙ্গে কথা বলে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাইমিন রহমান রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ গ্রামের মৃত তহুর আলীর ছেলে জুবেল (৩১), পাঠানটুলা এলাকার আলী আকবরের ছেলে রানা আহমদ শিপলু ওরফে শিবলু (৩৫), সুনামগঞ্জ সদর থানার হরিনাপাট গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জন ছাড়াও ধর্ষণকাণ্ডে সহায়তাকারী তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫)।
এছাড়া এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে বাগেরহাটে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে আইএলটিএস পড়ার জন্য সিলেট নগরে আসেন বালাগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী (১৮)। নগরীতে এসে আরেক নাট্যশিল্পী তরুণীর (২৫) সঙ্গে শাহজালাল উপশহরের একটি বাসায় থাকতেন। সেই সুবাদে ওই এলাকার স্নেহা বিউটি পার্লারে গিয়ে তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়।
তানিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে। তিনি শাহজালাল উপশহরের এইচ ব্লকের ৪ নং রোডের আলী ভিলা নামক পাঁচতলা বাসায় ভাড়া থাকেন।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে আইএলটিএস করতে আসা তরুণীর তানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানিয়া ফোন করে ওই তরুণীকে বলে, তার ভাইয়ের জন্য এবি পজিটিভ রক্ত প্রয়োজন। এমন ফোন পেয়ে ওই তরুণীর এবি পজিটিভ রক্ত হওয়ায় ওই তরুণী তার রুমমেট বান্ধবীকে নিয়ে রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালের সামনে যান। সেখানে গিয়ে তানিয়াকে দেখতে পেয়ে রক্ত দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তানিয়া বলে, রক্ত দেয়ার আগে তার এক কাজিনের বাসায় একটু প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন শেষ করে তারা হাসপাতালে যাবে।
এ কথা বলে কৌশলে ওই দুই তরুণীকে হাসপাতালের পাশের গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলায় নিয়ে যায় তানিয়া। তাদের দুজনকে কক্ষে বসিয়ে রাখেন। এসময় তানিয়ার সহযোগী কয়েকজন তরুণ ও যুবক এসে ওই দুই তরুণীকে আটকে রাখে এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে একের পর এক ১০-১২ জন যুবক তাদের দুজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এছাড়াও ভুক্তভোগী এক তরুণীর (১৮) কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে যান তানিয়া ও ধর্ষকরা।
পরদিন (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ভিকটিম দুই তরুণীকে এক কক্ষে নিয়ে তাদের কাছ থেকে ‘ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি’ এ মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় এবং এ কথাগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তাদের ছেড়ে দেন তানিয়া ও তার সহযোগীরা। জিম্মি দশা থেকে ছাড়া পেয়ে পাঁচ দিন পর দুই তরুণী জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বান্ধবীর আমন্ত্রণে সিলেটে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
পঞ্চগড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফায়ার সার্ভিস মোড়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. হাসান আলী (২৫) আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে এবং পেশায় চা শ্রমিক।
এর আগে আটোয়ারী উপজেলার মালগোবা একই গ্রামের সমিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলাম (২০) ও পুরাতন আটোয়ারীর মৃত গিয়াসউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, বিয়ের কথা বলে গত ৬ আগস্ট গভীর রাতে ওই কিশোরীকে ডেকে এনে আটোয়ারী উপজেলার পূরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে প্রেমিক হাসান আলী, রাজু ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো. সবুজ, আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল,নজরুল ইসলাম ও অমর মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ওই কিশোরীর বাবা আটোয়ারী থানায় সাত জনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ হাসানের বন্ধু রাজু ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ মামলার প্রধান আসামি হাসানসহ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চাঁদপুরে মাদরাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
চাঁদপুরের কচুয়ায় ১৪ বছরের এক মাদরাসাছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কচুয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মণি রাণী ভৌমিক জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা রবিবার থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গ্রেপ্তার রাসেল মিয়া (২৬) তেতৈয়া গ্রামের খায়রুল বাকি মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, শুক্রবার দুপুরে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নাতনিকে খাবার পৌঁছে দিয়ে বিকাল ৪টার দিকে সিএনজি অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন তার মেয়ে। এই সময় তিন ব্যক্তি ওই সিএনজিতে উঠে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে খিড্ডা বাজারের পশ্চিম পাশে পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে সে বাড়িতে এসে আমাদেরকে বিষয়টি অবগত করে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা দফারফা করতে ব্যর্থ হলে রবিবার তিনি কচুয়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে কচুয়া থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্যানুসারে আমরা অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছি।
ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানোসহ তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ১০
টাঙ্গাইলে চট্টগ্রামগামী চলন্ত বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুট ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতাসহ আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
মূলহোতার নাম রতন হোসেন।
র্যাব সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপিএত বলা হয়, রবিবার ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব সদস্যরা।
সোমবার দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ৩ আগস্ট টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া এলাকায় বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার দিবাগতরাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে খাবারের জন্য বিরতি দেয়া হয়। সেখান থেকে ৫ মিনিট যাওয়ার পর মূল সড়ক থেকে প্রথমে তিনজন যাত্রী ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আরও চারজন যাত্রী ওঠে। নির্ধারিত স্টেশন ছাড়া কিছু দূর যাওয়ার পর আরও তিনজন যাত্রী সেজে বাসে ওঠে।
আনুমানিক রাত ১২টার দিকে যাত্রীরা ঘুমানোর এক পর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকা পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুরোবাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় থেকে বাসটিকে ঘুরিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা কালিহাতী হয়ে মধুপুরে আসে। এরই মধ্যে ডাকাত দলের সদস্যরা সবারহাত-মুখ ও চোখ বেঁধে জিম্মি করেন। এরপর যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।
পরে ডাকাত দলের সদস্যরা গাড়িতে থাকা এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাসের গতি থামিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলা শহরের দেউলা এলাকা থেকে রাজা মিয়াকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাজা ডাকাতদলের সদস্য। বাসের চালক ও হেলপাড়কে জিম্মির পর রাজা গাড়ি চালিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
তিনি বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ডাকাতদলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজা টাঙ্গাইলের যাত্রীবাহী বাস ঝটিকা সার্ভিসের একজন চালক। দীর্ঘদিন যাবত তিনি টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
পড়ুন: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে কিশোরিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দশম শ্রেণির এক কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
ওই কিশোরীর বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলায়। বর্তমানে সে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় আটোয়ারী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ধর্ষকরা হলো- আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের হাসান (২৫), একই উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মো. সবুজ (৩০), আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল (২৫), মো. নজরুল (৪০), কৈলাসের ছেলে অমর (৩০) ও রহমান (৫০)।
জানা গেছে, মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় কিশোরীর। এরপর একবছর ধরে কিশোরী তার মামার বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে প্রেমিক হাসানের সঙ্গে দেখা হয়। এক পর্যায়ে কিশোরী গভীর প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকাল দশটায় সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। এরমধ্যে তাকে মোবাইল ফোনে কল করে বিয়ে করবে বলে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় প্রেমিক হাসান। বিকালে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত ৮ টার দিকে আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে প্রেমিক হাসান ও তার বন্ধু আব্দুর রহমান তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধামোর ইউনিয়নের আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও আব্দুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কিশোরীকে একা পেয়ে তারাও ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরীকে ফেলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। ধর্ষক অমর সেখান থেকে বন্দরপাড়ার রাস্তার পাশে কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে বন্দর পাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে কিশোরী নায়েব আলীকে সব ঘটনা খুলে বললে কিশোরীর খালুকে সংবাদ দেয়। তার খালু ভোর রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ আলী জানান, ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। দুই একজনকে ধরাও হয়েছে। অভিযান শেষে থানায় মামলা দায়ের করা হবে এবং বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ
গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আজিজুর রহমান জানান, শনিবার ভোররাতে তাকওয়া পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এই ঘটনা ঘটে।
তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
ভুক্তভোগী ও তার স্বামী ভোগড়া থেকে শ্রীপুর যাওয়ার জন্য ওই বাসে উঠেন। বাসটি রাজেন্দ্রপুরের পৌঁছালে ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে রেখে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেয় এবং ওই নারীকে লাঞ্ছিত করে। এই সময় তারা ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ বাসটি জব্দ করে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, বিকালে ধর্ষণের শিকার নারীকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
সিলেটের ওসমানীনগরে এক তরুণীকে বিয়ের আশ্বাসে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ওসমানীনগরের সিকন্দরপুর মাইগাঁও গ্রামের মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩২), পূর্বব্রাহ্মনগ্রামের আকলু হোসেন লুদু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (৩৪) ও সিকন্দরপুর মাইজগাঁও গ্রামের সাইফুর রহমান চৌধুরী রানা (৩৮)।
ওসমানীনগর থানা জানায়, ধর্ষিতা তরুণীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে বাগেরহাটে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বছরখানেক আগে রুবেল নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রুবেল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গত ৩ আগস্ট রুবেল তাকে বিয়ে করবে বলে ওসমানীনগর উপজেলার সিকন্দরপুর গ্রামে ডেকে আনে। তরুণী সেদিন বিকাল ৩টায় গোয়ালাবাজার পৌঁছালে রুবেল তাকে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে তোলে। এর কিছুক্ষণ পরই রানা ও করিম নামে দু’জনকে নিয়ে রুবেল তরুণীর হাত পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। ৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ফজরের পর তাকে ছেড়ে দেয়।
তরুণীর অভিযোগ, আসামি রুবেল, রানা ও করিম পরস্পর সহযোগীতায় তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আর জাহাঙ্গীর ও কামাল তাদের সহযোগীতা করে। এছাড়া তারা মোবাইল সেট, নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের কানের দোলও কেড়ে নেয়।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
তবে মামলার প্রধান দুই আসামি রুবেল ও করিমের বিস্তারিত পরিচয় পুলিশ বা ভুক্তভোগী তরুণী কেউই জানাতে পারেননি।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে সকল যাত্রীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুট ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রাজা মিয়া (৩২) টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গৌরস্থান এলাকায় মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে। রাজা ডাকাতদলের সদস্য। বাসের চালক ও হেলপাড়কে জিম্মির পর রাজা গাড়ি চালিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
তিনি বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ডাকাতদলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজা টাঙ্গাইলের যাত্রীবাহী বাস ঝটিকা সার্ভিসের একজন চালক। দীর্ঘদিন যাবত তিনি টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
গ্রেপ্তার রাজাকে আজ আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগতরাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে খাবারের জন্য বিরতি দেয়া হয়। সেখান থেকে ৫ মিনিট যাওয়ার পর মূল সড়ক থেকে প্রথমে তিনজন যাত্রী ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আরও চারজন যাত্রী ওঠে। নির্ধারিত স্টেশন ছাড়া কিছু দূর যাওয়ার পর আরও তিনজন যাত্রী সেজে বাসে ওঠে।
আনুমানিক রাত ১২টার দিকে যাত্রীরা ঘুমানোর এক পর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকা পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুরোবাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় থেকে বাসটিকে ঘুরিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা কালিহাতী হয়ে মধুপুরে আসে। এরই মধ্যে ডাকাত দলের সদস্যরা সবারহাত-মুখ ও চোখ বেঁধে জিম্মি করেন। এরপর যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।
পরে ডাকাত দলের সদস্যরা গাড়িতে থাকা এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাসের গতি থামিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। হেকমত নামে কুষ্টিয়ার বাসিন্দা ও ওই বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামীসহ গ্রেপ্তার ২
বাগেরহাটে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় চট্টগ্রামগামী একটি বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকালে মধুপুর থানায় ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে খাবারের জন্য বিরতি দেয়া হয়। সেখান থেকে পাঁচ মিনিট যাওয়ার পর মূল সড়ক থেকে প্রথমে তিন জন যাত্রী উঠেন। কিছুদূর যাওয়ার পর আরও চার জন যাত্রী উঠেন। নির্ধারিত স্টেশন ছাড়া কিছুদূর যাওয়ার পর আরও তিন জন যাত্রী সেজে বাসে উঠেন।
তিনি জানান, আনুমানিক রাত ১২টার দিকে যাত্রীরা ঘুমানোর এক পর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকা পৌঁছলে ডাকাত দলের সদস্যরা হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুরো বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পরে বাসটিকে ঘুরিয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা কালিহাতী হয়ে মধুপুরে আসেন। এরই মধ্যে ডাকাতদলের সদস্যরা সবার হাত-মুখ ও চোখ বেঁধে জিম্মি করে।
পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এক কেজি সোনা জব্দ, আটক ১
পুলিশ সুপার জানান, এরপর যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পরে ডাকাত দলের সদস্যেরা গাড়িতে থাকা এক নারীকে ধর্ষণ করেন। বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া মসজিদের পাশে বাসটি বালুর টিবির মধ্যে উল্টিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। এই পুরো সময় বাসটি চলন্ত অবস্থায় ছিল।
কায়সার বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের ডিবিসহ একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করছি দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের রয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকম: ১৬ কোটি টাকা ফি নিয়েছেন শ্রমিকদের আইনজীবী
রাজধানীতে ৬ ‘ডাকাত’ গ্রেপ্তার